সংস্কার, আওয়ামী লীগের বিচার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ (রূপরেখা) অত্যাবশ্যক বলে মনে করে নাগরিক কোয়ালিশন।
নাগরিক কোয়ালিশন হলো রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে একটি নাগরিক উদ্যোগ। এর সঙ্গে নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি যুক্ত রয়েছে। আজ সোমবার নাগরিক কোয়ালিশনের এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রত্যাশা করা হয়েছে।
সংস্কারের অর্জনযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি স্পষ্ট সময়সীমার অনুপস্থিতি রাজনৈতিক অংশীজনদের মধ্যে আস্থার ঘাটতি বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করছে নাগরিক কোয়ালিশন। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের রোডম্যাপ, রাষ্ট্রব্যবস্থার মৌলিক সংস্কার উদ্যোগে সরকারের অবস্থান, মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক, চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ, আশু প্রশাসনিক ও পুলিশ সংস্কার—এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রক্রিয়াগত অস্বচ্ছতা বিভিন্ন অংশীজনের মধ্যে অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছে এবং সমাজজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ করে দিচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত তিনটি মূল প্রতিশ্রুতি (সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন) পূরণের একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ অত্যাবশ্যক বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে জুলাই মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।
বিবৃতিতে নাগরিক কোয়ালিশন আরও বলছে, রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রণীত জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট নির্বাচনী সময়সূচির ঘোষণা করতে হবে।