
একজন স্বামীকে হারিয়ে আসেন রাজনীতিতে, আরেকজন বাবাকে হারিয়ে; রাজনীতির জটিল অঙ্গনে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল শুরু থেকেই। ক্রমে তা গড়ায় বৈরিতায়, যা ‘দ্য ব্যাটলিং বেগমস’ শিরোনাম হয়ে উঠে এসেছিল ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টে। কিন্তু ২০০৮ সালের পর সেই বৈরিতা ভিন্ন মাত্রা দেখা যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, খালেদা জিয়ার প্রতি শেখ হাসিনার আচরণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে অনেকটাই ব্যক্তিগত আক্রোশে রূপ নিয়েছিল, যার জেরে সেনানিবাসের বাড়িছাড়া হতে হয় খালেদা জিয়াকে, বালুর ট্রাকে অবরুদ্ধ থাকতে হয় বাড়িতে, শেষে কারাগারেও যেতে হয়।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। খালেদা জিয়ার দেড় দশকের নিপীড়নের ঘটে অবসান। তারপর মুক্তি মিললেও অসুস্থতার কারণে রাজনীতিতে আগের মতো সক্রিয় আর হতে পারেননি বিএনপির চেয়ারপারসন। ৭৯ বছরের জীবন পেরিয়ে আজ মঙ্গলবার চিরতরে বিদায় নিলেন তিনি। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, শেখ হাসিনার আমলে কারা নির্যাতনই খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হলেও রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার বিচরণ ছিল না। ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পরের বছর বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। প্রথমে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন হন, পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, শেষে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব নেন।
তার এক বছর আগে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। তারপর প্রায় ছয় বছর ভারতে থেকে দেশে ফেরেন তিনি।
তখন রাষ্ট্রক্ষমতায় সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ। তাঁকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ শুরু করে রাজপথের সংগ্রাম। সেই সংগ্রামে নেমে খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা দুজনকেই গৃহবন্দী হতে হয়েছিল, নানা ধরনের নিপীড়নের মুখে পড়তে হয়েছিল। আবার ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পরও দুজন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
লড়াইয়ের উদ্দেশ্য এক থাকলেও দুই নেত্রীকে এক করাটা সব সময়ই কঠিন ছিল অন্য রাজনীতিকদের জন্য। সেই কারণে খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে এক ফ্রেমে দেখার দৃশ্য খুব কমই দেখা গেছে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনা ধরেই নিয়েছিলেন তিনি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু সব হিসাব পাল্টে দিয়ে বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হয় এবং খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০১ সাল পর্যন্ত কে ক্ষমতায় বসবেন—এই নিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। আওয়ামী লীগের নেতা-সমর্থকদের মতে, ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার পর থেকে খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত শত্রু হিসেবে ভাবতে শুরু করেন শেখ হাসিনা। কারণ, ওই গ্রেনেড হামলার পেছনে সরকারের হাত থাকার অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের।
খালেদা জিয়াকে ঢাকার সেনানিবাসের ৬ শহীদ মইনুল রোডের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা বাংলাদেশের রাজনীতির এক বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ঘটনাটির সূচনা ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল, যখন তৎকালীন সরকার মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাড়িটির ইজারা বাতিল করে। সরকার দাবি করেছিল, ইজারা প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ছিল এবং সেনানিবাস এলাকার নিয়ম অনুযায়ী বাড়িটি রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বরাদ্দ দেওয়া ছিল নিয়মবহির্ভূত। এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই উচ্ছেদ-সংক্রান্ত নোটিশ জারি হয়।
এ ঘটনার পর থেকেই শুরু হয় দীর্ঘ আইনি লড়াই। খালেদা জিয়া হাইকোর্টে সরকারের নোটিশ চ্যালেঞ্জ করেন এবং কয়েক দফা স্থগিতাদেশও পাওয়া যায়। তবে ২০১০ সালের ১৩ অক্টোবর সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন আদালত। ফলে উচ্ছেদ বাস্তবায়নের পথ তৈরি হয়।
২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে বাড়িটি খালি করার কাজ শুরু হয়। চারপাশে কড়া নিরাপত্তা, বাইরে বিএনপি সমর্থকদের উত্তেজনা এবং পরিবারের সদস্যদের ব্যথিত প্রস্থান—সব মিলিয়ে দিনটি ছিল আবেগ ও রাজনৈতিক উত্তাপের। ওই দিন খালেদা জিয়াকে অনেকটা জোর করে বাড়ি থেকে বাইরে এনে গাড়িতে উঠিয়ে দেওয়া হয়।
তখন আওয়ামী লীগ সরকার বিষয়টিকে আইনের প্রয়োগ হিসেবে তুলে ধরলেও বিরোধী রাজনীতিকসহ বহু নাগরিক একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে দেখেছেন। ব্যক্তিগত স্মৃতি, ইতিহাস, নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত মর্যাদার সঙ্গে জড়িত এই বাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া খালেদা জিয়ার জন্য ছিল গভীর মানবিক আঘাত, যা তাঁর জন্য সবচেয়ে স্থায়ী ও বেদনাপূর্ণ দিক।
সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে বলে যাঁরা মনে করেন, তাঁরা শেখ হাসিনার নানা বক্তব্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি বহুবারই বলেছেন যে খালেদা জিয়া সেনানিবাসের বাসায় বসে ষড়যন্ত্র করতেন। এ ছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত আইভি রহমানকে দেখতে সেনানিবাসে প্রবেশে বাধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাড়িছাড়া করার পেছনে যে ওই ক্ষোভের ইঙ্গিতও তাঁর কথায় পাওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ২০০১ সালে শেখ হাসিনা আইন করে নিজের জন্য গণভবন বরাদ্দ নিয়েছিলেন। অর্থাৎ ক্ষমতায় না থাকলেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর জন্য রক্ষিত এই ভবনটি ব্যবহার করবেন। একই সময় তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাকে ধানমন্ডির ৬ নম্বর সড়কে এক বিঘার একটি সরকারি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। দুই বোনকে আজীবন এসএসএফ দ্বারা নিরাপত্তা দেওয়া, পৃথক আবাসন বরাদ্দ ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয় আইনে। ২০০১ সালের নির্বাচনে জিতে বিএনপি সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনা ও রেহানার ভবনের বরাদ্দ বাতিল করে। খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পেছনে এরও ভূমিকা ছিল বলে মনে করা হয়।
খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পর তা ভেঙে ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনাসদস্যদের পরিবারকে সেখানে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার তখন যুক্তি দেখিয়েছিল, এটি হবে শহীদ পরিবারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি প্রতীকী উদ্যোগ। তবে এমন ধারণা রয়েছে, খালেদা ক্ষমতায় ফিরে এলেও যাতে ওই বাড়ি আর ফিরে না পান, সেই ব্যবস্থাই করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
এক-এগারোর সরকারের আমলেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় ফিরে শেখ হাসিনা দ্রুতই খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে থাকা পুরোনো মামলাগুলো সক্রিয় করেন। শুধু মামলাগুলো সচল করা নয়—তদন্ত, চার্জশিট, শুনানির তারিখ নির্ধারণ, এমনকি আদালতের বিশেষ ব্যবস্থাপনা—সবকিছুই এমনভাবে সাজানো হয় যে তাতে বিরোধী নেত্রীকে ধাপে ধাপে কোণঠাসার করার প্রক্রিয়াটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার দিন আদালত এলাকায় সাংবাদিক ও কর্মীদের প্রবেশে বিধিনিষেধ, বিচারপতির বদলি এবং সরকারের প্রভাব নিয়ে ওঠা প্রশ্ন—সবকিছুই রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থা প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের নজির হয়ে ওঠে। দীর্ঘমেয়াদি শাস্তি দিয়ে রাজনৈতিক মাঠ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়াই ছিল মূল উদ্দেশ্য—এমন অভিযোগ অনেক মানবাধিকার প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে।
২০১৮ সালে কারাদণ্ডের পর খালেদা জিয়াকে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের মহিলা ওয়ার্ডে রাখা হয়। ওই জায়গাটি কারাগার হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী ছিল না। পরিত্যক্ত ওই কারাগারে একমাত্র বন্দী হিসেবে ছিলেন তিনি। তাঁর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগ থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসায় ঢিলেমি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সরবরাহে অনীহা, বারবার মেডিকেল বোর্ড পরিবর্তন—এসব সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক শত্রুতারই ধারাবাহিকতা বলে মনে করা হয়।
রোগের তীব্রতা বেড়ে গেলে তাঁকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখানে ছিলেন নিরাপত্তাবলয় ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ কোভিড মহামারির শুরুতে দুই বছর ১ মাস ১৬ দিন পর তাঁকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। গুলশানে নিজের বাসভবন ফিরোজায় ফিরলেও তিনি সেখানে ছিলেন গৃহবন্দী। বাইরে যাওয়া, রাজনৈতিক কর্মীদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ছিল নিয়ন্ত্রিত। সভা-সমাবেশে অংশ নেওয়া বা দলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের অনুমতি ছিল না। বিএনপি, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চায় বহুবার, কিন্তু সরকার সাড়া দেয়নি।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে চাপ বাড়লে ২০২৩ সালের অক্টোবরে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার মেথডিস্ট সেন্ট্রাল হলে এক নাগরিক সংবর্ধনায় শেখ হাসিনা একটি মন্তব্য করেছিলেন, যা নিয়ে সমালোচনা ওঠে। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘খালেদা জিয়ার বয়স এখন আশির ওপরে। রোজই শুনি এই মরে মরে, এই যায় যায়। বয়স তো আশির ওপরে। এমনিই তো সময় হয়ে গেছে। তাঁর মধ্যে অসুস্থ। এখানে এত কান্নাকাটি করে তো লাভ নাই।’
২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাস। সময়টা ছিল রাজনৈতিকভাবে উত্তেজনায় ঠাসা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। এরই শেষ ধাপ হিসেবে বিএনপি ২৯ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ বা গণতন্ত্রের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে। লক্ষ্য ছিল শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়। তবে সেই দিনের বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার ঢাকা ও সারা দেশকে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিরোধীদের রাস্তায় নামতে দেয়নি।
খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজার গেটের সামনে বালুর ট্রাক দিয়ে একটি শক্ত বেষ্টনী তৈরি করা হয়। এই বাধার কারণে তিনি নিজ বাসভবন থেকে বের হতে পারেননি। ওই দিন খালেদা জিয়াকে কিছুটা উত্তেজিত, অপমানিত দেখা যায়। তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখা পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ক্ষুব্ধ স্বরে বক্তব্য দেন। পরে ২০১৫ সালে আবার বালুর ট্রাক রেখে গুলশানের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করা হয়েছিল তাঁকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেন, এই পরিস্থিতি কেবল একজন নারীনেত্রীর ওপর চাপ নয়, এটি ছিল রাজনৈতিক নিপীড়ন ও ক্ষমতার প্রদর্শন। সরকার এই কঠোর পদক্ষেপে মূলত প্রতিপক্ষকে নিস্তেজ করতে চেয়েছিল। তার স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রমকে সীমিত করে, জনগণের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে রাজনৈতিক দমননীতি চালানো হয়েছিল। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে খালেদা জিয়া ছিলেন এক স্পষ্ট ‘ভিকটিম’।
সেদিনের দৃশ্য প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের রাজনীতি শুধু ক্ষমতার লড়াই নয়। নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর রাষ্ট্রীয় চাপও। খালেদা জিয়া সেই দিন শুধু একজন নেত্রী ছিলেন না; তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা এক নারী, যিনি বাধাপ্রাপ্ত হলেও দৃঢ়তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।