
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে ‘ভুয়া’ পরিচয়পত্র ব্যবহার করছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে টিউলিপের এই অভিযোগের কথা তুলে ধরা হয়। টিউলিপের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব থাকার বিষয়ে প্রথম আলো ও ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টাইমস যৌথ অনুসন্ধান করে। এই যৌথ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টিউলিপের নামে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে। তিনি এখানকার ভোটার। বাংলাদেশি পাসপোর্টও করেছিলেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে দ্য টেলিগ্রাফ লিখেছে, যেসব নথিপত্র দেখা গেছে তাতে দেখা যায়, সাবেক লেবার মন্ত্রী টিউলিপের বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে, যা তাঁর আগের দাবির সঙ্গে মেলে না।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমের যৌথ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে টিউলিপ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন।
গতকাল টিউলিপ বলেন, তাঁকে দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে এসব কাগজপত্র জাল করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের এই এমপির একজন মুখপাত্র দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ প্রায় এক বছর ধরে টিউলিপের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘তারা (বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ) টিউলিপের আইনজীবী দলের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তারা তাদের ভিত্তিহীন দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি। এবার তারা এমন কাগজপত্র জাল করেছে, যা পুরোপুরি ভুয়া এবং জাল করার সব লক্ষণ স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।
টিউলিপের মুখপাত্র বলেন, এসব কাগজপত্রের সত্যতা নিয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর অনেক প্রশ্ন উঠেছে।
নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে, ২০০১ সালে ১৯ বছর বয়সে টিউলিপ বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেয়েছিলেন। আর ২০১১ সালে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পেয়েছিলেন।
নথিপত্র আরও ইঙ্গিত দিচ্ছে, ২০১১ সালে ঢাকার আগারগাঁও পাসপোর্ট কার্যালয়ে টিউলিপ পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করেছিলেন।
তবে টিউলিপের সহযোগীরা নথিপত্রে নানা ‘অসংগতি ও অনিয়ম’ তুলে ধরেছেন, যা এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
যেমন নথিপত্রে টিউলিপের ঠিকানা হিসেবে ঢাকার একটি বাড়ির কথা উল্লেখ আছে, যা তাঁর খালা ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালিকানাধীন।
টিউলিপের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জোর দিয়ে বলেছে, তিনি কোনো দিন ঢাকায় থাকেননি। টিউলিপ কখনো বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছিলেন—এটাও তাঁরা স্পষ্টভাবে নাকচ করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, তিনি শুধু ছোটবেলায় একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়েছিলেন।
টিউলিপের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো আরও বলেছে, বিষয়টা ‘বেশ সন্দেহজনক’ যে পরিচয়পত্রটা নতুন ‘স্মার্ট কার্ড’ ফরম্যাটে নেই। কারণ, স্মার্ট কার্ড হলে সেটি ‘সহজে খুঁজে বের করে যাচাই করা যেত।’
আশঙ্কা করা হচ্ছে, নথিপত্রগুলো বাংলাদেশের চলমান একটি দুর্নীতির মামলায় যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের এমপি টিউলিপের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে। এই মামলায় তাঁর অনুপস্থিতিতে বিচার চলছে।
মামলার অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি খালাকে (শেখ হাসিনা) প্রভাবিত করে তাঁর মা, ভাই ও বোনের জন্য প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন।
টিউলিপের মা–বাবা বাংলাদেশি নাগরিক। সে কারণে তাঁর যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ—দুই দেশের নাগরিকত্ব রাখার সুযোগ রয়েছে।
টিউলিপের আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্টিফেনসন হারউডের এক মুখপাত্র চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন, টিউলিপের কখনো বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি ছিল না। শৈশবের পর থেকে তিনি কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্টও রাখেননি।
বিগত কয়েক বছরে টিউলিপ বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নানা বক্তব্য দিয়েছেন।
২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে একজন সাংবাদিক টিউলিপকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কি বাংলাদেশে আটক যুক্তরাজ্যে প্রশিক্ষিত আইনজীবীর মামলায় হস্তক্ষেপ করবেন? উত্তরে টিউলিপ বলেছিলেন, ‘আপনি কি আমাকে বাংলাদেশি বলছেন? আমি ব্রিটিশ, সাবধানে বলুন, আমি ব্রিটিশ এমপি...আমি বাংলাদেশি নই।’
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে টিউলিপ তাঁর স্বামী ক্রিস পেরির সঙ্গে বাংলাদেশ সফর করেন। তাঁর সাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তৃতার সময় তিনি বাংলাদেশকে তাঁর দেশ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
টিউলিপ লেবার সরকারের দুর্নীতি প্রতিরোধবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর এ নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নীতিনৈতিকতাবিষয়ক উপদেষ্টা তদন্ত করেন। তিনি কিয়ার স্টারমারকে ‘স্বার্থের সংঘাতের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তাঁর (টিউলিপ) চলমান দায়িত্ব পুনর্বিবেচনা’ করতে বলেন। এরপর টিউলিপ পদত্যাগ করেন।
টিউলিপ তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ওঠা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, এই দুর্নীতির মামলার বিচার একটি ‘হাস্যকর’ ঘটনা, যা ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ’ নেওয়ার জন্য পরিচালিত।
টিউলিপ আরও দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ‘জাল অভিযোগের ভিত্তিতে তৈরি’।
তবে বাংলাদেশের প্রসিকিউটরেরা দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, টিউলিপ তাঁর নাগরিকত্ব কখনো ত্যাগ করেননি।
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে গতকাল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘দুর্নীতির তদন্তের মুখোমুখি লেবার দলের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকার বিষয়ে মিথ্যা বলেছিলেন’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবার পার্টির সাবেক দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার ব্যাপারে নতুন তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে, যা তাঁর আগের দাবির সঙ্গে মেলে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী টিউলিপের একটি ভোটার নম্বরও আছে।
ডেইলি স্টারকে যা বললেন টিউলিপ
যৌথ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ বিষয়ে গতকাল রাতে টিউলিপের বক্তব্য জানতে চায় বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার। টিউলিপ এসব অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘মনগড়া’ বলে দাবি করেন।
ডেইলি স্টারের প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ বলেন, শৈশবের পর থেকে তিনি কখনো বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার আইডি বা পাসপোর্ট রাখেননি।
প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোকে টিউলিপ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত চেষ্টা বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ ‘তাদের তথাকথিত মামলাকে ন্যায্য প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে জাল কাগজপত্র ছড়াচ্ছে।’
ডেইলি স্টারকে দেওয়া বক্তব্যে টিউলিপ উল্লেখ করেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভার মানদণ্ডবিষয়ক পরামর্শদাতা স্যার লাউরি ম্যাগনাস ইতিমধ্যে ব্যাপক তদন্তের পর তাঁর কোনো অপরাধ খুঁজে পাননি।
টিউলিপ অভিযোগ করেন, এসব অভিযোগ প্রথম ওঠার প্রায় ১২ মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিশাল বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ টিউলিপের বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তুলছেন। আবার অন্যরা দাবি করছেন, ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে।
বিবিসির সাবেক সাংবাদিক মাসুদ হাসান খান বলেছেন, দ্য টাইমস এবং প্রথম আলোর যৌথ অনুসন্ধান বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতর্ককে অবশ্যম্ভাবীভাবে উসকে দেবে। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ও ভোটার তালিকায় টিউলিপের নাম থাকার বিষয়টি মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।’
মাসুদ হাসানের মতে, কেউ কেউ মনে করেন, টিউলিপ যখন স্পষ্টভাবে কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন, তখন তিনি সত্য বলেননি। আবার অন্যরা মনে করছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
মাসুদ হাসান পরিস্থিতিকে ‘কিয়ার স্টারমারের জন্য বেশ বিব্রতকর’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি আরও যোগ করেন, টিউলিপ তাঁর মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। লেবার পার্টির ভেতর থেকে এখন জবাবদিহির চাপ আরও বাড়তে পারে। বিরোধী দল এই সুযোগে তাঁর সমালোচনা করতে পারে। যদিও তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, কোনো আইন ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। তবে ‘নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁর অবস্থান প্রশ্নের মুখে পড়বে’ বলে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন।
লেবার পার্টির টাওয়ার হ্যামলেটস শাখার সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ মনসুর উদ্দিন বলেছেন, ‘প্রতিবেদনটি যদি সত্যি হয়, তবে এটি তাঁর (টিউলিপ) জন্য, লেবার পার্টির জন্য এবং তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য বিব্রতকর। এটি বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের জন্যও লজ্জার। আমি আশা করি, একজন দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করে একটি বিবৃতি দেবেন। রাজনীতিবিদদের সব সময় স্বচ্ছ থাকা উচিত।’
ডেইলি স্টারের প্রতি প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবার পার্টির ভেতরে জল্পনা বাড়ছে, যদি এই বিতর্ক সংবাদ শিরোনামে হতে থাকে তবে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা ইতিমধ্যেই স্টারমারের বিচারবুদ্ধি এবং স্বচ্ছতার প্রতি লেবার পার্টির প্রতিশ্রুতিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে এই মামলাটি ব্যবহার করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ডেইলি স্টারের প্রতি প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ টিউলিপকে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে ‘সবকিছু খুলে বলার’ আহ্বান জানাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ‘রাজনৈতিক চরিত্রহনন’ থেকে তাঁকে রক্ষার চেষ্টা করছেন।
স্টারমারের জন্য নতুন দুঃস্বপ্ন
যৌথ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে গতকাল সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক এক্সপ্রেস। গাইলস শেলড্রিকের লেখা এই প্রতিবেদনের শিরোনামে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘স্টারমারের জন্য নতুন দুঃস্বপ্ন: টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে মিথ্যা বলার অভিযোগ’।
তবে এক্সপ্রেস মূলত প্রথম আলো ও দ্য টাইমস প্রকাশিত যৌথ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিবেদনটি লিখেছে।
এক্সপ্রেসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবার পার্টি আবার নতুন এক সংকটে পড়েছে। কারণ, নতুন কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, যা টিউলিপ সিদ্দিকের বক্তব্যের সঙ্গে মেলে না। তিনি বলেছিলেন, তাঁকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্ট দেওয়া হয়নি। কিন্তু ঢাকার কর্মকর্তারা যে নথি পেয়েছেন, তা ভিন্ন চিত্র দেখাচ্ছে।