যে ব্যক্তি রাতে সুরা ইয়াসিন পড়ে, সে সকালে ক্ষমাপ্রাপ্ত অবস্থায় জাগ্রত হয়
যে ব্যক্তি রাতে সুরা ইয়াসিন পড়ে, সে সকালে ক্ষমাপ্রাপ্ত অবস্থায় জাগ্রত হয়

সুরা ইয়াসিনের ফজিলত

সুরা ইয়াসিন কোরআন মাজিদের ৩৬তম সুরা, যাকে ‘কোরআনের হৃদয়’ বলা হয়। এর ফজিলত ও তাৎপর্য ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন পড়ে, তার জন্য এমন সওয়াব রয়েছে, যেন সে দশবার কোরআন পড়েছে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২,৮৮৭)

সুরা ইয়াসিনের ফজিলত

সুরা ইয়াসিনের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বহু বর্ণনা রয়েছে। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘সুরা ইয়াসিন কোরআনের হৃদয়। যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে এটি পড়ে, আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করেন।’ (মুসনাদ আহমদ, হাদিস: ১৯,৭৪৩)।

ইমাম ইবনে কাসির তাঁর তাফসির ইবনে কাসির-এ বলেন, সুরা ইয়াসিন তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতের বিষয়ে গভীর বার্তা বহন করে, যা মুমিনের ইমানকে দৃঢ় করে।(তাফসির ইবনে কাসির, ৬/৫৬২, দারুস সালাম, ২০০০)

যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন পড়ে, তার জন্য এমন সওয়াব রয়েছে, যেন সে দশবার কোরআন পড়েছে।
সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২,৮৮৭)
পড়ার নিয়ম

সুরা ইয়াসিন পড়ার কিছু প্রচলিত নিয়ম ও সময় রয়েছে:

সকালে বা সন্ধ্যায় নিয়মিত পড়া উত্তম। অনেকে ফজর বা মাগরিবের পর পড়েন। মৃত ব্যক্তির কাছে সুরা ইয়াসিন পড়ার প্রচলন রয়েছে।

নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘মৃত ব্যক্তির কাছে সুরা ইয়াসিন পড়ো, এটি তার জন্য (মৃত্যুর যন্ত্রণা) সহজ করে দেয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১,৪৪৮)

নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে সুরা ইয়াসিন পড়ে, সে সকালে ক্ষমাপ্রাপ্ত অবস্থায় জাগ্রত হয়।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২,৮৮৯)