তারাবিহর নামাজের সময় সারা দেশে এখন প্রতিদিন পবিত্র কোরআনের একই অংশ পড়া হয়। তারাবিহর নামাজে কোরআন থেকে প্রতিদিন কী পড়ানো হচ্ছে, এই বিভাগে নিয়মিত থাকছে তারই সারকথা।
সুরা জুমার, আয়াত: ৩২-৭৫
এ অংশের বিষয়বস্তু:
সত্যকে প্রত্যাখ্যানকারীরা জালিম। সত্যগ্রহীতারাই মুত্তাকি।
কোরআন মানবজাতির জন্য সত্য–দিশারি।
নিদ্রা আল্লাহর নিদর্শন।
মানুষ বিপদে আল্লাহকে ডাকে। বিপদ গেলে নিজের বিজ্ঞতার প্রশংসা করে।
কম বা বেশি রিজিক দেওয়া আল্লাহর নিদর্শন।
আল্লাহর রহমতে আশা হারিও না।
আল্লাহর কিতাব অনুসরণ করো।
কিয়ামত হবে। সাক্ষীদের আসবে। আমলের বিনিময় দেওয়া হবে।
অবিশ্বাসীদের জাহান্নামে এবং বিশ্বাসীদের জান্নাতে যাওয়ার দৃশ্য।
সুরা মুমিন, আয়াত: ১-৮৫
এ অংশের বিষয়বস্তু:
আল্লাহর একত্ব নিয়ে সব যুগেই অবিশ্বাসীরা বিতর্ক করেছে।
ফেরেশতারা আল্লাহর প্রশংসা করেন।
বিশ্বাসীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
মদের জন্য কোনো সুপারিশকারী থাকবে না।
মুসা (আ.)-এর বিরুদ্ধে ফিরাউন, হামান ও কারুনের ষড়যন্ত্র।
ফেরাউনের এক পারিষদ ইমান আনার কথা গোপন রেখেছিলেন।
ফেরাউনের অনুসারীদের সকাল–সন্ধ্যা জাহান্নাম দেখানো হয়। জাহান্নামে অবিশ্বাসীদের নেতাদের সঙ্গে তাদের অনুসারীরা বিতর্ক করবে। শাস্তি কমানোর আবেদন করবে।
কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাঁর রাসুল ও বিশ্বাসীদের সাহায্য করবেন। রাসুলের প্রতি ক্ষমা প্রার্থনা করার নির্দেশ। কিয়ামত অবশ্যই আসবে।
মানুষের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ।
অতীতে বহু রাসুল পাঠানো হয়েছে।
মানুষের প্রতি রয়েছে আল্লাহর অসংখ্য অনুগ্রহ ও নিদর্শন।
সুরা হামিম সিজদা, আয়াত: ১-৫৪
এ অংশের বিষয়বস্তু:
অবিশ্বাসীরা কিতাবের দাওয়াত শোনে না। তাদের ধ্বংস অনিবার্য।
মহাবিশ্বের স্রষ্টা আল্লাহকে মানুষ কীভাবে কুফরি করে। নবীর দাওয়াত প্রত্যাখ্যানকারীদের আদ ও সামুদ জাতির মতো পরিণতি হবে।
হাশরের দিন আল্লাহর শত্রুদের কান, চোখ ও চামড়া তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।
অবিশ্বাসীরা কোরআন শুনতে নিষেধ করে। তারা যাদের পথভ্রষ্ট করে, বিচারের দিন তারা তাদের পদদলিত করতে চাইবে।
আল্লাহর প্রভুত্ব যারা মেনে নেয় তাদের পরিণতি শুভ। দাওয়াত দেওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি। চাঁদ–সূর্য মানুষের মতোই আল্লাহর সৃষ্টি, উপাস্য নয়। কোরআন আল্লাহর কিতাব, মুমিনদের দিশারি ও নিরাময়।
মুসার কিতাব নিয়ে মতভেদ হয়েছে। ভালো কাজে কল্যাণ, মন্দ কাজে অকল্যাণ। সুখে থাকলে মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায়, বিপদে পড়লে ডাকে। আল্লাহ অচিরেই মহাবিশ্বে এবং মানুষের নিজের মধ্যে নিদর্শনগুলো প্রকাশ করবেন। তখন মানুষ কোরআনকে সত্য বলে মেনে নেবে।