জয়ের দুই নায়ক লুকাকু ও মার্টিনেজ
জয়ের দুই নায়ক লুকাকু ও মার্টিনেজ

ইউরোপা ফাইনালে মুখোমুখি ইন্টার-সেভিয়া

সেভিয়া যে ফাইনালে উঠবে, সেটা আগের রাতেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছিল সেভিয়া। এবার ফাইনালের টিকিট কাটল ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানও। শাখতার দোনেৎস্ককে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠে গেছে দলটা।

আর এই জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ইন্টারের দুই স্ট্রাইকার লওতারো মার্টিনেজ ও রোমেলু লুকাকুর। দুজনেই করেছেন জোড়া গোল। বাকি গোলটা ইতালিয়ান ফুলব্যাক দানিলো ডি'অ্যাম্ব্রোসিওর। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইন্টারের কাছে পাত্তাই পায়নি ইউক্রেনের ক্লাব শাখতার।

প্রতিযোগিতার রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন সেভিয়ার বিপক্ষে আগামী শুক্রবার শিরোপা লড়াইয়ে নামবে আন্তোনিও কন্তের দল।

ম্যাচের ১৯ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পেয়েই এগিয়ে যায় ইন্টার। শাখতার গোলরক্ষক আন্দ্রি পিয়াতভের ভুল পাসে বল পেয়ে যান ইতালিয়ান মিডফিল্ডার নিকোলো বারেল্লা। খানিকটা এগিয়ে ডান দিক থেকে তার নেওয়া দারুণ ক্রসে হেড করে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লওতারো মার্টিনেজ। প্রথমার্ধে দুই দল সুযোগ পেলেও স্কোরবোর্ডে আর গোল যোগ হয়নি।

দ্বিতীয়ার্ধে দেখা যায় ইন্টারের আসল চেহারা। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইতালির ফুলব্যাক দানিলো ডি'অ্যাম্ব্রোসিও। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল হেড করে জালে পাঠান এই ডিফেন্ডার।

পরের গোল দিতে ইন্টার সময় মাত্র দশ মিনিট। নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মার্টিনেজ। ডি-বক্সের সামনে বল পেয়ে দারুণ শটে গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।

স্ট্রাইক-সঙ্গী গোল করছেন, লুকাকুই বা বসে থাকেন কী করে? মঞ্চে আগমন ঘটল বেলজিয়ান তারকা স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকুর। ৭৮ মিনিটে ম্যাচে নিজের প্রথম গোল করে ব্যবধান আরও বাড়ান লুকাকু। এই গোলের কারিগর অবশ্য মার্টিনেজ। ইউরোপার ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা দশ ম্যাচে গোল করলেন এই বেলজিয়ান তারকা। তিন মিনিট পরে শাখতারের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এই লুকাকু। ইন্টার মাঠ ছাড়ে ৫-০ গোলের দুর্দান্ত এক জয় নিয়ে।

তিনবার ইউরোপা লিগ (সাবেক উয়েফা কাপ) জেতা ইন্টার সর্বশেষ এই ট্রফি জিতেছিল সেই ১৯৯৮ সালে। ইতালিয়ান কোচ লুইজি সিমোনির অধীনে ব্রাজিলের রোনালদো, আর্জেন্টিনার হাভিয়ের জানেত্তি ও চিলির ইভান জামোরানোর কৃতিত্বে সেবার আলেসসান্দ্রো নেস্তা-পাভেল নেদভেদদের লাৎসিওকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল ইন্টার।

বাইশ বছর পর অমনই আরেক ফাইনালের সামনে ইন্টার।