
রিয়ালের ডেসিমা জয়ে অনন্য অবদান ডি মারিয়ার। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মারিয়া কোপা ডেল রের ফাইনালেও বার্সেলোনার বিপক্ষে করেছিলেন স্মরণীয় এক গোল। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে জীবনের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স দিয়ে মারিয়া প্রমাণ করেছেন অন্যের ছায়া হয়ে নয়। নিজের প্রতিভাতেই মহিমান্বিত হওয়ার হাতছানি এখন তাঁর সামনে। এই মৌসুমে তাঁর যে পারফরম্যান্স, তাতে মেসি-আগুয়েরোর পাশাপাশি এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার অন্যতম প্রধান ভরসার জায়গাও তিনি। অনেকের মতোই মারিয়ার ওপর এবারের বিশ্বকাপে অগাধ আস্থা আর ভরসা থাকবে কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলার। ডিয়েগো মিলিতোও এই দলে। তিনি সরাসরিই মারিয়াকে আর্জেন্টিনার নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
বিশ্ব ফুটবলের নজর সব সময়ই থাকে মেসি-নেইমার-রোনালদোদের দিকে। ক্যারিশমাটিক আচরণ, তারকামূল্য—এসবই অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখে রোনালদো-মেসিদের। কিন্তু অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার মতো খেলোয়াড়েরা কিন্তু তুল্যমূল্যে রোনালদোদের সমকক্ষ না হলেও নিজের খেলাটা খেলে যান সন্তর্পণেই। এবারের লা লিগার কথাই ধরুন। মারিয়ার পাস থেকেই সতীর্থরা করেছেন ১৭ খানা গোল। চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর ১৭ গোলের বেশ কয়েকটিই এসেছে তাঁর সহায়তায়।
বিশ্বকাপেও ডি মারিয়াকে একই ভূমিকায় দেখা যাবে বলে অভিমত মিলিতোর। মারিয়ার ব্যাপারে আর্জেন্টাইনের সাবেক এই ফুটবলার বেশ উচ্ছ্বসিতও, ‘গোল করানোতে সে ইতিমধ্যেই সবাইকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদে ডি মারিয়া দারুণ একটা বছর কাটিয়েছে। চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে। আশা করছি, বিশ্বকাপেও তাকে এভাবেই দেখা যাবে।’
এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা অংশ নেবে দুর্দান্ত একটা আক্রমণভাগ নিয়ে। এসময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি তো আছেনই। সেই সঙ্গে সার্জিও আগুয়েরো, ডি মারিয়াও দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন ইউরোপীয় ফুটবলে। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে আগুয়েরো জিতেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা। বিশ্বকাপেও তাঁরা প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে আতঙ্ক ছড়াবেন বলেই মনে করছেন মিলিতো, ‘লিও মেসি আর কুন আগুয়েরোর পর ডি মারিয়াই হয়ে উঠতে পারেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের বড় হুমকি।’
আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা এবার বড় কিছুর প্রত্যাশা রাখতেই পারেন!