Thank you for trying Sticky AMP!!

পরাজয়ের বৃত্তে বাংলাদেশ

একমাত্র সাকিবই একটু লড়েছে আজ। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সেই একই দৃশ্য। আবারও বাজে পারফরম্যান্সের প্রদর্শনী, আবারও হার। বাংলাদেশ বন্দী সেই পরাজয়ের বৃত্তেই। তবে ৫০ রানের হারের মধ্যেও একটি ইতিবাচক দিক অন্তত খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১৪০ রান উঠেছে আজ।

৩৬ রানের মধ্যেই ফেরেন তামিম ইকবাল ও এনামুল হক। ১৬ রান করে উমর গুলের বলে বোল্ড হন তামিম। ধারাবাহিক পারফর্ম করা এনামুল আজ অবশ্য আউট হয়েছেন বাজেভাবে। সাঈদ আজমলের বলে যে ক্যাচটি তুললেন এনামুল, মনে হলো আজমলকে ক্যাচ শেখাচ্ছেন বাংলাদেশের এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। কিছুক্ষণ পর শহীদ আফ্রিদির বলে ফেরেন শামসুর রহমান (৪)। জুলফিকার বাবরের বলে মাত্র ২ করে ফেরেন মুশফিকুর রহিমও।

এরপর কিছুক্ষণ একাই লড়াই চালান সাকিব আল হাসান। তাঁর ৩২ বলে ৩৮ রানের ইনিংসটি আহামরি কিছু নয় বটে, তবে সেটি দর্শককে সাময়িক বিনোদন দেয় বৈকি। নাসিরের ব্যাট থেকে আসা ২৩ ও মাহমুদউল্লাহর অপরাজিত ১৭ পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে কিছুটা সহায়তা করে। তবে শেষ দিকে মাশরাফির ৯ বলে ১৭ খানিকটা বিনোদিত করলেও বড় পরাজয় থেকে রক্ষা করতে পারেনি বাংলাদেশকে। মুশফিকদের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১৪০ তুলে। হারতে হয় ৫০ রানে। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেটে পেয়েছেন উমর গুল।

গত বছর আগস্টে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন আহমেদ শেহজাদ। এত কাছাকাছি গিয়েও শতক না ছুঁতে পারার আক্ষেপ নিশ্চয় পুষে রেখেছিলেন মনে। আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজের তো বটেই প্রথম পাকিস্তান ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁলেন টি-টোয়েন্টি শতক। মূলত শেহজাদের শতকে পাকিস্তানের রানের চাকা ঘুরেছে দারুণ গতিতে। ১০৬ রানের মাথায় মাশরাফির বলে ক্যাচ তুলে দিলেও নো বলের কারণে জীবন পেয়েছেন।

৬২ বলে ১০টি চার ও ৫ ছক্কায় শেহজাদের অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯০ রান তুলেছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপে এটা তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। সাকিব আল হাসান ও আবদুর রাজ্জাক ছাড়া আজ বাংলাদেশের সব বোলারই রান দেওয়ার ব্যাপারে ছিলেন মুক্তহস্ত। সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৪ ওভারে ৬৩ রান টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খরুচে বোলিং।

সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাংলাদেশের বিপক্ষে আজ জয়ের বিকল্প নেই পাকিস্তানের। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান ৭১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। ১ উইকেটে ৭০ থেকে হুট করে ১ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলিছিল পাকিস্তান। কিন্তু দ্রুতই আবার লাগাম মুঠোয় পুরে নেয় মোহাম্মদ হাফিজের দল। শোয়েব মালিককে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ঝড়ের বেগে ৮৩ রান যোগ করেন শেহজাদ। ৫৮ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। ম্যাচ সেরাও তিনি।

বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম উইকেট এনে দেন আবদুর রাজ্জাক। রাজ্জাকের বলে শর্ট ফাইন লেগে জিয়াউর রহমানের অসাধারণ এক ক্যাচে ফেরেন ৯ রান করা কামরান আকমল। কিছুক্ষণ পর রাজ্জাকের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফিরেছেন মোহাম্মদ হাফিজ (৮)। এরপর মাহমুদউল্লাহর বলে কোনো রান না করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন উমর আকমলও। সাকিবের শিকার হওয়ার আগে মালিক করেছেন ২৬। ২০ রানে দুই উইকেট নিয়ে দলে ফেরা রাজ্জাকই সেরা বোলার।