Thank you for trying Sticky AMP!!

টেন্ডুলকারের প্রথম সেই গাড়িটা—মারুতি ৮০০।

সেই গাড়িটা খুঁজছেন টেন্ডুলকার

জীবনে কত দামি গাড়িই তো ব্যবহার করেছেন শচীন টেন্ডুলকার। বন্ধু মাইকেল শুমাখারের কাছ থেকে উপহার পেয়েছেন ফেরারি ৩৬০ মডেনার মতো দামি গাড়িও। এ গাড়ি নিয়েই ২০১২ সালে বলিউডে নির্মিত হয়েছে ‘ফেরারি কি সওয়ারি’ চলচ্চিত্র। এত এত দামি গাড়ির ভিড়ে টেন্ডুলকারের মন কিনা পড়ে আছে সেই মারুতি ৮০০ সিসির গাড়িটাতে!

সবাই শুনুন, কেউ যদি (গাড়িটার) খোঁজ পেয়ে থাকেন তো আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
শচীন টেন্ডুলকার

ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার পর টেন্ডুলকার প্রথম কিনেছিলেন মারুতি ৮০০ মডেলের একটি গাড়ি। সময়ের স্রোতে ভারতীয় কিংবদন্তির সংগ্রহে যোগ হয়েছে একের পর এক দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি। তবু প্রথম গাড়ি তো প্রথম প্রেমের মতোই! কদিন আগে এক টক শোতে ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি বলছিলেন, ‘আমার প্রথম গাড়ি ছিল মারুতি ৮০০। দুর্ভাগ্য সেটি আর আমার কাছে নেই। এটি যদি ফিরে পেতাম, ভীষণ ভালো লাগত।’ ভক্তদের প্রতি টেন্ডুলকারের আবদার, ‘সবাই শুনুন, কেউ যদি (গাড়িটার) খোঁজ পেয়ে থাকেন তো আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’

টেন্ডুলকারের সঙ্গে শুমাখার

ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত হতে খুব বেশি সময় লাগেনি টেন্ডুলকারের। যশ–খ্যাতি খুব দ্রুতই তাঁর পায়ে হুটোপুটি খেয়েছে। তবুও অবসরে টেন্ডুলকারের স্মৃতিতে ভেসে ওঠে শৈশবের মধ্যবিত্ত জীবনটাই, ‘আমাদের বাসার সামনে একটা বড় সিনেমা হল ছিল। সেটির সামনে খোলা পার্কিং এলাকায় মানুষ তাদের গাড়ি পার্ক করে সিনেমা দেখত। আমি আমার ভাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঝুলবারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতাম গাড়ি দেখতে।’

গাড়ি দেখতে দেখতে টেন্ডুলকারের নিশ্চয়ই মনে হতো—কবে তাঁর নিজেরও একটা গাড়ি হবে। গাড়ির মালিক হতে টেন্ডুলকারের খুব বেশি সময় লাগেনি। তবু ৪৭ বছর বয়সী কিংবদন্তির আফসোস, প্রথম কেনা গাড়িটা হারিয়ে গেছে সংগ্রহ থেকে। প্রথম ‘প্রেম’কে আসলেই সহজে ভোলা যায় না!