ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর কোন পেশায় আসবেন স্টিভ স্মিথ? তা যে পেশার সঙ্গেই যুক্ত থাকুন না কেন, রিয়েল এস্টেট বা বাড়ির ব্যবসায়ী হিসেবে যে মন্দ করবেন না, সেটি বলাই যায়! এ ক্ষেত্রে স্মিথের ‘রেকর্ড’টা যে বেশ ভালোই। সর্বশেষ স্মিথের সম্পদের তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরেকটি বিলাসবহুল বাড়ি, যেটির সম্ভাব্য বিক্রয়মূল্য থেকে স্মিথের লাভটা নেহায়েত কম হবে না!
সিডনির ইস্টার্ন সাবার্বসের এই বাড়ি ২০২০ সালের মাঝামাঝি ৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারে কেনেন স্মিথ ও তাঁর স্ত্রী ড্যানি উইলিস। শুরুতে কয়েক দিন সেখানে বাস করলেও চারটি বেডরুম, ছয়টি বাথরুমের এই বাড়ির সংস্কারকাজ করে এরপর চেহারা বদলে ফেলেছেন তাঁরা।
রিয়েলএস্টেটডটকমডটএইউয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমুদ্রের দিকে তাক করা এই বাড়িতে ব্রেকফাস্ট বার, হোম থিয়েটার, তাপানুকূল সুইমিং পুল, ফায়ারপ্লেস, মেঝের স্বয়ংক্রিয় তাপ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে আছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাব্যবস্থা। বিশেষ করে বিদেশি ক্রেতাদের বাড়িটি বিশেষভাবে আকর্ষণ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্বাভাবিকভাবেই বাড়িটি কিনতে খরচও করতে হবে ভালোই। ২১ জুন নিলামে তোলা হবে এটি, যেটি কিনতে প্রায় ১২ মিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে এ বাড়ির ক্রয়মূল্যের প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করতে পারবেন স্মিথরা। যদিও এর সংস্কারকাজে তাদের খরচ করতে হয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৬৩ হাজার ডলারের মতো। তবে সেটি বাদ দিলেও লাভ কম থাকবে না, এটি বলাই যায়।
এমনিতে ক্রিকেট থেকে আয়টা ভালোই করেন স্মিথ। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানের ক্রিকেট থেকে বার্ষিক আয় প্রায় তিন মিলিয়ন ডলারের মতো। তবে পাশাপাশি রিয়েল এস্টেটের ব্যবসার সঙ্গেও স্মিথ যুক্ত বেশ কিছুদিন ধরেই। আইন থেকে পাস করা স্ত্রীর সঙ্গে মিলেই এ ব্যবসা করেন তিনি।
৩৩ বছর বয়সী স্মিথ এরই মধ্যে এ ব্যবসায় নিজেকে সফল বলেই প্রমাণ করেছেন। বেশ কয়েকটি জায়গায় এমন বিলাসবহুল বাড়ি আছে তাঁর। ২০১৫ সালে বামেইন ইস্ট নামের জায়গায় দুই মিলিয়ন ডলার দিয়ে একটি বাড়ি কিনেছিলেন। সপ্তাহে ২ হাজার ২০০ ডলার দিয়ে ভাড়া দেওয়া হয় সেটি। ওই অঞ্চলেই ২০১৬ সালে ১ দশমিক ৪১ মিলিয়ন ডলারে আরেকটি বাড়ি কেনেন সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। সেটি ভাড়া দেওয়া হয় সপ্তাহে ১ হাজার ৬০০ ডলারের বিনিময়ে।
এ মুহূর্তে দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা সফরে আছেন স্মিথ। আগামীকাল কলম্বোয় প্রথম টি-টোয়েন্টি।