>টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ে চীনকে ২৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১১ বলে জয় পেয়েছে নেপাল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্ব অদ্ভুত সব স্কোরকার্ডের জন্ম দিচ্ছে। দুদিন আগেই মালয়েশিয়া-মিয়ানমার ম্যাচে ১০.১ ওভারে মিয়ানমারের ইনিংস শেষ হয়েছিল (বৃষ্টি নামার আগে ৮ উইকেট পড়েছিল) মাত্র ৯ রানে। সেই রান টপকে যেতে বৃষ্টি আইনে মালয়েশিয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ ওভারে ৬ রান। নেপাল-চীন ম্যাচও ঠিক তেমনি এক স্কোরকার্ডের জন্ম দিয়েছে। আগে ব্যাটিং করে চীন অলআউট হয়েছে ২৬ রানে। সে ম্যাচটি নেপাল জিতেছে ১১ বলে!
২০১৪ সালে বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা নেপাল ছিল চীনের জন্য প্রবল প্রতিপক্ষই। টসে জিতে নেপাল বোলিং বেছে নিয়েই চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেয় চীনকে। তাদের প্রথম উইকেট পড়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে।
চীনের পক্ষে সর্বোচ্চ রান ওপেনার হং জিয়ান ইয়ানের—১১। তিনিই দুই অঙ্কে পৌঁছানো একমাত্র চীনা ব্যাটসম্যান। ৬ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ২১ রান তুলে ফেলা চীনা দল আরও ৫ উইকেট হারায় ওই ২১ রানেই। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান দেংজি মা ৫ রান করলে চীনের সংগ্রহ ২৬-এ পৌঁছে। তারা শেষ তিন উইকেট হারায় স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না করেই। চীনের সাত ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন শূন্য রানে।
নেপালের তারকা লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে ৪ ওভার বল করে ৪ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। এই টুর্নামেন্টের ৫ ম্যাচে লামিচানের সংগ্রহ ২০ উইকেট। তিনি রান দিয়েছেন ২.৫ করে।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনোদ ভান্ডারি ও প্রদীপ সিং ১১ বলেই ম্যাচ শেষ করেন। ভান্ডারি মাত্র ৮ বলে করেন ২৪ রান। মেরেছেন তিনটি চার ও একটি ছক্কা।