Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনা ধরে পড়েছে বরুণ চক্রবর্তীর।

করোনা আক্রান্তের খবরেও আইপিএল চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা

পুরো দেশ করোনায় জর্জরিত হলেও জৈব সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে রেখে আইপিএল চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু সেই সুরক্ষা বলয় ভেদ করে করোনা হানা দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে। আক্রান্ত হয়েছেন দলটির দুজন খেলোয়াড় বরুণ চক্রবর্তী ও সন্দীপ ভারিয়ের। এ দুজনসহ তাঁদের সান্নিধ্যে আসা সবাইকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ঝুঁকি না নিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে কলকাতার আজকের ম্যাচটি স্থগিত করেছে বিসিসিআই।

এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, আইপিএল আর চালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে কি না? স্থগিত করার মতো কোনো খবর এখনো আসেনি। বরং আইপিএল চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন আইপিএলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশ না করে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, কর্মকর্তারা চাইছেন আইপিএল চালিয়ে নেওয়া হোক।

ভারতে প্রায় প্রতিদিন তিন লাখের ওপর মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃত্যুর মিছিলে প্রতিদিন যোগ হচ্ছে তিন হাজারের বেশি নাম। করোনা শঙ্কায় আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরে গেছেন চার বিদেশি ক্রিকেটার।

এ ছাড়া অনেকে বিদেশি খেলোয়াড়ই ভারত ছাড়া জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। কিন্তু ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেকে দেশে ফিরতে পারছেন না। দেশে ফিরে যাওয়া খেলোয়াড়ের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা তো জৈব সুরক্ষাবলয়ের মান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত দুজন খেলোয়াড় আক্রান্ত হওয়ায় সেটিই সত্যি প্রমাণিত হলো।

আইপিএল চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন কর্মকর্তারা।

কিন্তু একটি দলের খেলোয়াড় ও অন্য দলের কোচ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমে খেলা চালিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের অর্ধেক পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়ায় এখন আর খেলা বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়। যদিও খবরটি (কেকেআরের খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হওয়া) বিসিসিআইকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। আমরা শুনেছি যে খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, সে জৈব সুরক্ষাবলয়ের বাইরে স্ক্যান করাতে গিয়েছিল। তার মানে এটা সুরক্ষাবলয়ের বাইরেও ঘটতে পারে। আমি যতটুকু জানি, সবাই বিসিসিআইয়ের দেওয়া জৈব সুরক্ষাবলয়ের নীতি মেনে চলছে, যা কেউ লঙ্ঘন করছে না।’

আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্মকর্তাও অন্য দলের খেলোয়াড় করোনা আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত খেলা চালিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়দের ভারত থেকে সরাসরি দেশে ফেরার পথ বন্ধ করে দিয়েছে সে দেশগুলোর সরকার।