
ম্যাচটা এক দশক আগের। চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ–পাকিস্তান ম্যাচে দুই দলের স্পিনাররা মিলে মোট ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন। সে ম্যাচে ৮ বোলার ব্যবহার করেছিল বাংলাদেশ দল।
পাকিস্তানও কম যায়নি। ৭ বোলার ব্যবহার করে ৫৮ রানের জয় তুলে নিয়েছিলেন অধিনায়ক মিসবাহ–উল–হক। কিন্তু হুট করে এই ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে আনার কারণ দুই দলের এত বোলার ব্যবহার করা নয়। কলম্বোয় আজ শ্রীলঙ্গা–দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে স্পিনারদের উইকেট নেওয়া স্মরণ করিয়ে দিল ২০১১ সালের সেই ম্যাচটি।
আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২০৩ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩০ ওভারেই ১২৫ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্য দিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২–১ ব্যবধানে জিতল শ্রীলঙ্কা।
এই ম্যাচে দুই দলের স্পিনাররা মিলে নিয়েছেন মোট ১৬ উইকেট। ছেলেদের ওয়ানডেতে এটি এক ম্যাচে দুই দলের স্পিনাররা মিলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার নজির। ২০০৯ সালে কেনিয়া–জিম্বাবুয়ে ম্যাচে ১৫ উইকেট নেওয়ার নজির ছাপিয়ে গেল এই ম্যাচ।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩৮ রানে ৩ উইকেট নেন স্পিনার কেশব মহারাজ। তাবরেজ শামসি ও জর্জ লিন্ডে ২টি করে উইকেট নেন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে মহেশ থেকাসেনা নেন ৩৭ রানে ৪ উইকেট। প্রেমাদাসার স্পিনবান্ধব উইকেটে লো–স্কোরিং এ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪৭ রান করেন চারিথ আসালঙ্কা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন হেনরিক ক্লাসেন।