Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশ আবারও আসবে, নিউজিল্যান্ড মন্ত্রীর আশা

ওয়েলিংটন টেস্টে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বিসিবি ফাইল ছবি
>

নিউজিল্যান্ডের ক্রীড়ামন্ত্রীর গ্রান্ট রবার্টসনের আশা, বাংলাদেশ দল আবারও নিউজিল্যান্ড সফর করবে

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সে ঘটনায় বাতিল হয়ে যায় সফরের শেষ টেস্ট। বাংলাদেশ দলও যেন দেশে ফিরে হাঁপ ছেড়েছেন। কিন্তু নিউজিল্যান্ড ব্যাপারটি নিয়ে যথেষ্ট বিব্রত। অতিথি যদি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ব্যবহার পান, তাতে স্বাগতিকদের বিব্রত হওয়াটাই স্বাভাবিক।
নিউজিল্যান্ডের ক্রীড়ামন্ত্রী গ্র্যান্ট রবার্টসনও ঠিক এভাবেই ভাবছেন। তাঁর মনের মধ্যে খচখচানি। একটা দেশের জাতীয় ক্রিকেট দল খেলতে এল। উল্টো তারা দেশে ফিরে গেল সফর অসমাপ্ত রেখেই। এটা তো আগামী দিন গুলিতেও দেশ হিসেবে নিউজিল্যান্ডকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াবে। ক্রীড়ামন্ত্রী অবশ্য আশা করেন, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আবারও আসবে। পরের বার বাংলাদেশ দলকে দুই হাত বাড়িয়ে বরণ করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন তিনি।

গোটা নিউজিল্যান্ড এই মুহূর্তে সেই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার বিপর্যয় কাটাতে একসঙ্গে কাজ করছে। আল নুর মসজিদে সেই হামলায় ৫০জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহতের সংখ্যাও কম নয়। গোটা বিশ্বই এই হামলায় ভীষণ ধাক্কা খেয়েছে। কাল অকল্যান্ডে ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ডস ইভিনিং’ অনুষ্ঠানেও তাই উঠল এই প্রসঙ্গ। সেখানে রবার্টসন জানান, বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আর বিসিবির কাছে পাঠানো মেইলে তিনি দুই দেশের বন্ধুত্বের ওপরই জোর দিয়েছেন, ‘নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক তা কোনো ব্যক্তির হিংসা আর ঘৃণায় ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না।’

রবার্টসনের আশা, বাংলাদেশ দল এবং তাঁদের সমর্থকেরা আবারও নিউজিল্যান্ড সফরে আসবে ও নিরাপদ বোধ করবে, ‘আমি আশা করি সময় গড়ানোর সঙ্গে বাংলাদেশ দল এবং তাঁদের সমর্থকেরা নিউজিল্যান্ড ফিরতে নিরাপদ বোধ করবে। আমি জানি তাঁরা এটাও মনে করবে, নিউজিল্যান্ডে তাঁদের দু হাত বাড়িয়েই বরণ করে নেওয়া হবে।’

নিউজিল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় ক্রাইস্টচার্চ বিমানবন্দরেই দেশটির প্রতি ভালোবাসা জানান মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক চীনের সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে দলের তরফ থেকে বলেন,‘নিউজিল্যান্ড এখনো বিশ্বের সেরা দেশগুলোর একটি। আমরা এখনো নিউজিল্যান্ডকে ভালোবাসি।’