Thank you for trying Sticky AMP!!

সেঞ্চুরির পর বাবর আজম (ডানে)।

বাবরের ব্যাটে ঝড়, উড়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা

সুযোগ ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম দল হিসেবে দুই শর বেশি রানের লক্ষ্য পেরিয়ে ১০ উইকেটে জেতার। জয় থেকে ৭ রান দূরে থাকতে বাবর আজমের বিদায়ে শুধু সুযোগটা নষ্ট হয়েছে। আজ সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি পাকিস্তানের আক্ষেপ থাকতে পারে এই একটিই। বাবর আজমের রেকর্ডভাঙা রাজকীয় এক সেঞ্চুরিতে ভর করে কী সহজেই না জিতে গেল পাকিস্তান।

২০৪ রানের লক্ষ্য। পাকিস্তান ম্যাচটি জিতল কিনা ২ ওভার হাতে রেখেই ৯ উইকেটে! চার ম্যাচের সিরিজে তাতে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। ৫৯ বলে ১২২ রান করেছেন বাবর, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের  কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। পাকিস্তান অধিনায়ক ভেঙেছেন আহমেদ শেহজাদের রেকর্ড। ২০১৪ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১১ রানে অপরাজিত ছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার।

১৯৭ রান এসেছে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের উদ্বোধনী জুটিতে।

বিরাট কোহলিকে টপকে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর ব্যাটসম্যান হওয়ার দিনে বাবর আজম আরও একটি রেকর্ড কেড়ে নিয়েছেন শেহজাদের কাছ থেকে। ৪৯ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন বাবর। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের দ্রুততম সেঞ্চুরি এটি। ২০১৪ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৮ বলে সেঞ্চুরি করে এত দিন রেকর্ডটার মালিক ছিলেন শেহজাদ।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরি ও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেলার রেকর্ডও এখন বাবরের। দুটি রেকর্ডেরই মালিক ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জোহানেসবার্গে ১১৭ রান করার পথে ৫০ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন গেইল।

অবিশ্বাস্য রান তাড়ায় বাবরের সঙ্গে ১৯৭ রানের জুটি গড়া মোহাম্মদ রিজওয়ানও কম যাননি। ৪৭ বলে ৭৩ রান করে দলকে জিতিয়ে তবেই ফিরেছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন রিজওয়ান। বাবরের রাজকীয় ইনিংসটি সাজানো ১৫টি চার ও ৪ ছক্কায়।

টানা তৃতীয় ম্যাচে ফিফটি পেয়েছেন এইডেন মার্করাম।

দুজনের ১৯৭ রানের জুটিটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম উইকেট ও যেকোনো উইকেটেই চতুর্থ সর্বোচ্চ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় জুটিও এটি। আগের রেকর্ড ছিল আহমেদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ হাফিজের। ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ১৪৩ রান করেছিলেন দুজন।

বাবরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকানরাও খারাপ ব্যাটিং করেনি। ইয়ানেমান ম্যালান ও এইডেন মার্করামের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০৪ রান। ফিফটি পেয়েছেন দুজনই। ম্যালান ৪০ বলে ৫৫ ও টানা তৃতীয় ফিফটি পাওয়া মার্করাম ৬৩ রান করেছেন ৩১ বলে। মার্করামদের ভিত্তির ওপরে দাঁড়িয়েই ২০০ পেরোয় দলটি।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাবরের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের ছায়ায় ঢাকা পড়তে হলো তাঁদের।