Thank you for trying Sticky AMP!!

কাল খুব বাজে এক দিন গেছে ব্রডের

ব্রডের সেই ওভারের ব্যাখ্যা দিলেন অ্যান্ডারসন

গতকাল স্টুয়ার্ট ব্রড আরও একবার ইতিহাসে নাম লেখালেন। দুই টেল এন্ডার মোহাম্মদ সিরাজ ও যশপ্রীত বুমরা উইকেটে ছিলেন। এমন অবস্থায় চকচকে নতুন বল তুলে দেওয়া হয়েছিল ব্রডের হাতে। কোথায় নতুন বলে কারুকাজ দেখাবেন, উল্টো বাউন্সার দিয়ে ভড়কে দিতে চেয়েছিলেন বুমরাকে। ফলাফল হয়েছে উল্টো। এক ওভারে চারটি চার ও দুইটি ছক্কায় ৩৫ রান দিয়ে সবচেয়ে খরচে ওভারের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন ব্রড। টি-টোয়েন্টিতে যে রেকর্ড ২০০৭ সাল থেকেই তাঁর।

এমন এক ওভারের পর ব্রডকে নিয়ে বেশ হাসি–ঠাট্টা হচ্ছে। ভারতের বিপক্ষেই ব্রডের দুটি রেকর্ড হওয়ায় দেশটির নেটিজেনরা বেশ মজা পেয়েছেন। কিন্তু কী হয়েছিল ব্রডের যে বুমরার মতো ব্যাট হাতে অপটু একজনের হাতে এমন বেধড়ক পিটুনি খেলেন? কাল সংবাদ সম্মেলনে এর একটা ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁর নতুন বলের সঙ্গী জেমস অ্যান্ডারসন।

Also Read: টেস্টে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান খরচের রেকর্ড ব্রডের

বুমরা কাল চমকে দিয়েছে

গতকাল ওভারের প্রথম বলেই চার দিয়েছেন ব্রড। এরপর ওয়াইডে চার ও নো বলে ছক্কা মিলিয়ে ১ বলেই ১৬ রান খরচ করেছেন। ওভার যত এগিয়েছে, তত খারাপ হয়েছে ব্রডের বোলিং ফিগার। অ্যান্ডারসনের ধারণা, ভাগ্য খারাপ বলেই এমন কিছু ঘটেছে, ‘এসব জিনিস হয়ে যায়। অন্য কোনো দিন হলে এসব টপ এজ হাতে যায়। আর সেটা হলে কেউ এই ওভার নিয়ে কথা বলতেন না।’

Also Read: বুম বুম বুমরা: ব্যাটে ঝড় তোলার পর ভারতের ফাস্ট বোলারের নতুন নাম

নিজের দুর্ভাগ্য নিয়ে মজা করেছেন ব্রড নিজেও

ওভারের শুরুতেই বুমরা ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন। কিন্তু ব্রডও এরপর যেভাবে বল করেছেন, সেটা ব্যাখ্যাতীত। ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের ভাষায়, মাথা ব্যবহার না করে অহমকে গুরুত্ব দিয়ে বল করছেন ব্রড। ওভাবে টানা বাউন্সার দেওয়ার চেষ্টা বা রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করাকেও বোকামি বলেছেন অনেকে।

সতীর্থকে অবশ্য আগলে রাখছেন অ্যান্ডারসন, ‘আমার মনে হয়েছে, এটা দুর্ভাগ্য। অনেকগুলো টপ এজ হয়েছে। কয়েকটা ভালো শটও ছিল। কিন্তু বেন (স্টোকস) ব্রডিকে এই পরিকল্পনাতেই বল করতে বলেছে। ব্রডি ওটা মেনেই বল করেছে। অন্য কোনো দিন ভাগ্য যখন স্টুয়ার্টের সঙ্গে থাকবে, তখন এজ হাতে যেত।’

Also Read: বুমরাকে লারার অভিনন্দন

ভাগ্য পক্ষে ছিল না ব্রডের

অ্যান্ডারসনের দাবি, মূল ব্যাটসম্যানদের চেয়ে মাঝেমধ্যে শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের বল করা কঠিন, ‘সত্যি বলি, মাঝেমধ্যে টপ অর্ডারকে বল করা সোজা। সিরাজকে করা কয়েকটা বল মনে আছে। মাঠের বাইরে দুটো বল পাঠানোর চেষ্টা করেছে, আবার পরের বল সুন্দর ফরওয়ার্ড ডিফেন্স খেলেছে। এমন ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে ছন্দ পাওয়া কঠিন। আপনাকে শুধু নিজেকে বোঝাতে হবে, একসময় না একসময় আপনার সেরা বল ওদের আউট করবেই।’

Also Read: অ্যান্ডারসনকে খোঁচা রবীন্দ্র জাদেজার