Thank you for trying Sticky AMP!!

বাবর আজমরা যেন ভারতের কাছ থেকে শেখে, চান জহির আব্বাস।

ভারতের কাছ থেকে শিখুক পাকিস্তান

ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ১০৯টি সেঞ্চুরি তাঁর। যে কারণে কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যানের সঙ্গে তুলনা করে তাঁকে ‘এশিয়ান ব্র্যাডম্যান’ বলা হতো। পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেট মাঠে তাঁর অবদানের জন্য আইসিসির হল অব ফেমে তাঁর নামটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, এখনো দিন বিশেক হয়নি। সেই জহির আব্বাস যখন কিছু বলেন, সেটির আলাদা গুরুত্ব থাকে বটে!

পাকিস্তান দলকে পরামর্শটা দিয়েছেন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান। যদিও পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের কাছে পরামর্শটা কতটা প্রীতিকর মনে হবে, সে একটা প্রশ্ন বটে। কী পরামর্শ? দলের দরকারের সময়ে ব্যাটিংয়ে কীভাবে জ্বলে উঠতে হয়, সেটি যেন ভারতের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে শিখে নেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা।

‘প্রতিপক্ষের কাছ থেকেও অনেক সময় শিখতে হয়।’

‘এখনকার দিনে ওদের (ভারতের) ব্যাটসম্যানরা কীভাবে খেলছে, সেদিকে তাকান। যখনই দল ঝামেলায় পড়ে, কেউ না কেউ একজন এগিয়ে আসে, রান করে। এই দিকটাই পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা শিখুক, এটাই চাই আমি’—ইউটিউব অনুষ্ঠান ‘ক্রিকবাজে’ বলেছেন জহির আব্বাস।

দলের প্রয়োজনের সময়ে জ্বলে ওঠার শিল্পটা ভারতের ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের কাছ থেকেই শিখেছে দাবি আব্বাসের। এখন সময়টা উল্টে গেছে বলেই মনে হচ্ছে তাঁর। এ প্রসঙ্গে গাভাস্কারের একটি উক্তিও স্মরণ করলেন আব্বাস, ‘ওরা (ভারতীয়রা) এটা আমাদের কাছ থেকে শিখেছে। আমরা সবাইকে যা শিখিয়েছি, সেটা সবাই খুব ভালোভাবে শিখেছে। কিন্তু এখন সময় এসেছে আমরা ওদের কাছ থেকে শেখার। গাভাস্কার সব সময়ই বলতেন, ‘‘প্রতিপক্ষের কাছ থেকেও আপনার সব সময় শেখা উচিত।’’

ভারতের ব্যাটসম্যান বললে তো বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মার প্রসঙ্গই আসে সবার আগে। কোন ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে শেখা উচিত, সে প্রসঙ্গে আব্বাসও তুলে আনলেন রোহিতের প্রসঙ্গ, ‘আপনার যদি মনে হয় রোহিত শর্মা ভালো ব্যাটসম্যান, তাহলে ওর কাছ থেকে শেখা উচিত। ওকে দেখুন, ও কীভাবে খেলে সেটা দেখুন, ওর টেকনিক ভালোভাবে খেয়াল করুন।’

কোহলি–রোহিতদের খেলার ধরন, টেকনিক খেয়াল রাখলেও অনেক কিছু শেখা যায়।

পাকিস্তানের হয়ে ৭৮ টেস্টে ৪৪.৭৯ গড়ে ৫০৬২ রান করা আব্বাস এ প্রসঙ্গে নিজের উদাহরণও দিয়েছেন, ‘আমি আমার সময়ে হানিফ মোহাম্মদ, রোহান কানহাইদের ব্যাটিং দেখতাম, তাঁদের কাছ থেকে শিখতাম। আমি তো গিয়ে তাঁদের সঙ্গে অনুশীলন করিনি। শুধু তাঁদের ব্যাটিং দেখে দেখে শিখেছি।’ শেখার পথটা যে সহজ ছিল না, এখন শেখার সুযোগ-সুবিধা যে তাঁর সময়ের তুলনায় অনেক বেশি, তা মনে করিয়ে দিয়ে আব্বাস বললেন, ‘আমাদের সময়ে তো কোনো কোচই ছিল না। শুধু একজন ম্যানেজার থাকতেন, যিনি দলের সঙ্গে ভ্রমণ করতেন। এর মধ্যেই তো আমরা অনেক রেকর্ড ভেঙেছি।’

বাবর আজমরা শুনছেন কিংবদন্তির কথা?