Thank you for trying Sticky AMP!!

দারুণ জয় পেল মুম্বাই।

মুম্বাই দেখাল আইপিএলে কেন তারাই সেরা

আইপিএলের সফলতম দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। প্রথম কয়েক বছরে বিস্ময়করভাবে বারবার দলটির হাতে ধরা দিচ্ছিল না আইপিএল শিরোপা। কিন্তু গত কয়েক বছরে সে দুঃখ পুষিয়ে নিচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন তারা। কেন এত দাপট তাদের, সেটা আবার প্রমাণ করে দিল মুম্বাই।

প্রথমে ব্যাট করে ১৫০ রান তোলা দলটি একপর্যায়ে হার দেখছিল। কিন্তু মুম্বাইয়ের বোলাররা এক বিন্দু ছাড় দিতে রাজি হননি। ফিল্ডাররাও প্রতিটি রান আটকানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। বোলিং ও ফিল্ডিং দিয়ে প্রায় একপেশে হয়ে বসা ম্যাচেই প্রাণ ফেরাল মুম্বাই। শেষ দিকে নিখুঁত পরিকল্পনায় ম্যাচটা নিজেদের পক্ষেও টেনে আনল তারা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১৩ রানে হারিয়ে দিয়ে পয়েন্ট টেবিলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পাশে চলে এসেছে মুম্বাই।

বেয়ারস্টোর ঝড় থেমেছে ৪৩ রানে।

প্রথম ইনিংসে পাওয়ার প্লেতেই যা রান তোলার নিয়েছিল মুম্বাই। তাড়া করতে নামা হায়দরাবাদও সে পথেই এগিয়েছিল। প্রথম ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৭ রান তুলে দলটি। উইকেটে ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো। বাকি ১৫ ওভারে দরকার মাত্র ৯৪ রান। ওয়ার্নার এক দিকে প্রান্ত বদলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, অন্যদিকে ঝড় তোলার কাজটা ছিল বেয়ারস্টোর। ইংলিশ ব্যাটসম্যান খেলছিলেন দুই শ স্ট্রাইকরেটে।

অষ্টম ওভারে দুঃখজনকভাবে আউট হন বেয়ারস্টো। মারার জন্য জায়গা করতে গিয়ে পিছিয়ে যান, তাঁর পা লেগে যায় স্টাম্পে। হিট উইকেট হয়ে ফেরেন ২২ বলে ৪৩ রান করা বেয়ারস্টো। হায়দরাবাদের ইনিংসের জীবনীশক্তি যেন এরপরই শেষ হয়ে গেল। পরের ওভারেই ফিরলেন মনীশ পান্ডে।

ওয়ার্নারের রান আউট ম্যাচ বদলে দিয়েছে।

হায়দরাবাদকে মূল ধাক্কা দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এক প্রান্ত আগলে রাখা ওয়ার্নারকে রানআউট করে দিলেন ১২তম ওভারে। ৩৪ বলে ৩৬ রান করা ওয়ার্নার ফেরার পরও হাতে ৭ উইকেট ছিল দলটির। ৫১ বলে ৬১ রান ৭ উইকেটে খুব কঠিন কিছু নয়। কিন্তু পুরো ওভার শেষ করেই আসতে পারেনি হায়দরাবাদ। ২ বল আগে গুটিয়ে যাওয়ার আগে আর মাত্র ৪৭ রান তুলতে পেরেছে বাকি ৭ উইকেটে।

২৮ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। তবে প্রতিপক্ষকে মূল ধাক্কা দিয়েছেন রাহুল চাহার ও যশপ্রীত বুমরা। ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট লেগ স্পিনার রাহুল চাহারের। আর ১ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়েছেন বুমরা।