Thank you for trying Sticky AMP!!

ভালো খেলতে খেলতে আউট হলেন মুশফিক।

মুশফিকের আউটে মিলিয়ে গেল চায়ের স্বাদ

এতক্ষণে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি তো হতোই, বরং ছুটতেন দেড় শ রানের পানে। তাতে বাংলাদেশও পেত প্রথম ইনিংসে আরও শক্ত ভিত।

শেষ পর্যন্ত তামিম যেমন সেঞ্চুরি পাননি, তেমনি মুশফিকুর রহিমও হতাশ করেছেন। ভালো খেলতে খেলতে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ায় মুশফিকের সম্ভাবনাময় এক ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটে।

এরপরই চা–বিরতিতে যায় দুই দল। মুশফিক আউট না হলে শক্ত ভিত নিয়েই চায়ের স্বাদ পেত বাংলাদেশ দল।

সেঞ্চুরির সুবাস ছড়িয়ে ৯২ রানে আউট হন তামিম। প্রবীন জয়াবিক্রমার স্পিনে ক্যাচ দেন স্লিপে। এরপর ১১১ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন মুশফিক–মুমিনুল।

তিন লঙ্কান স্পিনার জয়াবিক্রমে, রমেশ মেন্ডিস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা উইকেটে ভালো বাঁক পেলেও খেলতে সমস্যা হচ্ছিল না মিডলঅর্ডারে বাংলাদেশের এ দুই স্তম্ভের। কিন্তু ৬১.৪ ওভারে ঘটে বিপত্তি। জয়াবিক্রমের বল অনসাইডে খেলতে গিয়ে ব্যাটে পাননি মুশফিক।

দ্বিতীয় সেশনে ২ উইকেট তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা দল।

এলবডিব্লুর আবেদনে মাঠের আম্পায়ার সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে মুশফিককে (৪০) ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠান শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে।চা বিরতিতে যাওয়ার আগে ৪ উইকেটে ২১৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস থেকে এখনো ২৭৯ রানে পিছিয়ে মুমিনুলের দল।

মুমিনুল হক এক প্রান্তে ৯৩ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত। বাংলাদেশ অধিনায়কও একবার বেঁচে গেছেন। ব্যক্তিগত ১ রানে থাকতে স্কয়ার লেগে তাঁর ক্যাচ নিতে পারেননি রমেশ মেন্ডিস।

এ ছাড়া সাবলীল গতিতেই ব্যাট করছেন মুমিনুল। তামিমের সঙ্গেও ৫২ রানের জুটি গড়েন তিনি। প্রথম সেশনে ২৭ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেটে ৯৯ রান তুলেছিল বাংলাদেশ।

সেঞ্চুরি না পেয়ে হতাশ করেন তামিম।

সে তুলনায় দ্বিতীয় সেশনে তুলনামূলক ভালো করেছে বাংলাদেশ। এ সেশনে ৩৪.৪ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেটে ১১৫ রান তুলেছে সফরকারি দল। শ্রীলঙ্কার হয়ে এ পর্যন্ত ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার জয়াবিক্রমে।