Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশ ইনিংসে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে শূন্য রানে আউট হয়েছেন ইবাদত

সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশের, সবচেয়ে কমেও বাংলাদেশ

মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলটা তাইজুল ইসলাম অফ সাইডে পাঠাতেই নিশ্চিত হয়ে গেল, বিশ্ব রেকর্ডটা অন্তত ভাঙছে না। টেস্টে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ শূন্য বা ডাকের সংখ্যা ছয়টি। তখন পর্যন্ত চারজন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে ফিরেছেন।

তাইজুলের পর বাকি ছিলেন আরও দুজন ব্যাটসম্যান। তাঁরা শূন্য রানে আউট হলেও রেকর্ডটা এককভাবে বাংলাদেশের হচ্ছে না। খালেদ আহমেদ ও ইবাদত হোসেন শূন্য রানেই ফিরেছেন। তাতে বিশ্ব রেকর্ডটা আরেকবার করে দেখাল বাংলাদেশ।

আরেকবার? হ্যাঁ, এক ইনিংসে ছয় ব্যাটসম্যানের শূন্য পাওয়ার যেই পাঁচ অতীত ‘কীর্তি’ ছিল, তার মধ্যে একটি বাংলাদেশেরই। আজ সে কীর্তিতে নতুন সংযোজনে অবশ্য বাংলাদেশ কিছুটা তৃপ্তিও পাচ্ছে। এই কীর্তিতে ইতিবাচক বিশ্ব রেকর্ড যে করতে পারল বাংলাদেশ।

২০ বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি ইবাদত। শূন্য রানে রানআউট হয়েছেন এ পেসার। রেকর্ডের ভিত্তিটা আগেই গাঁথা ছিল। ইনিংসে পাঁচ ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হওয়ার পর সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে তিনে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ, শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০০৮ সালে সেঞ্চুরিয়নে ৪২৯ রান তুলেছিল স্বাগতিক দল। দুইয়েও তারা। ১৯৩৮ সালে জোহানেসবার্গে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯০ রান করেছিল তারা।

রান আউট হয়ে মুশফিকের সঙ্গে ফিরছেন ইবাদত

দলকে ৩৬৫ রানে রেখে ইবাদতের ওভাবে শূন্য রানে ফেরা বাংলাদেশকে তিন থেকে একলাফে একে নিয়ে এসেছে। এক ইনিংসে ছয় বা এর বেশি ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি রান তুলেছে বাংলাদেশ। আগেই বলা হয়েছে, টেস্টে এ নিয়ে এমন ঘটনা মাত্র ছয়টি। এর মধ্যে কোনো দলের এমন সর্বনাশের পরও সবচেয়ে বেশি রান ছিল ১৫২।

২০১৪ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ভারত ১৫২ রান তুলেছিল। তাতে মহেন্দ্র সিং ধোনি একাই ৭১ রান করেছিলেন। আর সবচেয়ে কম রানের রেকর্ডটি ছিল বাংলাদেশের, ২০০২ সালে ঢাকা টেস্টে জার্মেইন লসনের এক স্পেলে ৮৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

এরপর আছে নিউজিল্যান্ড। ২০১৮ সালে দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯০ তুলেছিল সফরকারীরা। ১৯৯৬ সালে আহমেদাবাদে দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। এ তালিকার বাকি দলটি পাকিস্তান। ১৯৮০ সালে করাচিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ১২৮ রানে থেমেছিল পাকিস্তান।

বাংলাদেশের ভাগ্য ভালো, লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম অবিশ্বাস্য দুটি ইনিংস উপহার দিয়েছেন। এ দুজন মিলেই ৩১৬ রান এনে দিয়েছেন, যেখানে দলের বাকি ৯ ব্যাটসম্যান করেছেন ৩২ রান। অবশ্য সেই নয়জনের মধ্যে ছয়জনই তো শূন্য রানে আউট হয়েছেন!

বাংলাদেশের ভাগ্য ভালো, লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম অবিশ্বাস্য দুটি ইনিংস উপহার দিয়েছেন

টেস্টের মতো প্রথম শ্রেণিতেও এখন বিশ্ব রেকর্ডটা বাংলাদেশের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩০৮ বার কোনো দল এক ইনিংসে ছয় বা এর বেশি ব্যাটসম্যানকে শূন্য রানে হারিয়েছে। এমন সব ক্ষেত্রে এত দিন সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি ছিল ৩০০ রানের। ২০২১ সালে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে সাসেক্স গড়েছিল এই রেকর্ড।