Thank you for trying Sticky AMP!!

১৩ বল, ০ রান, ৬ উইকেট - এমন বোলিং দেখেনি ক্রিকেট

মাঠের চারপাশের এমন সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করার মানসিক অবস্থায় নিশ্চিত আর নেই মালদ্বীপের নারী ক্রিকেটাররা। ছবি: সংগৃহীত
এসএ গেমসে মেয়েদের ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচেই মালদ্বীপের বিপক্ষে ১৩ বলে কোনো রান না দিয়ে ছয় উইকেট নিয়েছেন নেপালের অঞ্জলি চাঁদ। ওই ছয় ব্যাটসম্যানের সবাই আউট শূন্য রানে, তিনজনের গোল্ডেন ডাক। শেষ তিন উইকেট নিয়ে হয়েছে হ্যাটট্রিকও।


তাঁর নামের শেষ অংশ চাঁদ। কিন্তু তাঁকে দেখার পর আজ সম্ভবত ঘোর অমানিশায় হাতড়ে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা হয়েছে প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের। না হলে মাত্র ১৩ বলে কোনো রান না দিয়ে নেপালের নারী ক্রিকেটার অঞ্জলি চাঁদ যে মালদ্বীপের ৬ উইকেট নিলেন, সেটির ব্যাখ্যা আর কী হতে পারে! 

অঞ্জলির সৌজন্যে এসএ গেমসে মেয়েদের ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচেরই জায়গা হলো রেকর্ড বইয়ের পাতায়। ছেলেদের হোক বা মেয়েদের— আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাস এর চেয়ে ভয়ংকর বোলিং যে আর দেখেনি! ২ ওভার ১ বল করেছেন, ২টি মেডেন, রান দেননি একটিও, উইকেট ছয়টি। ওই ছয় ব্যাটসম্যানের সবাই আউট শূন্য রানে, তিনজনের গোল্ডেন ডাক। শেষ তিন উইকেট নিয়ে হয়েছে হ্যাটট্রিকও।
মালদ্বীপ ইনিংসের সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন অঞ্জলি। ততক্ষণেই অবশ্য ১৫ রানে ৪ উইকেট নেই মালদ্বীপের। শেষ পর্যন্ত মালদ্বীপ কত রানে অলআউট হয়েছে জানেন? ১৬! নেপাল আবার সে রান পেরিয়ে গেছে মাত্র পাঁচ বলেই।

অঞ্জলি চাঁদ, নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। ছবি: সংগৃহীত।

নিজের প্রথম ওভারে বেশ আরাম-আয়েশে উইকেট নিয়েছিলেন অঞ্জলি। বিজোড় বলগুলোতে বিরতি, তো পরের প্রতিটি বলে উইকেট। নবম ওভারে এসে একটু ‘উইকেট খরা’ গেল ২৪ বছর বয়সী বাঁহাতি মিডিয়াম পেসারের। প্রথম চার বলে কোনো উইকেট নেই! পরের দুই বলে আবার দুই উইকেট নিয়ে খরা কাটল। তা দুই উইকেট যখন পেয়েই গেলেন, এমন সব পাওয়ার দিনে হ্যাটট্রিক আর বাদ থাকে কেন! নিজের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে এসে তা-ও পূর্ণ করে নিলেন অঞ্জলি। তাতে মালদ্বীপের ইনিংসও শেষ। যে ইনিংসে ১৬ রানের তিনটি এসেছে ওয়াইড থেকে, ওপেনার হামজা নিয়াজ একাই করেছেন ৯ রান, বাকি চার রান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হাফসা আবদুল্লার। বাকি ব্যাটসম্যানদের নামের পাশে শুধুই শূন্যতা।

তবে মালদ্বীপের ভাগ্য ভালো, মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে তাদের চেয়ে কম রানে আউট হওয়ার রেকর্ড আগেই আছে আরও পাঁচটি। সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার সে রেকর্ডে আবার মালির মেয়েদের ‘দুর্দান্ত দাপট!’ প্রথম তিনটি স্থানেই তাদের নাম, তা-ও গত জুনে টানা তিন দিনে তিন ম্যাচে। অলআউট হয়েছিল ৬, ১০ ও ১১ রানে। তালিকার চতুর্থ স্থানটিও (১৪ রানে অলআউট) চীনের মেয়েদের জন্য একা ছাড়েনি মালি।

দলীয় রেকর্ডে যদি মালদ্বীপের জন্য হতাশার অন্য নাম হয়, ব্যক্তিগত রেকর্ড উচ্ছ্বাসে ভাসাবে অঞ্জলিকে। মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে এর আগে সবচেয়ে ভালো বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল মালয়েশিয়ার মাস এলিসার। চীনের ১৪ রানে অলআউট হওয়ার সেই ম্যাচে এলিসা ৬ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। ছেলেদের টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকমাত্রই মনে করবেন অপ্রস্তুত হাসিতে। গত মাসে ভারতের দীপক চাহার যে বাংলাদেশের ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ৭ রানে, যাতে ছিল একটা হ্যাটট্রিকও।

এসএ গেমসে মালদ্বীপের মেয়েদের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েরা খেলবেন ৫ ডিসেম্বর। তার আগে কাল শ্রীলঙ্কা ও পরশু নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ আছে বাংলাদেশের।