Thank you for trying Sticky AMP!!

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরির পর নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ডেভন কনওয়ে।

২৩ রান করেই ৩৯ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভাঙলেন কনওয়ে

টেস্ট ক্রিকেটে শুরুটা কী দুর্দান্তভাবেই না করেছেন ডেভন কনওয়ে! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অসাধারণ এক কীর্তি গড়েছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান। বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ইংল্যান্ডের মাটিতে অভিষেক টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য তেমন কিছু করতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের ওপেনার। আউট হয়ে গেছেন মাত্র ২৩ রানে।

তবে এই ২৩ রান করেই আরেকটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন কনওয়ে। ভেঙে দিয়েছেন কেপলার ওয়েসেলসের ৩৯ বছরের পুরোনো একটি ব্যাটিং রেকর্ড। অভিষেক টেস্টে ওপেনার হিসেবে দুই ইনিংস মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটি এখন কনওয়ের অধিকারে।

নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ে।

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক কেপলার ওয়েসেলসের টেস্ট অভিষেক ১৯৮২ সালে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই টেস্টে তিনি খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। বর্ণবাদের কারণে তাঁর দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা তখন ক্রিকেট ও অন্য সব খেলা থেকে নির্বাসিত। ওয়েসেলস সে সময় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছিলেন। পরে অবশ্য ১৯৯১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে আসার পর তিনি প্রোটিয়াদের অধিনায়কত্বও করেছেন।

এই ওয়েসেলসই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ওপেন করতে নেমে করেছিলেন ১৬২ রান। কনওয়ের মতো দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছিলেন ওয়েসেলসও, করেছিলেন ৪৬ রান। দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁর রান হয়েছিল ২০৮। এত দিন এটাই ছিল অভিষেক টেস্টে কোনো ওপেনারের সর্বোচ্চ রান।

কেপলার ওয়েসেলসকে আগেই ছাড়িয়ে যেতে পারতেন শ্রীলঙ্কার সাবেক ওপেনার ব্রেন্ডন কুরুপ্পু। ১৯৮৭ সালে টেস্ট অভিষেকেই ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস ঘোষণা করার সময় ২০১ রানে অপরাজিত ছিলেন কুরুপ্পু। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগই পাননি পঞ্চম দিনে গড়ানো টেস্ট। ম্যাচটি ড্র হয়েছে। দুটি দলই খেলেছিল একটি করে ইনিংস।

অভিষেক টেস্ট সব ব্যাটসম্যান মিলিয়ে সর্বোচ্চ রান করার তালিকায় কনওয়ের অবস্থান পঞ্চমে। এ তালিকার শীর্ষে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ললেন্স রো। ১৯৮২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২১৪ রান করেছিলেন ৩ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান। অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ২৮৭ রান করা ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান টিপ ফস্টার আছেন এ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৪ নম্বরে ব্যাটিং করা ফস্টার যে দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পেরেছেন মাত্র ১৯ রান।

প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করা কিউই ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ২৩ রান।

এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে ইয়াসির হামিদ। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান ২৭৫ রান (১৭০‍ ও ১০৫)। ২৫০ রান নিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা কাইল মেয়ার্সের কীর্তিটিও বাংলাদেশের বিপক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান এই কীর্তি গড়েছেন এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে।