Thank you for trying Sticky AMP!!

'আমি কিন্তু আপনাদের আগেই এটা জানি'

মোস্তাফিজ এখন ব্যস্ত বিপিএলে। এরই ফাঁকে শুনলেন সুখবর। ছবি: প্রথম আলো
>মোস্তাফিজ রহমান ২০১৫ সালের পর আবারও আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছেন। এই অর্জনকে কীভাবে দেখছেন বাঁহাতি পেসার?

২০১৫ সালে মোস্তাফিজুর রহমানের আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে সুযোগ পাওয়া অনুমিতই ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেই এক তরুণ বাঁহাতি পেসার মাঠে নামছেন আর উইকেট পাচ্ছেন, মোস্তাফিজ তখন বিরাট বিস্ময়! আইসিসির বর্ষসেরা হওয়াই শুধু নয়, সেবার হাতে উঠল আরও কত পুরস্কার।

শুরুতেই এবড়োখেবড়ো পথে উসাইন বোল্টের গতিতে ছুটছিলেন বলেই কিনা, ধুপধাপ হোঁচটও খেতে হলো। বারবার চোটে পড়ায় থমকে যাচ্ছিল অগ্রযাত্রা। মোস্তাফিজ আবারও নিজের সেরাটা ফিরে পাচ্ছেন কি না, এবারের বিপিএলে তাঁর বোলিংয়ে আফ্রিদিদের নাকাল হতে দেখে এমন একটা আলোচনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে সুখবর শুনলেন, যেটি মোস্তাফিজকেও অনুপ্রাণিত করতে পারে। আবারও আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন।

আইসিসি আগেই তাঁকে জানিয়ে রেখেছিল, নিয়ে রেখেছিল প্রতিক্রিয়া। তবে খবরটা চেপে রাখতে বলেছিল। আজ যখন ঘোষণা হলো, সাংবাদিকের ফোন মোস্তাফিজকে তাই বিস্মিত করল না, ‘ভালো লাগছে, সবই ওপরওলার ইচ্ছে। আমি কিন্তু আপনাদের আগেই এটা জানি।’

কিন্তু দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে জায়গা পাবেন, ভাবতে পেরেছিলেন? ‘ওই সব ভেবে তো খেলি না। আমার লক্ষ্য থাকে ভালো খেলা। এখন আমার পারফরম্যান্স দেখে তাদের (ভোটিং একাডেমি) মনে হয়েছে আমাকে রাখা যেতে পারে, তাই তারা দলে রেখেছে’, মোস্তাফিজের প্রতিক্রিয়া তাঁর ইকোনমিকাল বোলিংয়ের মতোই।

২০১৬ সালের প্রায় পুরোটাই কাটল চোটে। চোট থেকে মুক্তি পাননি ২০১৭ সালেও। এমনকি ২০১৮ সালেও চোট তাঁকে খেলতে দেয়নি দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে।

মাঝেমধ্যে চোটে পড়লেও মোস্তাফিজের ওয়ানডে খুব একটা হাতছাড়া হয়নি ২০১৮ সালে। বাংলাদেশে যে ২০ ওয়ানডে খেলেছে, ১৮টিই খেলেছেন। বাকি দুই ম্যাচে ছিলেন বিশ্রামে। নিজের সেরাটায় ফেরার আভাস দিয়েছেন চোটাঘাত থেকে নিজেকে মুক্ত করে। গত বছর ১৮ ওয়ানডেতে ২১.৭২ গড় ও ৪.২০ ইকোনমিতে ২৯ উইকেট নিয়েছেন। পেসারদের মধ্যে ওয়ানডেতে গত বছর তাঁর চেয়ে সফল শুধু জিম্বাবুয়ের টেন্ডাই চাতারা। তবে চাতারা কাদের বিপক্ষে বোলিং করেছেন, সেটিও একটা ব্যাপার।

বিপিএলে আজ মোস্তাফিজের দল রাজশাহীর ম্যাচ নেই। হোটেলে কাটছে সময়টা। মানসিকভাবে তৈরি হচ্ছেন কালকের ম্যাচের জন্য। বললেন, ‘এ ধরনের সংবাদ স্বাভাবিকভাবেই ভালো লাগে। এটা ভালো খেলার পুরস্কার। আমার চেষ্টা থাকবে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।’

ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে মোস্তাফিজ জানেন, তাঁকে আগে ফিট থাকতে হবে। প্রতিপক্ষ নয়, বাঁহাতি পেসারকে বেশি যে ভাবতে হয় চোট নিয়েই। ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে, চোটকে বশে রেখে কীভাবে এগোতে হয়, সেটিও শিখতে শুরু করেছেন। চোট ব্যবস্থাপনা কীভাবে করতে হয়, সেটি আয়ত্তে আসছে। নিজের ফিটনেসের দিকে তাই ভীষণ সতর্ক চোখ থাকে তাঁর।

২০১৯, বিশ্বকাপের বছর শুরুর আগে ফিজের এমন একটা স্বীকৃতি শুধু তাঁর নয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্যও তাই সুখবর হয়ে এল।