একটা ছক্কা গ্যালারিতে আছড়ে পড়তেই স্টেডিয়ামে শোনা যেত সমুদ্রের গর্জন। একটা উইকেট নেওয়ার উল্লাসও বোলারের সঙ্গে বিকট গর্জনে ভাগাভাগি করে নিত মাঠে আসা দর্শকেরা। ক্রিকেটে এমন দিন আর আসবে কিনা সেই প্রশ্নটা সময়ের হাতে তোলা রইল। কিন্তু করোনাভাইরাসের এমন পরিস্থিতিতে আপাতত ফাঁকা গ্যালারির সামনেই খেলতে হবে ক্রিকেটারদের। এই দর্শকশূন্য ক্রিকেট বিরক্তিকর লাগতে পারে খেলোয়াড়দের, এমনটা মনে হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার সাঈদ আজমলের।
পাকিস্তান ক্রিকেট দল এই মুহূর্তে ইংল্যান্ড সফরে ব্যস্ত। ক্রিকেটাররা ফাঁকা গ্যালারি দেখে খুব বেশি যে খেলাটা উপভোগ করতে পারবে তা মনে হচ্ছে না সাঈদ আজমলের, ‘ খেলোয়াড়দের জন্য ব্যাপারটা হবে একেবারেই বিরক্তিকর। ম্যাচটা দেখার জন্য সেখানে কোনো দর্শক থাকবে না।’ একেবারে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামের চেয়ে অন্তত কিছু দর্শককে মাঠে ঢোকার অনুমতি দিতে অনুরোধ করলেন এই সাবেক স্পিনার, ‘আমি আয়োজকদের অনুরোধ করবে যেন একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শক স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১০ হাজার ধারণক্ষম স্টেডিয়ামে ১ হাজার লোককে খেলা দেখার অনুমতি দিতে পারে।’
ইংলিশ কন্ডিশনে কেমন করবে পাকিস্তান? এমন প্রশ্নে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার মতো উত্তর দেননি সাঈদ আজমল, ‘আমার মনে হয় ইংল্যান্ড পরিষ্কার ফেবারিট। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের টেস্ট রেকর্ড তত ভালো না। যদি পাকিস্তান একটা ম্যাচ জেতে তাহলে আমি অবাকই হব। আমাদের দলটা অনভিজ্ঞ এবং এই দলে প্রচুর তরুণ খেলোয়াড় রয়েছে।’