ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে কাল। এখন প্রশ্ন, দুই দেশের সংঘাতের কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএল ও পিএসএল কবে শুরু হতে পারে?
ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো বলছে, আইপিএল আবার শুরু হতে পারে ১৫ মে। এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অন্যদিকে পিএসএল শুরু করতেও তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো নির্দিষ্ট কোনো তারিখের কথা বলতে পারেনি।
বিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। এখন নতুন পরিস্থিতিতে বিসিসিআই কর্মকর্তারা এবং আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল রোববার (১১ মে) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। দেখা যাক টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো শেষ করার জন্য কোনটা সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হয়।’
৮ মে ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচটি যুদ্ধপরিস্থিতির কারণে বাতিল হয়ে যায়। এরপর এক সপ্তাহের জন্য টুর্নামেন্ট স্থগিতের ঘোষণা আসে। ১৫ মে যদি আবার আইপিএল শুরু হয়, তাহলে ঠিক এক সপ্তাহই বিরতি থাকবে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে পিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, পিএসএলের বাকি আটটি ম্যাচ রাওয়ালপিন্ডিতে হতে পারে। সেই সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, বিদেশি খেলোয়াড়দের দুবাইয়ে রাখার জন্য ও দেশি খেলোয়াড়দের প্রস্তুত রাখতে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আইপিএল যদি ১৫ মে থেকে আবার শুরু হয়, এই লিগের বিদেশি ক্রিকেটারদের কী হবে? ইএসপিএনক্রিকইনফো তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বেশির ভাগ বিদেশি খেলোয়াড় ও স্টাফ ৯ ও ১০ মের মধ্যে ভারত ছেড়ে গেছেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা যাত্রাপথে আছেন তাঁদেরকে আপাতত থেমে যেতে বলা হয়েছে। কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচিং স্টাফরা ভারত ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন।
এদিক থেকে দলগুলোর মধ্যে গুজরাট টাইটানস তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আছে। কারণ, দলটির মাত্র দুজন বিদেশি খেলোয়াড় জস বাটলার ও জেরাল্ড কোটজি দেশ ছেড়েছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি তাঁদের ফেরাতে কাজ করছে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আশা, মে মাসের মধ্যেই আইপিএল শুরু হলে বেশির ভাগ বিদেশি খেলোয়াড় ফিরবেন। তবে ২৫ মের পর টুর্নামেন্ট শুরু হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ, তখন অনেক খেলোয়াড়ের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আছে। ১১ জুন লর্ডসে হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, আইপিএল শুরু হলেও অনেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার আইপিএল খেলতে ভারতে ফিরবেন না।
আইপিএলে এখন পর্যন্ত ৫৭টি ম্যাচ হয়েছে। ৮ মে ৫৮তম ম্যাচটি মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে। সেটি পুনরায় হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
ওটা ছাড়াই লিগ পর্বের ১২টি ম্যাচ ও চারটি প্লে-অফ ম্যাচ বাকি। সম্ভাব্য নতুন ভেন্যু হিসেবে বিবেচনায় আছে ভারতের দক্ষিণ অঞ্চলের তিন ভেন্যু বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদ। টুর্নামেন্টে প্লে-অফের দৌড়ে এখনো আছে সাতটি দল। শুধু চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস বাদ পড়ে গেছে।