
বাংলাদেশ ১০, নেদারল্যান্ডস ১৩।
টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ব্যবধানটা খুব বেশি বড় নয়। র্যাঙ্কিং শক্তিমত্তায় কাছাকাছি থাকা বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস সিলেটে নামছে টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে। আজ সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টি–টোয়েন্টি। এই ম্যাচের সরাসরি ধারাভাষ্য, ঘটনাপ্রবাহের বর্ণণায় আপনাদের স্বাগত।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে এশিয়া কাপ। তার আগে নেদারল্যান্ডস সিরিজটিই বাংলাদেশের প্রস্তুতির বড় সুযোগ।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল গ্রুপ পর্বে খেলবে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও হংকংয়ের বিপক্ষে।
এই মুহূর্তে আফগানিস্তান ব্যস্ত পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজে, শ্রীলঙ্কা দল জিম্বাবুয়ের সঙ্গে।
সিলেট থেকে প্রথম আলোর প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, সিলেটে সকালে বৃষ্টি হয়েছে। তবে দুপুর থেকে আবহাওয়া রৌদ্রজ্জ্বল। বৃষ্টির পূর্ভাবাস যদিও আছে— তবে এখন রোদের সঙ্গে আছে তীব্র গরমও। সিলেটের আবহাওয়ার যে ধরন, তাতে কখন বৃষ্টি নেমে যায় সেই নিশ্চয়তা নেই।
দুই দলের ক্রিকেটাররাই টসের আগে নিজেদের প্রস্তুত করে নিচ্ছেন। তাঁদের ওয়ার্ম আপ ও ক্যাচিং অনুশীলন চলছে দুই প্রান্তে।
সাড়ে পাঁচটায় টস করতে নেমেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস ও নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।
টসে জিতেছেন লিটন। বলেছেন, আগে বোলিং করবেন।
লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ দল সর্বশেষ টি–টোয়েন্টি (২৪ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে) থেকে একাদশে ৫টি পরিবর্তন এনেছে। এর মধ্যে মোহাম্মদ নাঈম ও মেহেদী হাসান মিরাজ এই সিরিজের দলেই নেই। আর দলে থাকলেও একাদশে নেই শামীম হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাসুম আহমেদ।
তাঁদের জায়গায় এসেছেন পারভেজ হোসেন, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
এই ম্যাচ দিয়ে প্রায় ২ বছর পর বাংলাদেশ দলের হয়ে মাঠে নামছেন সাইফ হাসান। ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান সর্বশেষ খেলেছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। তবে সেটি ছিল এশিয়ান গেমসে, একই সময়ে বাংলাদেশের শীর্ষ সারির ক্রিকেটাররা ভারতে বিশ্বকাপ খেলছিলেন।
২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়া সাইফ এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৫ টি–টোয়েন্টি। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে টপ এন্ড টি–টোয়েন্টিতে ৬ ম্যাচে ১২১.১০ স্ট্রাইক রেটে ১৩২ রান করেন সাইফ।
ম্যাক্স ও’ডাউড, বিক্রমজিৎ সিং, তেজা নিদামানুরু, স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), আরিয়ান দত্ত, পল ফন মিকেরেন, শারিজ আহমেদ, ড্যানিয়েল ডোরাম, টিম প্রিঙ্গল, আরিয়ান দত্ত ও নোয়াহ ক্রুস।
নেদারল্যান্ডস: ১ ওভারে ৩/০
বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন মেহেদী হাসান। এই অফ স্পিনার প্রথম ওভারে দিয়েছেন ৩ রান। দ্বিতীয় ওভার শুরু করেছেন বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম। নেদারল্যান্ডসের হয়ে ওপেন করতে নেমেছেন ম্যাক্স ও’ডাউড ও বিক্রমজিৎ সিং।
নেদারল্যান্ডস: ২ ওভারে ১৬/০
অফ স্পিনার মেহেদী হাসান প্রথম ওভারে ৩ রান দিলেও দ্বিতীয় ওভারে তিনটি বাউন্ডারি দিয়েছেন বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম। তিনটি চারই মেরেছেন ম্যাক্স ও’ডাউড। প্রথম ও তৃতীয়টি কাভার দিয়ে ও দ্বিতীয়টি ফাইন লেগ দিয়ে মেরেছেন ডাচ ওপেনার।
নেদারল্যান্ডস: ৪ ওভারে ২৬/১
বোলিংয়ে এসেই প্রথম বলেই উইকেট পেলেন তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের পেসার ফিরিয়েছেন ভয়ংকর হয়ে ওঠা ম্যাক্স ও’ডাউডকে। আগের ওভারে মেহেদী হাসানকে ছক্কা মারা ও’ডাউড তাসকিনের গুড লেংথ বলে অ্যাক্রস দ্য লাইন খেলতে গিয়ে শর্ট কাভারে ক্যাচ হয়েছেন জাকের আলীর। ১৫ বলে ২৩ রান করা ও’ডাউড ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন তেজা নিদামানুরু। ওভারে মাত্র ১ রান দিয়েছেন তাসকিন।
নেদারল্যান্ডস: ৫ ওভারে ২৭/১
নিজের প্রথম ওভারে ১৩ রান দেওয়া বাঁহাতি পেসার শরীফুল প্রান্ত বদলে করা দ্বিতীয় ওভারে মেডেন পেয়েছেন। ওভারে ডাচরা ১টি রান পেলেও সেটি ছিল লেগ বাই।
নেদারল্যান্ডস: ৭ ওভারে ৩৮/১
ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে ৭ রান দিয়েছেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। পঞ্চম বলে একটি চার মেরেছেন তেজা নিদামানুরু। কাভার ফিল্ডারের বাড়িয়ে দেওয়া হাতে অল্পের জন্যই বন্দী হননি ডাচ ব্যাটসম্যান।
পরের ওভারে অফ স্পিনার মেহেদী দিয়েছেন ৪ রান।
নেদারল্যান্ডস: ৮ ওভারে ৪৯/২
চতুর্থ ওভারে প্রথমবার বল হাতে নিয়েই ম্যাক্স ও’ডাউডকে ফেরানো তাসকিন আবর বোলিং পেলেন অষ্টম ওভারে। এবারও প্রথম বলে উইকেট! বাংলাদেশি পেসারের এবারের শিকার বিক্রমজিৎ সিং। ডাচ ওপেনার তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরে করা শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে লং অনে পারভেজ হোসেনের ক্যাচ হয়েছেন। ৩৮ রানে দ্বিতীয় খোয়াল ডাচরা। বিক্রমজিৎ ফিরেছেন ১১ বলে ৪ রান করে। এরপর উইকেটে এসেছেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।
ওভারের প্রথম চার বলে ১ রান দেওয়া তাসকিন শেষ দুই বলে দিয়েছেন ১০ রান। হুক করে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারার পর ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরেছেন নিদামানুরু।
নেদারল্যান্ডস: ৯ ওভারে ৬০/২
নবম ওভারে আক্রমণে এসে ১১ রান দিয়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। এর ১০ রানই নিয়েছেন স্কট এডওয়ার্ডস।
নেদারল্যান্ডস: ১০ ওভারে ৬৮/৪
২০২৩ এশিয়াডের পর প্রথমবার বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচ খেলা সাইফ হাসান নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়েছেন। এশিয়াডে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করা সাইফ অফ স্পিনে পেয়েছেন এডওয়ার্ডসের উইকেট। প্যাডেল সুইপ করে লং লেগে জাকের আলীর ক্যাচ হয়েছেন ডাচ অধিনায়ক (৭ বলে ১২)। ছয় ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সাইফের এটিই প্রথম উইকেট। দ্বিতীয় উইকেটিও পেতে দেরি হয়নি সাইফের।
চতুর্থ বলে উইকেট নেওয়ার পর পঞ্চম বলে ওয়াইড করা সাইফ শেষ বলে পেয়েছেন আরেকটি উইকেট। এবার ডিপ মিডউইকেটে তাওহিদ হৃদয়ে ক্যাচ হয়েছেন নিদামানুরু (২৬ বলে ২৬)।
সাইফের জোড়া আঘাতের পর নিজের শেষ ওভারে ৫ রান দিয়েছেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান। ডাচদের হয়ে ব্যাটিং করছেন নোয়াহ ক্রস ও শারিজ আহমেদ।
সাইফ নিজের পরের ওভারে ১১ রান দিয়েছেন। একটি চার মেরেছেন শারিজ।
নেদারল্যান্ডস: ১৫ ওভারে ৯৮/৫
আরেকটি ক্যাচ নিলেন জাকের আলী। এবার বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের বলে জাকেরের হাতে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন শারিজ (১৪ বলে ১৫)। ম্যাচে এটি জাকেরর তৃতীয় ক্যাচ। ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারাল ডাচরা। মোস্তাফিজ পেলেন এই সংস্করণে নিজের ১৪০তম উইকেট। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজের চেয়ে বেশি উইকেট আছে শুধু চারজনের—সাকিব আল হাসান (১৪৯), ইশ সোধি (১৫০), রশিদ খান (১৬২) ও টিম সাউদি (১৬৪)।
এরপর রিশাদের করা ১৪তম ওভারে ৫ ও শরীফুলের করা ১৫তম ওভারে এসেছে ৬ রান।
নেদারল্যান্ডস: ১৭ ওভারে ১০৪/৬
১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ১০০ ছুঁয়েছে নেদারল্যান্ডস। তবে ওই ওভারেই ষষ্ঠ উইকেট খুইয়েছে ডাচরা। তাসকিনকে তৃতীয় উইকেট উপহার দিয়ে ওয়াইডিশ মিড অনে তাওহিদ হৃদয়ের ক্যাচ হয়েছেন কাইল ক্লাইন (১২ বলে ৯)।
মোস্তাফিজের করা পরের ওভারে ২ রান এসেছে।
নেদারল্যান্ডস: ১৯ ওভারে ১২৪/৭
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে তৃতীয়বার ৪ উইকেট পেলেন তাসকিন আহমেদ। ১৮তম ওভারে নিজের শেষ ওভারে নোয়াহ ক্রসকে (১৩ বলে ১১) সাইফ হাসানের ক্যাচ বানিয়েছেন বাংলাদেশের পেসার। ১০৯ রানে সপ্তম উইকেট হারাল ডাচরা। ওভারে ৪ উইকেট নেওয়া তাসকিন ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় নিলেন ৪ উইকেট। এর আগে ২০২২ সালে হোবার্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে (৪/২৫) ও ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে (৪/১৬) ৪ উইকেট পেয়েছিলেন তাসকিন।
মোস্তাফিজের করা ১৯তম ওভারে এসেছে ৭ রান। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার।
নেদারল্যান্ডস: ২০ ওভারে ১৩৬/৮
শেষ ওভারে ১২ রান দিয়েছেন শরীফুল ইসলাম। শেষ বলে রানআউটে উইকেট খোয়ানো ডাচরা ৮ উইকেটে ১৩৬ রান। সিলেটে প্রথম ইনিংসে এত কম রান করে জেতেনি কোনো দল।
ডাচদে এত কম রানে থামাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পেসার তাসকিন আহমেদের। নেদারল্যান্ডস ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ২৫ রান তুলে ফেলার পর নিজের প্রথম বলেই উইকেট পাওয়া তাসকিন শেষ পর্যন্ত পেয়েছেন ৪ উইকেট। দুই বছর পর বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলা সাইফ হাসান অফ স্পিনে নিজের প্রথম ওভারেই নিয়েছেন ২ উইকেট। মোস্তাফিজ ১ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন ১৯ রান। উইকেট না পেলেও অফ স্পিনার মেহেদী হাসান ৪ ওভারে দিয়েছেন ২১ রান।
ডাচদের হয়ে ২০ পেরিয়েছেন মাত্র দুজন—ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড (১৫ বলে ২৩) ও তেজা নিদামানুরু (২৬ বলে ২৬)।
নেদারল্যান্ডস: ২০ ওভারে ১৩৬/৮ (নিদামানুরু ২৬, ও’ডাউড ২৩, প্রিঙ্গল ১৬, শারিজ ১৫; তাসকিন ৪/২৮, সাইফ ২/১৮, মোস্তাফিজ ১/১৯)।
বাংলাদেশ: ২ ওভারে ২৫/০
রান তাড়ায় তেড়েফুড়েই শুরু করেছে বাংলাদেশ। আরিয়ান দত্তের করা প্রথম ওভারের প্রথম তিন বলেই বাউন্ডার ও ওভার বাউন্ডারিতে ১৪ রান নিয়েছেন পারভেজ। প্রথম দুই বলে কাভার ও ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মারা পারভেজ তৃতীয় বলে স্লগ সুইপ করে মেরেছেন ছক্কা। পরের তিন বলে অবশ্য রান নিতে পারেননি পারভেজ।
মিডিয়াম পেসার কাইল ক্লাইনের করা দ্বিতীয় ওভারে এসেছে ১১ রান। ওভারের প্রথম বলে চার মারেন তানজিদ হাসান।
১৮ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ১১২ রান।
বাংলাদেশ: ৪ ওভারে ৩৩/১
ডাচ অফ স্পিনার আরিয়ান দত্তের দারুণ এক বলে বোল্ড হয়েছেন পারভেজ হোসেন (৯ বলে ১৫ রান)। কুইকার বলটি জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন পারভেজ। ২৬ রানে প্রথম উইকেট খোয়াল বাংলাদেশ। উইকেটে এসেছেন অধিনায়ক লিটন দাস। ওভারে ৩ রান দিয়েছেন আগের ওভারের প্রথম ৩ বলেই ১৪ রান দেওয়া দত্ত।
বাঁহাতি স্পিনার ড্যানিয়েল ডোরামের করা পরের ওভারে এসেছে ৪ রান।
বাংলাদেশ: ৮ ওভারে ৭৭/১
আরিয়ান দত্তের করা পঞ্চম ওভারে চতুর্থ ও পঞ্চম বলে বলে টানা চার মেরেছেন লিটন দাস। বাংলাদেশ অধিনায়ক পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরেছেন। ডোরামকে রিভার্স সুইপ করে ছক্কাটি মেরেছেন লিটন। লিটন ১৬ বলে ২৯ ও তানজিদ ১৭ বলে ১৯ রান নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন।
পল ফন মিকেরেনের করা পরের ওভারে এসেছে ৮ রান। লেগ স্পিনার শারিজ আহমেদের করা অষ্টম ওভারের শেষ দুই চার মেরেছেন লিটন। ২০ বলে ৩৮ রান হয়ে গেছে তাঁর।
১২ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ৬০ রান।
কাইল ক্লাইনের করা নবম ওভারে ১৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারেন তানজিদ। পঞ্চম বলে ফাইন লেগ দিয়ে চোখে লেগে থাকার মতো এক ছক্কা মেরেছেন লিটন দাস। ২২ বলেই ৪৪ রান করে ফেলেছেন লিটন।
বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ৯৫/২
একটি ছক্কা মারলেই এক পঞ্জিকাবর্ষে টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কা রেকর্ড হতো তানজিদ হাসানের। বাংলাদেশের ওপেনার এই ম্যাচে সেটি পারলেন না। ২৪ বলে ২৯ রান করা তানজিদ বাঁহাতি স্পিনার টিম প্রিঙ্গলের বলে লং অনে ক্যাচ হয়েছেন ম্যাক্স ও’ডাউডের।
৯২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ। তাতে ভাঙল লিটন–তানজিদের ৬৬ রানের (৩৯ বল) জুটি। উইকেট এসেছেন সাইফ হাসান।
শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ৪২ রান।
বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ১১৫/২
চার মেরে দলকে ১০০ এনে দেওয়ার পরের বলে ১ রান নিয়ে ফিফটি পুরো করেন লিটন দাস। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এটি লিটনের ১৩তম ফিফটি। এই সংস্করণে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি ফিফটির রেকর্ডে সাকিব আল হাসানের পাশে বসলেন ২৬ বলে ফিফটি ছোঁয়া লিটন। সাকিব খেলেছেন ১২৯ ম্যাচ, লিটন ১০৮ ম্যাচেই ছুঁলেন রেকর্ড।
পরের ওভারে সাইফ হাসান একটি ছক্কা মেরেছেন।
বাংলাদেশ: ১৩ ওভারে ১২৪/২
সিরিজে এগিয়ে যেতে ৭ ওভারে ১৩ রান দরকার বাংলাদেশের। লিটন ২৯ বলে ৫৪ ও সাইফ ১৬ বলে ২২ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন।
১৪তম ওভারে বিক্রমজিৎ সিংকে টানা দুই ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন সাইফ হাসান। হাঁটু গেড়ে ফ্লিক করে প্রথম ছক্কাটি মারার পর পরের বলটিকে সাইট স্ক্রিনে আছড়ে ফেলেন সাইফ। ৩৯ বল হাতে রেখে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
অধিনায়ক লিটন দাস ২৯ বলে ৫৪ ও দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাইফ ১৯ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ভারত নির্ধারিত সফর স্থগিত করায় এশিয়া কাপের আগে প্রস্তুতি সারতে নেদারল্যান্ডসকে ডেকে আনে বাংলাদেশ। সেই প্রস্তুতির প্রথম পর্বে বড় জয়ই পেল বাংলাদেশ।
একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ সোমবার।
নেদারল্যান্ডস: ২০ ওভারে ১৩৬/৮ (নিদামানুরু ২৬, ও’ডাউড ২৩, প্রিঙ্গল ১৬, শারিজ ১৫; তাসকিন ৪/২৮, সাইফ ২/১৮, মোস্তাফিজ ১/১৯)। বাংলাদেশ: ১৩.৩ ওভারে ১৩৮/২ (লিটন ৫৪*, সাইফ ৩৬*, তানজিদ ২৯, পারভেজ ১৫; প্রিঙ্গল ১/১৬, দত্ত ১/৩০)। ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী। সিরিজ: ৩–ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ১–০–তে এগিয়ে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তাসকিন আহমেদ।