টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বাংলাদেশ টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছে একবারই। ২০০৩ সালে ডারউইন ও কেয়ার্নসে দুই টেস্টের সফরটি হয়েছিল জুলাই মাসে, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট গ্রীষ্মের বাইরে।
আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ দলের দুই টেস্টের সিরিজ খেলার কথা। যদিও ২১ বছর পর দ্বিতীয় টেস্ট সফর, তবু সেটি হলে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট গ্রীষ্মে অন্তত প্রথমবার টেস্ট খেলার সুযোগ পেত বাংলাদেশ দল। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটি ২০২৭ সালের মার্চে না খেলে ২০২৬ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এগিয়ে আনতে চাইছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশ দলের অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে অস্ট্রেলিয়ায় যাবে নিউজিল্যান্ড ও ভারতীয় দল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ টেস্টের পরিবর্তে ৪ টেস্টের সিরিজ খেলতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া। আবার ওই গ্রীষ্মেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট খেলার ১৫০ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। সেটি উদ্যাপনেও বিশেষ পরিকল্পনা আছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট দুটি এগিয়ে আনতে চাইছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেটা হলে অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মের ক্রিকেট সূচিতে আর টেস্ট খেলা হবে না বাংলাদেশের।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে এ রকম প্রস্তাব পাওয়ার কথা গতকাল নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, ‘তারা একটা প্রস্তাব দিয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টা এখনো আলোচনার পর্যায়ে আছে।’
এর আগে ২০১৮ সালে ২টি টেস্ট ও ৩টি ওয়ানডে খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। সম্প্রচারকদের অনাগ্রহের কথা বলে সেবারও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ দলকে আতিথেয়তা দেয়নি।
শুধু বাংলাদেশ দলের অস্ট্রেলিয়া সফরের ক্ষেত্রেই নয়, টেস্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়া দলও বাংলাদেশে আসতে বরাবরই অনীহা প্রকাশ করে আসছে। ২০১৫ সালে নিরাপত্তাশঙ্কার অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে আসেনি অস্ট্রেলিয়া দল। সিরিজটি পরে হয় ২০১৭ সালে। শেষ ২০২০ সালেও করোনার কারণে বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে আসেনি অস্ট্রেলিয়া দল।
টেস্টে বাংলাদেশ–অস্ট্রেলিয়া এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ছয়বার, এর মধ্যে চারটিই হয়েছে বাংলাদেশে। দুই দলের শেষ টেস্ট ম্যাচ হয়েছে ২০১৭ সালে।