প্যাট কামিন্স আনমনে গেয়ে উঠতেই পারেন—এ যেন সাফল্যের দিন, এ লগন সাফল্য কুড়াবার! আন্তর্জাতিক থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট, টেস্ট থেকে ওয়ানডে—সর্বত্রই যেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের জয়জয়কার। এ বছরটা কামিন্সের কেটেছে সাফল্যের তিলক কপালে আঁকতে আঁকতে। ক্যারিয়ারে যেন তাঁর মধুচন্দ্রিমা চলছে!
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের স্মারক ‘গদা’ জয়ের পর ঘরের মাঠে ভারতীয়দের স্তব্ধ করে দিয়ে জিতেছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এটাকে কামিন্সের ক্যারিয়ার-মধুচন্দ্রিমা না বলে উপায় কী! আজ যেন সেই মধুচন্দ্রিমায় যোগ হলো আরেকটি মখমলে রাত! তাঁর সাফল্যের মুকুটে আরেকটি পালক যোগ হয়েছে আজই শেষ হওয়া মেলবোর্ন টেস্টে। মেলবোর্নে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেশের মাটিতে ৩ ম্যাচের সিরিজে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জয় নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার জয়ের দিনে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন কামিন্স। মেলবোর্নে পাকিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ২৬৪ রানে অলআউট করতে ২০ ওভার বোলিং করে ৪৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসের বোলিং যেন প্রথম ইনিংসের কার্বন কপি। ১৮ ওভার বোলিং করে ৪৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। সব মিলিয়ে ম্যাচে ১০ উইকেট। এর আগে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এক টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি ছিল না আর কোনো অধিনায়কের।
এর আগে এমসিজিতে অধিনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ারই হিউ ট্রাম্বলের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ৮ উইকেট নিয়েছিলেন ১২৬ রান দিয়ে। এ ছাড়া ভারতের সাবেক অধিনায়ক লালা অমরনাথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৩০ রানে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। এমসিজিতে অধিনায়ক হিসেবে ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে আরও একটি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেটা গড়েছিলেন ভারতের আরেক সাবেক অধিনায়ক অনিল কুম্বলে। তিনি ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ১৮৬ রানে।
১০ উইকেট নিয়ে কামিন্স নিজের নামটি লিখিয়েছেন কিংবদন্তি অ্যালান বোর্ডারের পাশেও। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে কামিন্সের আগে মাত্র একজন অধিনায়কই এক টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছিলেন। ১৯৮৯ সালে সিডনিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ৭ উইকেটের জয়ে সেই সময়ের অধিনায়ক বোর্ডার ৯৬ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট।