বাংলাদেশ: ১৯ ওভারে ১৪৪
ফিফটি ছোঁয়ার পরপরই আউট হয়ে গেলেন তানজিম হাসান। তাঁর বিদায়ে বাংলাদেশের ৯ উইকেট পড়লেও আগেভাগেই জিতে গেল পাকিস্তান। কারণ, বোলিংয়ের সময় চোট নিয়ে মাঠ ছাড়া বাংলাদেশি পেসার শরীফুল ইসলাম ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি।
দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তান জিতল ৫৭ রানে। এ জয়ে এক ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিল স্বাগতিকেরা। ঘরের মাঠে এটি পাকিস্তানের সাড়ে তিন বছর পর টি–টোয়েন্টি সিরিজ জয়। এই সিরিজের আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নিজেদের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩–০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছিল পাকিস্তান।
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০১/৬ (ফারহান ৭৪, নেওয়াজ ৫১*, হারিস ৪১, সালমান ১৯; তানজিম ২/৩৬, হাসান ২/৪৭, রিশাদ ১/৫০)। বাংলাদেশ: ১৯ ওভারে ১৪৪ অলআউট (তানজিম ৫০, তানজিদ ৩৩, মিরাজ ২৩; আবরার ৩/১৯, ফাহিম ১/৮, শাদাব ১/১৩, সাইম ১/১৪)। ফল: পাকিস্তান ৫৭ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাহিবজাদা ফারহান। সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে।
বাংলাদেশ–পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টির ধারাবিবরণীতে স্বাগত। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে ৩৭ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে আছে পাকিস্তান। আজ একই মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচ।
প্রথম ম্যাচের মতো আজও আগে ব্যাটিং করবে পাকিস্তান। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগা বলেছেন, তাঁর দল স্কোরবোর্ডে ভালো সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখতে চায়।
বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বলেছেন, শুরুতে বোলিং করতে হবে বলে সমস্যা নেই। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালোই মনে হচ্ছে।
মজার বিষয় হচ্ছে, প্রথম টি–টোয়েন্টির টসেও দুই অধিনায়ক একই ধরনের কথা বলেছিলেন। একজন বড় সংগ্রহ গড়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার কথা, আরেকজন বোলিংয়ে সমস্যা না থাকার কথা।
বাংলাদেশ দল আগের ম্যাচের একাদশ থেকে একটি পরিবর্তন এনেছে। দলে ঢুকেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাদ পড়েছেন সহ–অধিনায়ক মেহেদী হাসান।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস (অধিনায়ক), পারভেজ হোসেন, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামী হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলাম।
একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তানও। ফখর জামানের জায়গায় এসেছেন সাহিবজাদা ফারহান।
সালমান আগা (অধিনায়ক), হাসান নওয়াজ, শাদাব খান, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, হারিস রউফ, আবরার আহমেদ, সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে এক আগে শততম টি–টোয়েন্টি খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ (১৪১), সাকিব আল হাসান (১২৯), মোস্তাফিজুর রহমান (১০৭) ও মুশফিকুর রহমানের (১০২) পর পঞ্চম। এর মধ্যে মোস্তাফিজ বাদে বাকি তিনজনই টি–টোয়েন্টিকে বিদায় জানিয়েছেন।
পাকিস্তান: ১ ওভারে ৭/০।
দলে ফিরেই প্রথম ওভারে বল হাতে পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। উইকেটও এনে দিয়েছিলেন প্রায়। কিন্তু তানজিদ হাসান ক্যাচ নিতে পারেননি।
তৃতীয় বল তুলে মারতে চেয়েছেন সাহিবজাদা ফারহান। বল ওপরে উঠে গেলে পয়েন্ট থেকে দৌড়ে কাভারের দিকে গেছেন তানজিদ। ঝাঁপিয়ে বল নাগালেও পেয়েছেন। তবে হাত একটু বেশিই সামনে ছিল। বল পড়েছে মাটিতে।
পাকিস্তান: ২ ওভারে ১২/১।
দ্বিতীয় রান নিয়ে তৃতীয় রানের জন্য দৌড় শুরু করেছিলেন সাইম আইয়ুব। তবে রান হবে না বুঝতে পেরে ঘুরে দাঁড়ালেও হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। ফল: রানআউট। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে প্রথম উইকেট হারাল পাকিস্তান।
লং অন বাউন্ডারি থেকে ফিল্ডিং করে বল পাঠিয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়, স্টাম্প ভেঙেছেন লিটন দাস। এই ওভার শুরু করেছিলেন শরীফুল ইসলাম। তবে তৃতীয় বলের পর পায়ে অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়ে গেছেন তিনি। ওভার শেষ করেন শামীম হোসেন।
পাকিস্তান: ৪ ওভারে ৪৩/১।
প্রথম দুই ওভার থেকে এসেছিল ১২ রান। তবে তৃতীয় ওভারে মিরাজ ফেরার পর তাঁকে দুই ছক্কা মেরেছেন সাহিবজাদা ফারহান। পরের ওভারে হাসান মাহমুদকে মেরেছেন দুটি চার। এক বল পর মোহাম্মদ হারিস মেরেছেন ছক্কা। অর্থাৎ, মিরাজের তৃতীয় ওভারে ১৪ আর হাসানের চতুর্থ ওভারে ১৭ রান নিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান: ৬ ওভার শেষে ৬৭/১।
পাওয়ার প্লেতে ওভারে গড়ে ১১–এর বেশি রান তুলেছে পাকিস্তান। সাইম আইয়ুব রানআউট হয়ে ফিরলেও সাহিবজাদা ফারহান ও মোহাম্মদ হারিসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম ৬ ওভারে পাকিস্তান ৬৭ রান তুলেছে। ফারহান ৩৯, হারিস ২৩ রানে ব্যাট করছেন।
পাকিস্তান: ১০ ওভার শেষে ১০৭/১।
ম্যাচের প্রথম ওভারের পর দশম ওভারেও ক্যাচ দিয়ে বেঁচেছেন ফারহান। রিশাদকে তুলে মারতে গেলে বল উঠেছে আকাশে, দৌড়ে বলের কাছে পৌঁছলেও ক্যাচ নিতে পারেননি মিরাজ। যদিও খুব সহজ সুযোগ ছিল না।
এর আগে মিরাজের করা প্রথম ওভারে তানজিদের হাত থেকে বেঁচেছিলেন ফারহান। তখন রান ছিল ০। এবার ৫১।
পাকিস্তান: ১১ ওভারে ১১৫/২।
অবশেষে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা মিলল বাংলাদেশের। ১১তম ওভারে তানজিম হাসানের বলে পয়েন্টে সোজা রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন হারিস (২৫ বলে ৪১ রান)। নতুন ব্যাটসম্যান হাসান নওয়াজ। আরেক প্রান্তে ৬৮ রানে অপরাজিত ফারহান।
পাকিস্তান: ১২ ওভারে ১২৯/৩।
দুবার ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যাওয়া ফারহান অবশেষে আউট হয়েছেন। রিশাদ হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
তবে আউট হওয়ার আগে পাকিস্তানের জন্য সর্বোচ্চটাই করে গেছেন। ৪টি চার আর ৬টি ছক্কায় ৪১ বলে করেছেন ৭৪ রান।
নতুন ব্যাটসম্যান সালমান আগা। নেমে রিশাদকে প্রথম দুই বলেই চার মেরেছেন।
পাকিস্তান: ১৬ ওভারে ১৬৯/৪।
পাকিস্তান অধিনায়ককে এলবিডব্লিউতে ফিরিয়েছেন হাসান মাহমুদ। সালমান র্যাম্প শট খেলতে চেয়েছিলেন, তবে বল ছিল মিডল স্টাম্পে ইয়র্কার। ১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে চতুর্থ উইকেট হারাল পাকিস্তান। সালমান আউট হওয়ার আগে করেছেন ১২ বলে ১৯ রান।
পাকিস্তান: ১৯ ওভারে ১৯০/৫।
উনিশতম ওভারের শেষ বলে উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ। তাঁর বলে লং অনে বদলি ফিল্ডার নাজমুল হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন শাদাব খান (১০ বলে ৭)। ৪ ওভারে ৪৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন হাসান।
বিশতম ওভারের শেষ বলে তানজিম হাসানের বলে হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। শেষ বলের মতো ম্যাচের প্রথম দিকেও ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। তবে মাঝের পুরো সময়টায় দাপট দেখিয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরাই। ২০ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ৬ উইকেটে ২০১। এর আগে বুধবার সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতেও ২০১ রান করেছিল পাকিস্তান।
আজ পাকিস্তানের হয়ে রান করেছেন তিনজন। ফখর জামানের জায়গায় খেলা সাহিবজাদা ফারহান খেলেছেন ৪১ বলে ৭৪ রানের ইনিংস। ৬ ছক্কা আর ৪ চারে খেলা ইনিংসটির পথে অবশ্য দুবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচেছেন তিনি।
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০১/৬ (ফারহান ৭৪, সাইম ৪, হারিস ৪১, নওয়াজ ৫১*, সালমান ১৯, শাদাব ৭, ফাহিম ১*; মিরাজ ০/৩৮, শরীফুল ০/২, শামীম ০/২৮, হাসান ২/৪৭, তানজিম ২/৩৬, রিশাদ ১/৫০)।
দ্বিতীয় উইকেটে ফারহানের সঙ্গে ১০৩ রানের জুটিতে সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ হারিস। ২৫ বলে ৪১ রান করেছেন এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। আর শেষ দিকে পাকিস্তানকে দুই শ পার করানোতে মূল ভূমিকা হাসান নওয়াজের। ২৬ বলের ইনিংসে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ডানহাতি।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান। আরেক পেসার শরীফুল ইসলাম অবশ্য মাত্র তিন বল করার পর চোটের কারণে মাঠ ছেড়ে গেছেন।
বাংলাদেশ: ২ ওভারে ৩২/০।
২০১ রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে ৩২ রান তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। এর মধ্যে ১৩ বল (‘নো’ ডেলিভারিসহ) খেলে ২৯ রানই তানজিদ হাসানের। সালমান আগার করা প্রথম ওভারে মেরেছেন দুটি চার একটি ছয়। হাসান আলীর পরের ওভারে দুটি চার।
বাংলাদেশ: ৪ ওভারে ৪৫/১।
প্রতি ওভারে দরকার ১০ রানের বেশি গড়ে। মেরে খেলা ছাড়া গতি নাই। মারতে গিয়েই আউট হলেন পারভেজ হোসেন। হারিস রউফের বলে লং অনে হাসান আলীর ক্যাচ হয়েছেন ৭ বলে ৮ রান করা পারভেজ।
নতুন ব্যাটসম্যান লিটন দাস। অন্য প্রান্তে অপরাজিত ৩৩ রান করা তানজিদ।
বাংলাদেশ: ৫ ওভারে ৪৮/২।
ঝোড়ো শুরু এনে দেওয়া তানজিদের ইনিসংটা বড় হলো না। ফাহিম আশরাফের বলে শর্ট লেগে আবরার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এই বাঁহাতি। ফিরেছেন ১৯ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৩৩ রান করে।
নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়। অপর পাশে অধিনায়ক লিটন দাস। ফাহিম আশরাফের করা ওভারটিতে উঠেছে মাত্র ৩ রান।
বাংলাদেশ: ৬ ওভারে ৫৪/৩।
আবারও খেই হারিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। টানা তিন ওভারে গেছে তিন উইকেট। যার সর্বশেষ লিটন দাস। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে হাসান আলীর স্লোয়ারে মিড অনে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৯ বল খেলে ৬ রান করতে পেরেছেন লিটন।
জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে আরও ১৪৮ রান, ওভার বাকি ১৪টি।
বাংলাদেশ: ৭ ওভারে ৬০/৫।
আবরার আহমেদের বলে স্লগ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। আগের ম্যাচেও খুশদিল শাহর বলে অনেকটা এভাবেই আউট হয়েছিলেন তিনি। অবশ্য আজকের আউট ডিআরএস থাকলে হয়তো বেঁচেও যেতেন। খোলাচোখে মনে হয়েছে বল লেগ স্টাম্প মিস করে যেতে পারত। হৃদয়েরও সেটাই মনে হয়েছে। তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল তেমনই।
হৃদয় আউট হওয়ার পরের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন জাকের আলীও। সর্বশেষ ১৮ বলে ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ: ৯ ওভারে ৭০/৬
টপাটপ উইকেট পড়তেই আছে। এবার আউট হলেন শামীম হোসেন। আবরার আহমেদের বলে তাঁকেই ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন শামীম।
বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ৭৮/৭
৪৪/০ থেকে ৭৭/৭–এর দলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের স্পিনারদের সামলাতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে সফরকারীদের। ৩৩ রানের মধ্যে নেই ৭ উইকেট। ব্যাটসম্যানদের আসা–যাওয়ার মিছিলে এবার যোগ দিয়েছে রিশাদ হোসেন। কদিন আগে এই মাঠেই লাহোর কালান্দার্সের হয়ে পিএসএলের শিরোপা জেতা এই অলরাউন্ডার বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটে–বলে দুই ম্যাচের চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন।
বাংলাদেশ: ১৩ ওভারে ১০৩/৭
পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানজিম হাসান। নয়ে নামা তানজিম হারিস রউফকে মারলেন টানা দুই ছক্কা। ২০ বল পর প্রথম বাউন্ডারির দেখা পেল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ: ১৪ ওভারে ১১০/৮
লাহোরের এই পিচে স্পিনাররা এই মুহূর্তে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। সেটা বুঝতে পেরে দলের আরেক স্পিনার খুশদিল শাহকে বোলিংয়ে নিয়ে এলেন পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালমান। অধিনায়ককে সঠিক প্রমাণ করতে সময় নিলেন না খুশদিল। তাঁর ওভারের তৃতীয় বলে চার মারলেও শেষ বলে আউট হয়ে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের বিশাল ব্যবধানে পরাজয় নিশ্চিত। এর আগে ব্যাটিং–ঝলক দেখাচ্ছেন তানজিম হাসান। বোলার তানজিম আজ যেন পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেছেন। টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন তানজিম।
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে নয়ে নামা কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের এটিই প্রথম ৫০ ছোঁয়া ইনিংস। এর আগের সর্বোচ্চ ছিল তাসকিনের আহমেদের ৩১ রান, গত বছর সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
লাহোরেই আগামী রোববার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি–টোয়েন্টি, যেটি এখন নিছক আনুষ্ঠানিকতার। তবে বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা ধবলধোলাই এড়ানোর লড়াই। সেদিন যথারীতি খেলা শুরু হবে রাত ৯টায়, টস হবে রাত সাড়ে ৮টায়। সেই ম্যাচের সরাসরি ধারাবিবরণী নিয়ে আবার হাজির হবে প্রথম আলো। ততক্ষণ পর্যন্ত বিদায়!