বাংলাদেশ–পাকিস্তান টি–টোয়েন্টি সিরিজের সরাসরি ধারাবিবরণীতে সবাইকে স্বাগত। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষটি আজ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। আজ শেষ ম্যাচটা নিছক আনুষ্ঠানিকতার হলেও লিটন দাসের দলের জন্য ধবলধোলাই এড়ানোর লড়াই।
সিরিজের তিন ম্যাচেই টস জিতলেন পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালমান। তবে প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও আজ লিটন দাসকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আগের ম্যাচে চোটে পড়া পেসার শরীফুল ইসলাম সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন। তাঁর পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন আরেক পেসার খালেদ আহমেদ। বাংলাদেশের ৯২তম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে অভিষেক হচ্ছে খালেদের। তাঁকে ক্যাপ পরিয়ে দিয়েছেন জাতীয় দলের লজিস্টিকস ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। বাংলাদেশ দলে এই একটিই পরিবর্তন।
পাকিস্তান দলও একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে। হারিস রউফের পরিবর্তে খেলছেন আব্বাস আফ্রিদি।
বাংলাদেশ: লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, খালেদ আহমেদ, তানজিম হাসান ও হাসান মাহমুদ।
পাকিস্তান: আগা সালমান (অধিনায়ক), সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস, হাসান নেওয়াজ, শাদাব খান, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, আব্বাস আফ্রিদি, হাসান আলী ও আবরার আহমেদ।
শেষ টি–টোয়েন্টির আগে অতিথি বাংলাদেশ দলকে লাহোরের গর্ভনর হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে ভবিষ্যতে এমন আরও অনেক সিরিজ আয়োজনের কথা বলেছেন জারদারি। তিনি বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ছবি তুলেছেন এবং বিসিবি কর্মকর্তাদের হাতে স্মারক তুলে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ: ১ ওভারে ৫/০
বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসেছেন সাইম আইয়ুব। তাঁর প্রথম বলেই ডিপ মিড উইকেট দিয়ে চার মেরেছেন তানজিদ হাসান। পরের পাঁচ বলে এসেছে ১ রান।
বাংলাদেশ: ৩ ওভারে ২৭/০
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন হাসান আলী। সেই ওভারে সাবধানী ব্যাটিং করেছেন তানজিদ হাসান ও তাঁর উদ্বোধনী সঙ্গী পারভেজ হোসেন।
তবে তৃতীয় ওভারে সাইম আইয়ুব আবার বোলিংয়ে আসতেই ঝড় তুলেছেন পারভেজ। এই ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরেছেন পারভেজ।
বাংলাদেশ: ৪ ওভারে ৩৬/০
ওভারের পঞ্চম বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন তানজিদ। সেটা মুঠোবন্দী করা কঠিন হলেও ফাহিম আশরাফ ভালোই চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সফল হতে পারলেন না। তাঁর হাত থেকে বল ফসকে চলে গেল বাউন্ডারির বাইরে।
হাসান আলী করা ওভারের শেষ বলেও চার মেরেছেন তানজিদ।
বাংলাদেশ: ৫ ওভারে ৪৬/০
পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে পরিবর্তন এনেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালমান। সাইমের পরিবর্তে বোলিংয়ে এসেছেন ফাহিম আশরাফ। তাঁর প্রথম দুই বলেই চার মেরেছেন পারভেজ। পরের চার বল থেকে এসেছে আরও ২ রান।
বাংলাদেশ: ৬ ওভারে ৫৩/০
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসেছেন আব্বাস আফ্রিদি। তাঁর ওভারের তৃতীয় বলে চার মেরেছেন পারভেজ। সেই শটেই বাংলাদেশের স্কোর ৫০ পেরিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ: ৭ ওভারে ৬৪/০
পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালমান নিজেই বল করতে এলেন। তবে নিজের প্রথম ওভারটা ভালো হলো না। প্রথম পাঁচ বলে ৫ রান দেওয়ার পর শেষ বলে তানজিদ তাঁর ওপর চড়াও হয়ে পেলেন ছক্কা।
বাংলাদেশ: ৮ ওভারে ৮০/০
গত মাসে আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ৫৪ বলে করেছিলেন ১০০ রান পারভেজ। সেটি ছিল তামিম ইকবালের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি।
আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি–টোয়েন্টিতে ফিফটির দেখা পেলেন পারভেজ। আবরাব আহমেদের ওভারে একটি চার ও দুটি ছক্কা মেরেছেন নিজের মুখোমুখি হওয়া ২৭তম বলে পৌঁছালেন পঞ্চাশে।
দুর্দান্ত ব্যাটিং করছেন তানজিদ ও পারভেজ। তাঁদের সৌজন্যে ১১তম ওভারে ১০০ পেরিয়ে গেল বাংলাদেশ। নিজেদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে শতরান পেল বাংলাদেশ। এর তিনটিতেই জড়িয়ে আছে তানজিদের নাম।
বাংলাদেশ: ১১ ওভারে ১১২/১
ইনিংসের ১১তম ওভারেই প্রথম ব্রেকথ্রু পেল পাকিস্তান। ফাহিমের বলে র্যাম্প শট খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এলেন তানজিদ (৩২ বলে ৪২)। ভাঙল ১১০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ১২০/২
ওয়ান ব্রিংগস অ্যানাদার!
তানজিদের পর পারভেজও আউট (৩৪ বলে ৬৬)। বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিয়ে বিদায় নিলেন দুজনই। শাদাব খানের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা স্লগ করতে চেয়েছিলেন পারভেজ। কিন্তু ব্যাটের কিনারে লেগে ক্যাচ উঠে যায়। পাকিস্তানের উইকেটকিপার মোহাম্মদ হারিস বলটাকে গ্লাভসবন্দী করতে ভুল করেননি।
এখন ব্যাটিংয়ে নতুন দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়।
তানজিদ ও পারভেজ যেখানে শেষ করেছেন, সেখান থেকেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন লিটন ও হৃদয়। অধিনায়ক লিটন একটু রয়ে–সয়ে খেললেই হৃদয় শুরু থেকেই মারমুখী। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি থেকে এখন পর্যন্ত ২০ বলে এসেছে ৩৫ রান।
১০ রানরেট ঠিক রেখে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ! এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। ১৫ ওভারে সফরকারীদের সংগ্রহ ১৫০ রান ছুঁয়েছে। লিটনের দল শেষ ৫ ওভারে আরও কত রান যোগ করতে পারে, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।
সবে মারতে শুরু করেছিলেন লিটন। হাসান আলীর প্রথম দুই বল থেকে নিয়েছিলেন ৬ রান। কিন্তু তৃতীয় বলে তিন স্টাম্প ছেড়ে র্যাম্প শট খেলতে গিয়ে হলেন বোল্ড। ১৮ বলে ২২ রানে থামলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বাংলাদেশ: ১৭ ওভারে ১৭০/৩
ইনিংসের খুব বেশি বল বাকি নেই। তাই থিতু হওয়ারও সময় নেই। শামীম হোসেন নেমেই হাসান আলী টানা দুই বলে মারলেন চার। তাতে বাংলাদেশ ১০ রানরেট ধরে রাখতে পেরেছে।
শুরুটা দারুণ হয়েছিল শামীম হোসেনের। কিন্তু ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকতে পারলেন না। আব্বাস আফ্রিদির বলে উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটে–বলে ঠিকঠাক হয়ে ওঠেনি। ক্যাচ দিলেন উইকেটকিপার হারিসের হাতেই।
বাংলাদেশ: ১৮ ওভারে ১৭২/৫
বল হাতে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিচ্ছে পাকিস্তান। এক বলের ব্যবধানে তাওহিদ হৃদয়কেও ফেরালেন আব্বাস আফ্রিদি। তাঁর ইয়র্কার তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে সাইম আইয়ুবের হাতে ধরা পড়লেন হৃদয় (১৮ বলে ২৫)।
বাংলাদেশ: ১৯ ওভারে ১৮৪/৫
ফাহিম আশরাফের শেষ ওভার থেকে এল ১২ রান। প্রথম তিন বলে মাত্র ২ রান এলেও শেষ তিন বলে ছক্কা ও চারে ১০ রান নিলেন জাকের আলী। বাংলাদেশের ২০০ ছোঁয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রইল।
বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসেছেন হাসান আলী। প্রথম বলটা অফ স্টাম্পের বাইরে স্লোয়ার দিয়েছেন। সেটিকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে হাসান নেওয়াজের হাতে ধরা পড়লেন মেহেদী হাসান মিরাজ (৩ বলে ১)।
২০০ হতে হতেও হলো না। বাংলাদেশ থামল ১৯৬ রানে। হাসান আলী শেষ ওভার থেকে এল ১২ রান। মিরাজ আউট হওয়ার পর ‘নো বল’ করেছিলেন হাসান। ফ্রি হিটে ছক্কা মেরেছেন আগের ম্যাচে ফিফটি করা তানজিম হাসান। ২০০ করতে হলে শেষ বলে ছক্কা মারতে হতো। কিন্তু জাকের আলী নিতে পেরেছেন ২ রান।
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৯৬/৬ (পারভেজ ৬৬, তানজিদ ৪২, হৃদয় ২৫, লিটন ২২, জাকের ১৫*; আব্বাস ২/২৬, হাসান ২/৩৮, শাদাব ১/২৬, ফাহিম ১/৪১)।
আজকের ১৯৬ রানই টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ১৭৫, পাল্লেকেতে ২০১২ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুবার ১৭০+ রান করেছে বাংলাদেশ। দুবারই সেই লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে পাকিস্তান।
টি–টোয়েন্টিতে ১৯৬ রানের বেশি তাড়া করে এ পর্যন্ত তিনবার জিতেছে পাকিস্তান। এই মাঠে (লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে) সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটাও পাকিস্তানের। ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্য ২ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে ছুঁয়েছিল শহীদ আফ্রিদির দল।
আজ জিতলে হলে পাকিস্তানকে নতুন রেকর্ড গড়তে হবে। বাংলাদেশ কি এই ম্যাচ জিতে ধবলধোলাই এড়াতে পারবে?
পাকিস্তান: ১ ওভারে ৮/১
প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে সাইম আইয়ুব বিশাল ছক্কা মেরেছিলেন। তবে ঘুরে দাঁড়াতে সময় নিলেন না মেহেদী হাসান সিরাজ। ওভারের শেষ বলে পাকিস্তানের আরেক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানকে ডিপ মিড উইকেটে রিশাদ হোসেনের ক্যাচ বানিয়ে ফেরালেন।
আগের ম্যাচে ক্যারিয়ারসেরা ৭৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন ফারহান। আজ ফিরলেন ৪ বলে মাত্র ১ রান করে।
পাকিস্তান: ৪ ওভারে ৩৯/১
সাহিবজাদা ফারহান দ্রুত আউট হলেও শুরুতেই ঝড় তোলার আভাস দিচ্ছেন মোহাম্মদ হারিস। হাসান মাহমুদের ওভারে দুটি ও মিরাজের ওভারে মেরেছেন একটি চার। এরপর অভিষিক্ত খালেদ আহমেদের প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে চার ও ছক্কায় নিয়েছেন ১০ রান।
পাকিস্তানের জিততে দরকার ৯৬ বলে আরও ১৫৮ রান।
পাকিস্তান: ৫ ওভারে ৫২/১
এবার চড়াও হয়েছেন সাইম আইয়ুব। হাসান মাহমুদের ওভারে সাইম মারলেন একটি চার ও ছক্কা। এই ওভার থেকে এল ১৩ রান। ৫ ওভারেই ৫০ পেরিয়ে গেল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ইনিংসে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভার করেছেন খালেদ আহমেদ। এই ওভারে দারুণ বল করেছেন খালেদ। দিয়েছেন মাত্র ৪ রান।
পাকিস্তান: ৮ ওভারে ৭৮/১
মোহাম্মদ হারিস ৩৮*, সাইম আইয়ুব ৩৮*। দুইজনই সমানতালে রান করে যাচ্ছেন।
পাওয়ারপ্লের পর বোলিংয়ে পরিবর্তন এনেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। দুই প্রান্ত থেকে বোলিংয়ে এসেছেন তানজিম হাসান ও রিশাদ হোসেন। কিন্তু দুজনেরই প্রথম ওভার ভালো হয়নি। তানজিমের ওভার থেকে এসেছে ১০ রান, রিশাদ দিয়েছেন ১২।
রিশাদের ওভারের দ্বিতীয় বলে সুযোগ দিয়েছিলেন সাইম। কিন্তু বাউন্ডারির কাছে কঠিন ক্যাচটা ডাইভ দিয়েও তালুবন্দী করতে পারেননি মিরাজ।
পাকিস্তান: ১০ ওভারে ১০৪/২
তানজিমের ওভারে প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন মোহাম্মদ হারিস। তাঁর সঙ্গী সাইম আইয়ুবও ছিলেন ফিফটির পথে। কিন্তু সাইমকে ৫০ করতে দিলেন না তানজিম। ওভারের পঞ্চম বলে লং অনে ধরা পড়লেন তানজিদ হাসানের হাতে। এই আউটে ভাঙল হারিস–সাইমের ৫৩ বলে ৯২ রানের জুটি।
ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন হাসান নেওয়াজ। তাঁকে সময়মতোই যেন ফেরালেন বাংলাদেশের অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৩ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে ২৬ রান করে নেওয়াজ আউট হয়েছেন রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
পাকিস্তান: ১২.৫ ওভারে ১৩৭/৩।
ব্যাটিংটা আজ বাংলাদেশ ভালো করেছে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে তুলেছে ১৯৬ রান। বড় স্কোর তাড়া করতে নেমেও ১৬ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেটে তারা করেছে ১৯৭ রান। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন পাকিস্তানের মোহাস্মদ হারিস।
ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেনের ওপেনিং জুটিতে ১০.৪ ওভারে আসে ১১০ রান। জুটি ভাঙে ৩২ বলে ৪২ রান করে তানজিদ ফিরলে। ৩ রান পরই ফিরেছেন পারভেজও। আউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৬৬ রান করেছেন পারভেজ। মেরেছেন ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা। এ ছাড়া লিটন দাস ১৮ বলে ২২, তাওহিদ হৃদয় ১৮ বলে ২৫ ও জাকের আলী ৯ বলে অপরাজিত ১৫ রান করেছেন।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই সাহিবজাদা ফারহানকে হারায় পাকিস্তান। তবে সাইম আইয়ুব ও হারিসের ৯২ রানের জুটিতে জয়ের দিকে এগিয়ে যায় তারা। সাইম ২৯ বরে ৪৫ রান করে আউট হয়েছেন। ৮ চার ও ৭ ছয়ে ৪৬ বলে ১০৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন হারিস। ১৩ বলে ২৬ রান করেছেন হাসান নেওয়াজ। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, একটি তানজিম সাকিব।
এই হারে পাকিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই হলো বাংলাদেশ।