
জিম্বাবুয়ে: ২২৭ ও ১১১
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৪৪
ফল: বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানে জয়ী।
দিনের নির্ধারিত ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার পর সময় বাড়িয়েছিলেন আম্পায়াররা। বাড়তি সময়ের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রানআউট হয়ে যান জিম্বাবুয়ের ভিনসেন্ট মাসেকেসা। মুমিনুল হকের থ্রো ভেঙে দেয় উইকেট।
আর তাতে নিশ্চিত হয় তিন দিনের মধ্যে বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে জয়। বাংলাদেশ জিতল ইনিংস ও ১০৬ রানে। টেস্টে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় ইনিংস ব্যবধানে জয়। ঘরের মাঠে টানা ৬ টেস্ট হারের পর বাংলাদেশের এটি প্রথম জয়। এই টেস্টের আগে দেশের মাটিতে বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট জিতেছিল ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে।
বাংলাদেশ দিনটা শুরু করেছিল ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে। মেহেদী হাসানের মিরাজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিতে ভর করে অলআউট হওয়ার আগে আরও ১৫৩ রান যোগ করে বাংলাদেশ। ২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা জিম্বাবুয়ে ২২ রানেই হারায় প্রথম ৩ উইকেট। এরপর অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ওপেনার বেন কারেনকে নিয়ে ৪৭ রানের জুটি গড়েন। আরভিনকে বোল্ড করে জুটি ভাঙা মিরাজ একই ওভারে ফিরিয়ে দেন ওয়েসলি মাধেভেরেকে। এরপর আর ৪২ রান যোগ হতেই অলআউট জিম্বাবুয়ে। সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ এক কীর্তিতেও নাম লিখিয়েছেন মিরাজ।
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের সরাসরি ধারাবিবরণীতে সবাইকে স্বাগতম। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ খেলা শুরু হওয়ার কথা সকাল ১০টায়।
এই টেস্ট কাভার করতে চট্টগ্রামে আছেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান ও শাওন শেখ। মাঠ থেকে তাঁরা দুজন সরাসরি যুক্ত থাকবেন আমাদের সঙ্গে।
আছেন প্রথম আলোর আলোকচিত্রী শামসুল হকও। আশা করছি আমরা দারুণ কিছু ছবি পাব তাঁর কাছ থেকে।
বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারত দিয়ে সিলেট টেস্ট হেরেছিল বাংলাদেশ দল। চট্টগ্রামে দুদিন অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছেন নাজমুলরা। দেখা যাক কতটুকু উন্নতি হয়েছে তাঁদের।
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে আমাদের প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান জানাচ্ছেন, চট্টগ্রামের সকালটা রোদ ঝলমলে। গরমও বেশ। এর মধ্যেই দুই দলের ক্রিকেটাররা মাঠে নেমে পড়েছেন ওয়ার্ম আপের জন্য। একটু পরই টস।
বাংলাদেশের একাদশ এখনো জানা যায়নি। তবে তানজিম সাকিবের যে টেস্ট অভিষেক হচ্ছে, এটা নিশ্চিত। সকালেই তানজিম হাসান সাকিবের মাথায় টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম। অন্য সতীর্থদের অভিনন্দন বার্তাও পেয়েছেন তিনি।
দেশের হয়ে ১০ ওয়ানডে ও ১৮ টি-টোয়েন্টি খেললেও তানজিম এবারই প্রথম মাঠে নামছেন টেস্ট খেলার জন্য। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৬ ম্যাচে ২৫ উইকেট আছে তাঁর।
টসে ভাগ্যকে পাশে পেলেন না বাংলাদেশ অধিনায়কা নাজমুল হোসেন। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নাহিদ রানা পিএসএল খেলতে গেছেন। টেস্ট অভিষেক হচ্ছে পেসার তানজিম সাকিবের। সিলেট টেস্টের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন মাহমুদুল হাসান ও খালেদ আহমেদ।
স্কোয়াডের পর একাদশেও সুযোগ পেয়েছেন এনামুল হক। উদ্বোধনী জুটিতে সাদমানের সঙ্গী হবেন তিনি। স্পিন শক্তি বাড়াতে একাদশে নেওয়া হয়েছে অফ স্পিনার নাঈম হাসানকে। তাঁকে নিয়ে একাদশে স্পিনার তিনজন।
বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, এনামুল হক, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলি, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, তানজিম হাসান, হাসান মাহমুদ।
টস হেরে ফিল্ডিং করতে নামা দুই পেসার বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিতে পারেননি। অভিষিক্ত তানজিম হাসানের সঙ্গে হাসান মাহমুদ বোলিং শুরু করেছেন। কয়েকবার ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিয়েছেন, কিন্তু উইকেট পাননি।
৭ ওভারে ২৮ রান তোলা জিম্বাবুয়ের শুরুটা ভালোই বলতে হবে। উইকেটের খোঁজে অষ্টম ওভারেই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে এসেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
বোলিংয়ে আসার পরই উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মিরাজ। তবে স্লিপে সহজ ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছেন সাদমান ইসলাম
শুরু থেকেই ব্যাটসম্যানদের বেশ ভোগাচ্ছিলেন তানজিম হাসান। কিন্তু উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না। অবশেষে ১১তম ওভারে এসে উইকেট এনে দিলেন তিনিই। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে গেছেন ব্রায়ান বেনেট।
নিক ওয়েলসকে ক্যাচ আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। বাংলাদেশও মেতেছিল উচ্ছ্বাসে। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন ওয়েলস। দেখা গেল, মিরাজের বলটা তাঁর ব্যাট বা গ্লাভসে লাগেনি। পরে এলবিডব্লু হয়েছেন কি না তাও দেখা হয়েছে, তবে ইম্প্যাক্ট আউটসাইড।
জিম্বাবুয়ে: ৬০/১
বোলিংয়ে এসেই উইকেট পেলেন তাইজুল ইসলাম। তাঁর ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হয়ে গেছেন বেন কারেন। ৫০ বল খেলে ২১ রান করেছেন তিনি। আগে একবার মিরাজের বলে জীবন পেয়েছিলেন কারেন।
দুই পেসার দিয়ে শুরুটা করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু উইকেটের দেখা না পাওয়ায় অষ্টম ওভারেই নিয়ে আসা হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। তিনি এসে সুযোগ তৈরি করলেও ক্যাচ ছেড়ে দেন সাদমান ইসলাম। আগে-পরে আরও কয়েকবার উইকেটের সম্ভাবনা জাগলেও পায়নি বাংলাদেশ। ইতিবাচক ক্রিকেট খেলে রান করেছে জিম্বাবুয়ে, ওভারপ্রতি ৩ রানের বেশি করেছে তাঁরা। ২৮ ওভারে তুলেছে ৮৯ রান। জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা ১০টি চারের সঙ্গে মেরেছেন তিনটি ছক্কা। তাঁদের ২টি উইকেট অবশ্য নিয়েছে স্বাগতিকেরা। একটি পেয়েছেন অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিব, আরেকটি তাইজুল ইসলাম।
তাইজুল ইসলামের বলটা শর্ট ফাইন লেগে ফেলে দৌড় শুরু করেন শন উইলিয়ামস। কিন্তু উইকেটের মাঝপথে গিয়েই পড়ে যান তিনি। একপর্যায়ে পুরো শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত কোনো মতে গিয়ে ক্রিজে পৌঁছান। এর মাঝে থ্রোটা হয় স্ট্রাইক প্রান্তে উইকেটকিপার জাকের আলীর কাছে। গ্লাভস হাতে তাঁর দুর্বল থ্রো যতক্ষণে বোলার তাইজুলের কাছে পৌঁছায়, ততক্ষণে উইলিয়ামস নিরাপদে পৌঁছে যান ক্রিজে।
জিম্বাবুয়ে ১১০/২
শুরু থেকে দুর্দান্ত ব্যাট করা নিক ওয়েলস হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। তাইজুল ইসলামের বলে থার্ড ম্যানে বল ঠেলে দুই রান নিয়ে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন। তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা ওয়েলস দ্বিতীয় ফিফটি পেয়েছেন। ১৭৮ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েছেন শন উইলিয়ামসের সঙ্গে। ৪১ রান করা উইলিয়ামসও হাঁটছেন হাফ সেঞ্চুরির পথে।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় সেশনেও খেলা হয়েছে ২৮ ওভার। জিম্বাবুয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলেছে ৭২ রান। তাতে ২ উইকেটে ১৬১ রান নিয়ে চা বিরতিতে গেছে জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় সেশনে ফিফটি পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটসম্যান নিক ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামস। ওয়েলচ অপরাজিত ৫৪ রানে, উইলিয়ামস ৫৫ রান।
দারুণ খেলছিলেন। তৃতীয় টেস্টেই পেয়ে গিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। কিন্তু হুট করেই কি না তিনি হাঁটা দিলেন ড্রেসিংরুমে। কৌতূহল হওয়াটাই স্বাভাবিক। জানা গেল, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে নাকি রিটায়ার্ডের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়েলচ। পরে অবশ্য জানা গেছে, সঙ্গে চোটের সমস্যাও আছে। চা বিরতির আগেই ক্র্যাম্প হয়েছিল তাঁর— ১৩১ বলে ৫৪ রান করেছিলেন ওয়েলচ। ২৩০ বলে ৯০ রানের জুটি ছিল উইলিয়ামসের সঙ্গে।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৬৮ ওভারে ১৭৭/৩
লম্বা সময় পর উইকেট পেল বাংলাদেশ। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে নিক ওয়েলচ ড্রেসিংরুমে ফেরার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। চট্টগ্রামেরই ছেলে নাঈম হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরের বল চালিয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দিলেন আরভিন। ৩১ বলে ৫ রান করে আউট হলেন তিনি। শন উইলিয়ামস অপরাজিত আছেন ৬৬ রানে।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৭১ ওভারে ১৭৯/৪
নাঈম হাসানকে এবার সৌভাগ্যবানই বলতে হবে। তাঁর করা লেগ স্টাম্পের বাইরের বলটা মারারই ছিল। শন উইলিয়ামসও সজোরে সুইপ করেছিলেন।
মনে হচ্ছিল বলটা তানজিম হাসানের মাথার ওপর দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো তানজিম অনেকটা উঁচুতে লাফিয়ে বাঁ হাতে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে ফেরালেন উইলিয়ামসকে। নাঈম টানা দুই ওভারে উইকেট পেলেও এই উইকেটের পুরো কৃতিত্ব তানজিমকেই দিতে হবে।
আরভিনের পর সেট ব্যাটসম্যান উইলিয়ামসও আউট হয়ে যাওয়ায় দুই প্রান্তেই এখন নতুন ব্যাটসম্যান। ওয়েসলি মাধেভেরে ১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন, তাফাদজাওয়াও সিগা এখনো কোনো রান নিতে পারেননি।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৭৮ ওভারে ২০০/৪
জোড়া ধাক্কার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে জিম্বাবুয়ে। ওয়েসলি মাধেভেরে ও তাফাদজাওয়াও সিগা দেখেশুনে ব্যাট করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে সফরকারীদের সংগ্রহ ২০০ হয়ে গেছে।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৭৯ ওভারে ২০০/৫
থিতু হওয়ার আভাস দিচ্ছিলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। তবে তাইজুল ইসলাম সেটি হতে দিলেন না। নিজের ২২তম ওভারের প্রথম বলেই মাধেভেরেকে ফেরালেন এই বাঁহাতি স্পিনার। বলটি লেগ স্টাম্পে পড়ে ভালোই বাঁক খেয়েছে। সেটি সামলাতে গিয়ে মাধেভেরের ব্যাটের কিনারে লেগেছে। উইকেটের পেছনে দারুণ দক্ষতায় বল মুঠোবন্দী করেছেন জাকের আলী।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৮১ ওভারে ২০৬/৭
১৭৭/২ থেকে ২০৬/৭—হুড়মুড়িয়ে পড়া নয়তো কী! ঘণ্টাখানেক আগেও প্রথম ইনিংসে প্রথম সংগ্রহের আশা জাগানো জিম্বাবুয়ে মাত্র ২৯ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছে।
‘কুফা’টা মূলত লেগেছে নিক ওয়েলচ রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ার পর। চট্টগ্রামের ছেলে নাঈম হাসানের জোড়া উইকেটে বাংলাদেশের ম্যাচে ফেরার আভাস দিয়েছিল।
শেষ বিকেলে তাইজুল ইসলাম ১৭ বলের মধ্যে তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরালেন। ওয়েসলি মাধেভেরের পর টানা দুই বলে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও রিচার্ড এনগারাভাকেও আউট করলেন তাইজুল।
ইনিংসের ৮১তম ওভারের চতুর্থ বলে এলবিডব্লু হন মাসাকাদজা। রিভিউ নিয়েও তিনি বাঁচতে পারেননি। পঞ্চম বলে এনগারাভাকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান তাইজুল। তবে ওভারের শেষ বলটা কোনোরকমে ঠেকিয়ে তাইজুলকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করেছেন ভিনসেন্ট মাসেকেসা।
তাইজুল–নাঈমের ঘূর্ণির সামনে এমনিতেই খাবা খাচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। এবার সফরকারীদের যন্ত্রণা বাড়াল মাসেকেসার রানআউট।
তাইজুলের ওভারের প্রথম বল স্কয়ার লেগে পাঠিয়ে ২ রান নিতে চেয়েছিলেন সিগা। কিন্তু মাসেকেসার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হলো। মিরাজের থ্রো থেকে বল পেয়ে তাইজুল যখন বেলস ফেলে দিলেন, তখন ক্রিজের ধারেকাছেও ফিরতে পারেননি মাসেকেসা।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৮৫ ওভারে ২১৭/৯
বাংলাদেশ শুধু ম্যাচেই ফিরল না, দিনটাই নিজেদের করে নিল। চট্টগ্রামের তীব্র গরমে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়া নিক ওয়েলচ আবার ব্যাটিংয়ে ফিরলেন বটে; কিন্তু এবার কোনো রান যোগ করতে পারলেন না। আর মাত্র দুটি বল খেলেই বোল্ড হলেন তাইজুলের বলে। ইনিংসে এটি তাইজুলের পঞ্চম উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ১৬বারের মতো ইনিংসের ৫ উইকেট নিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
২ উইকেটেই ১৭৭ রান তুলে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। মনে হচ্ছিল চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহই গড়তে চলেছে সফরকারীরা, বাংলাদেশের জন্য দিনটি হতে চলেছে হতাশার।
কিন্তু শেষ সেশনে পাশার দান যেন উল্টে দিলেন নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম। দুইজনের ঘূর্ণিতে ১৭৭/২ থেকে ২১৭/৯–এর দলে পরিণত হলো জিম্বাবুয়ে। এরপর শেষ উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ১০ রান যোগ করে ২২৭ রানে প্রথম দিন শেষ করল তারা।
জিম্বাবুয়ে মাত্র ৪০ রানের ব্যবধানে সর্বশেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে। দলটির ব্যাটিংয়ে ধস নামানোর শুরুটা করেছিলেন চট্টগ্রামেরই ছেলে নাঈম। টানা দুই ওভারে দুই উইকেট নেন এই অফ স্পিনার। একটি জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের, আরেকটি জিম্বাবুয়ের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করা শন উইলিয়ামসের।
এরপরের গল্পটা তাইজুলের। জিম্বাবুয়ের সর্বশেষ ৫ উইকেটের সবকটিতে তাঁর অবদান। ৪ উইকেট নিজে নিয়েছেন, অন্যটি করেছেন রানআউট।
দিনের শুরুটা অবশ্য ভালোই হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ২ উইকেটে ৮৯ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে যায় সফরকারীরা। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা তানজিম হাসানই ব্রায়ান বেনেটকে আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন। আরেক ওপেনার বেন কারেনকে বোল্ড করেন তাইজুল।
তবে দ্বিতীয় সেশন পুরোপুরি ভুলে যেতে চাইবে বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতির পর থেকে চা বিরতি পর্যন্ত কোনো উইকেট এনে দিতে পারেননি বোলাররা। এই সময়ে জিম্বাবুয়ে বিনা উইকেটে ৭২ রান যোগ করে।
যখন মনে হচ্ছিল জিম্বাবুয়ে প্রথম দিনেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে, তখনই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
আগামীকাল সকালে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সরাসরি ধারাবিবরণী নিয়ে হাজির হবে প্রথম আলো। ততক্ষণ পর্যন্ত বিদায়!
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২২৭/৯ (উইলিয়ামস ৬৭, ওয়েলচ ৫৪, বেনেট ২১, কারেন ২১; তাইজুল ৫/৬০, নাঈম ২/৪২, তানজিম ১/৪৯)। * ১ম দিন শেষে।
চট্টগ্রামে আজও গরম। কাল মেঘ করলেও বৃষ্টি নামেনি। আজ সকালে ঝড় হয়েছে। তবে এখন রৌদ্রোজ্জ্বল। খেলাও ঠিক সময়েই শুরু হচ্ছে। এখন দুই দলের ফিল্ডারদেরই ব্যস্ত দেখা যাচ্ছে ওয়ার্ম আপে।
জিম্বাবুয়ের আরও একটা উইকেট নিতে হবে আজ বাংলাদেশের বোলারদের। তারপর পরীক্ষা ব্যাটসম্যানদের।
দিনের প্রথম বল। মুজারাবানির বিদায়। অফ স্টাম্পের বাইরের তাইজুলের বলে হালকা করে ব্যাট ছুঁইয়েছিলেন মুজারাবানি। এবং সামান্য এজ লাগে। জাকের আলী সঙ্গে সঙ্গেই আবেদন করেন। আম্পায়ার সাড়া দেননি। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। থার্ড আম্পায়ার জানালেন, আউট।
২২৭ রানেই অলআউট জিম্বাবুয়ে। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিলেন তাইজুল।
দুই পেসার নিয়ে এই টেস্টে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ— বোলিং ইনিংসের শুরুটা হয়েছিল তাঁদের দিয়ে। শুরুর সুবিধা কাজে লাগালেও তাঁরা খুব আশা দেখানো কিছু করতে পারেননি। দুয়েকবার সম্ভাবনা জাগিয়েও পাননি উইকেটের দেখা। টেস্ট অভিষেক হওয়া তানজিম হাসানই অবশ্য এনে দিয়েছিলেন প্রথম উইকেট, সেটিই তাঁর একমাত্র। আরেক পেসার হাসান মাহমুদ উইকেটশূন্য।
মূল কাজটা করেছেন তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। জমাট বেঁধে যাওয়া জুটি ভেঙে নাঈম দুই ওভারে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। তাইজুল এরপর নিয়েছেন ৬ উইকেট। গতির সঙ্গে টার্নের মিশেলে সফল তাঁরা।
বাংলাদেশের জন্যও যা চিন্তার—জিম্বাবুয়ের একাদশেও যে আছেন একজন বাড়তি স্পিনার!
দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে ২২৭ রানে অলআউট করে দেওয়ার পর ব্যাটসম্যানদের দিকেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করতে নেমে দেখেশুনেই খেলছেন সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক। ১২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩৮।
শেষ পর্যন্ত এনামুলই কি উদ্বোধনী জুটি নিয়ে সমস্যার সমাধান হবেন? এখনই বলে দেওয়া মুশকিল। তবে সাদমান ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে আশাটা অন্তত তিনি দেখিয়েছেন। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুজনের উদ্বোধনী জুটি পেরিয়েছে পঞ্চাশ। বাংলাদেশের এমন কিছুর অপেক্ষাটা বেশ দীর্ঘ— ১২ ইনিংস পর পঞ্চাশ পেরোনো শুরুর জুটি পেল তারা। ভারতের বিপক্ষে গত বছর সেপ্টেম্বরে শেষবার ৬২ রানের জুটি গড়েছিলেন সাদমান ও জাকির হাসান।
জুটির পঞ্চাশ পেরোনোর পর ব্যক্তিগত ফিফটিটাও পেয়ে গেলেন সাদমান ইসলাম। ৮০ বল খেলে ৭ চারে ৫১ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ষষ্ঠ ফিফটি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টনে ৬৪ রানের ইনিংসের পর প্রথম। এনামুলের সঙ্গে সাদমানের উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ পেরিয়েছে। ২০২২ সালের পর এই প্রথম উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ পেরোল বাংলাদেশ।
প্রথম বলেই উইকেট নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে গিয়েছিল বাংলাদেশ। আগের ওই অস্বস্তিটা এখন অবশ্য নেই। জিম্বাবুয়ের বোলার-ফিল্ডারদের সুযোগ দিচ্ছেন না দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক। ২৫ ওভারের মধ্যেই ৫ বোলারকে ব্যবহার করতে হয়েছে সফরকারীদের, সব মিলিয়ে এক সেশনেই বল করেছেন ছয়জন।
১২ ইনিংস পর বাংলাদেশ উদ্বোধনে পঞ্চাশ পেরোনো জুটি পেয়েছে, পরে তা পেরিয়েছে সেঞ্চুরি; ৩২ ইনিংস পর। টেস্টে নিজের ষষ্ঠ ফিফটি পেয়েছেন সাদমান ইসলাম। ৯১ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত তিনি। ৬৫ বলে ৩৮ রান করেছেন এনামুল।
মুজারাবানির বল, এলবিডব্লুরয়ের আবেদন, আম্পায়ারের আঙুল তুললেন। এনামুল আউট।
ধৈর্যের পুরস্কার পেলেন মুজারাবানি। এনামুল রিভিউ নিয়েছিলেন। অফ স্টাম্পের একটু বাইরে ব্যাক অফ লেন্থে পিচ করে ভেতরে ঢোকা বল। ভুল লাইনে ব্যাট চালিয়েছেন এনামুল। বল তার পেছনের পায়ে লেগেছে। আম্পায়ার্স কল। এনামুলকে মাঠ ছাড়তে হচ্ছে!
তিন বছর পর টেস্ট দলে ফেরা এনামুল আউট হলেন ৩৯ রান করে।
টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা পেলেন সাদমান।
অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেন্থের বল, সাদমান ড্রাইভ করলেন। এক্সট্রা কভার ও মিড অফের মাঝ দিয়ে বল সীমানার বাইরে।
এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২০২১ সালের জুলাইয়ে হারারেতে করেছিলেন প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। এরপর তিনটা ফিফটি করেছেন, গত বছর রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তো আউট হয়ে যান সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকা অবস্থায়। অবশেষে সেই সেঞ্চুরি ধরা দিল আজ। যে সেঞ্চুরির পথে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০০০ রানের মাইলফলকও পেরিয়েছেন সাদমান।
মাসাকাদজার ওভারের শেষ বলে মুমিনুল ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন। পরের ওভারের প্রথম বলেই রায়ান বেনেট এলবিডব্লু করলেন সাদমানকে। দুজনেই খেলছিলেন দারুণ। গড়েছিলেন ৭৬ রানের জুটি। মুমিনুল বলা যায়, অনর্থক আউট হলেন স্লগ সুইপ করতে গিয়ে। ৩৩ রান করেছেন, অনায়াসে ফিফটি বা এর চেয়েও বড় করতে পারতেন ইনিংস।
সাদমানের দুর্ভাগ্য, স্টাম্পের ওপর যথেষ্ট ফ্লাইট দেওয়া ভালো লেন্থের বল ছিল, অন-সাইডে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে লাইন মিস করলেন।
জোড়া ধাক্কা সামলে ৪০ পেরোনো জুটি গড়েছেন মুশফিকুর রহিম-নাজমুল হোসেন। এরই মধ্যে জিম্বাবুয়ের করা ২২৭ রান পেরিয়ে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। এ লিড কত বড় হয়, সেটা অনেকাংশেই নির্ভর করছে এ দুজন কতক্ষণ ক্রিজে থাকেন, তার ওপর।
আপাতত মুশফিক ব্যাট করছেন ২২ রানে, নাজমুল করেছেন ১৪ রান।
বাংলাদেশ: ২৩৫/৩
অফ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া বলটি একটু দেরি করে নাজমুলের সামনে পড়েছিল। স্পিন করে তাঁর দিকেই যাচ্ছিল বল। সেই বলে শর্ট মিড উইকেটে ওয়েলচকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে ৫৪ বলে করেছেন ২৩ রান। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েছেন ৬৫ রানের জুটি।
বাংলাদেশ: ৭০.৪ ওভারে ২৫৯/৪।
৭৪.২ ওভারে মাসেকেসার বলে জাকের আলী অ্যাক্রস দ্য লাইন খেলতে গিয়ে বোলারের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিলেন। ১৩ বলে ৫ রান করে ফিরলেন জাকের।
ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ: ৭৫ ওভারে ২৬৮/৫। ৪১ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৭৭ ওভারে ২৭৪/৬
দ্রুত রান নিতে গিয়ে রানআউট হলেন মুশফিকুর রহিম। ভিনসেন্ট মাসেকেসার ওভারের শেষ বলে ১ রান নিয়ে পরের ওভারে স্ট্রাইক নিতে চেয়েছিলেন মুশফিক। বলটিকে মিড অনে পাঠিয়ে নিজেই রান নেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু ওয়েসলি মাধেভেরের সরাসরি থ্রোয়ে ডাইভ দিয়েও বাঁচতে পারলেন না।
৫৯ বলে ৪০ রান করা মুশফিক দারুণ খেলছিলেন। মেরেছিলেন ৬ চার ও ১ ছক্কা। হঠাৎ কেন সিঙ্গেল নেওয়ার জন্য তাড়া দেখালেন, তা বোধগম্য নয়।
মুশফিকের আউটের পর বলতেই হচ্ছে, জিম্বাবুয়ের মতো কি বাংলাদেশের ব্যাটিংয়েও ধস নামা শুরু হয়ে গেল? ১ উইকেটে ১৯৪ থেকে বাংলাদেশ যে এখন ৬ উইকেটে ২৭৪–এর দলে পরিণত হয়েছে! স্বাগতিকেরা ৮০ রান যোগ করতেই হারিয়েছে ৫ উইকেট। সর্বশেষ ৩ উইকেট পড়েছে ১৫ রানের ব্যবধানে।
৪ উইকেট হাতে নিয়ে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড এখন ৪৭ রান।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮৩ ওভারে ২৭৯/৭, লিড ৫২ রান
জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ে কাল ধস নামানোর শুরুটা করেছিলেন নাঈম হাসান। চট্টগ্রামের ছেলে নাঈম ব্যাটিংয়েও কিছুটা অবদান রাখবেন—নিশ্চয় এমন প্রত্যাশা ছিল চট্টগ্রামবাসীর। কিন্তু প্রথম ইনিংসে তিনি হতাশ করলেন। ভিনসেন্ট মাসেকেসার বলে দ্বিতীয় স্লিপে শন উইলিয়ামসের হাতে ধরা পড়ার আগে করতে পারলেন মাত্র ৩ রান।
নাঈম আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন বোলিংয়ে বাংলাদেশের নায়ক তাইজুল ইসলাম। তিনি সঙ্গ দিচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজকে।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮৭ ওভারে ২৯১/৭, লিড ৬৪ রান
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা অম্লমধুর কাটল বাংলাদেশের। তবে নাজমুল হোসেনের দল প্রথম দুই সেশন যেভাবে দাপট দেখিয়েছে, মনে হচ্ছিল পুরো দিনটিই বাংলাদেশের হতে চলেছে। কিন্তু তেমনটা হলো না শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে ধস নামার কারণে।
বাংলাদেশ দিন শেষ করল ৭ উইকেটে ২৯১ রানে। ৩ উইকেট হাতে নিয়ে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের চেয়ে তারা এগিয়ে ৬৪ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৬ ও তাইজুল ইসলাম ৫ রানে অপরাজিত।
অথচ শুরুটা কী দুর্দান্ত হয়েছিল বাংলাদেশের। দিনের প্রথম বলেই ব্লেসিং মুজারাবানিকে আউট করে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস মুড়িয়ে দেন তাইজুল।
এরপর সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়ের সৌজন্যে ৩৩ ইনিংস ও ২৮ মাস পর টেস্টে উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ রানের দেখা পায় বাংলাদেশ। দলীয় ১১৮ রানে এনামুলের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মুমিনুল হককে নিয়ে আরও ৭৬ রান যোগ করেন সাদমান। তিনি পেয়ে যান টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তবে দলকে ১৯৪ রানে রেখে মুমিনুল–সাদমান দুজনই আউট হন।
তবু বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানেই ছিল। কারণ, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম মিলিয়ে গড়েন আরেকটি ৫০ পেরোনো জুটি। কিন্তু শেষ এক ঘণ্টায় দারুণভাবে ম্যাচে ফেরার আভাস দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ২০ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
নাজমুলের পর আউট হয়েছেন জাকের আলী। মুশফিক দ্রুত রান নিতে গিয়ে নিজের সর্বনাশ ডেকে এনেছেন। আর নাঈম হাসান স্লিপে ক্যাচিং অনুশীলন করিয়ে বাংলাদেশের বিপদ বাড়িয়েছেন।
আগামীকাল মিরাজ–তাইজুলরা বাংলাদেশের লিডকে কতটা বড় করতে পারেন, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের সরাসরি ধারাবিবরণী নিয়ে হাজির হবে প্রথম আলো। ততক্ষণ পর্যন্ত বিদায়!
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৯০.১ ওভারে ২২৭ (উইলিয়ামস ৬৭, ওয়েলচ ৫৪, বেনেট ২১, কারেন ২১; তাইজুল ৬/৬০, নাঈম ২/৪২, তানজিম ১/৪৯)। বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮৭ ওভারে ২৯১/৭ (সাদমান ১২০, মুশফিক ৪০, এনামুল ৩৯, মুমিনুল ৩৩, নাজমুল ২৩, মিরাজ ১৬*, তাইজুল ৫*; মাসেকেসা ৩/৪৪, মুজারাবানি ১/৪৪, বেনেট ১/৪৯, মাসাকাদজা ১/৭৭)। * ২য় দিন শেষে বাংলাদেশ ৬৪ রানে এগিয়ে।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের সরাসরি ধারাবিবরণীতে সবাইকে স্বাগতম। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজও খেলা শুরু হওয়ার কথা সকাল ১০টায়।
এই টেস্ট কাভার করতে চট্টগ্রামে আছেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান ও শাওন শেখ। মাঠ থেকে তাঁরা দুজন সরাসরি যুক্ত থাকবেন আমাদের সঙ্গে।
এখন পর্যন্ত এই টেস্টের কী অবস্থা, সেটা জানতে এক নজরে দেখে নিতে পারেন সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৯০.১ ওভারে ২২৭ (উইলিয়ামস ৬৭, ওয়েলচ ৫৪, বেনেট ২১, কারেন ২১; তাইজুল ৬/৬০, নাঈম ২/৪২, তানজিম ১/৪৯)। বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮৭ ওভারে ২৯১/৭ (সাদমান ১২০, মুশফিক ৪০, এনামুল ৩৯, মুমিনুল ৩৩, নাজমুল ২৩, মিরাজ ১৬*, তাইজুল ৫*; মাসেকেসা ৩/৪৪, মুজারাবানি ১/৪৪, বেনেট ১/৪৯, মাসাকাদজা ১/৭৭)। * ২য় দিন শেষে বাংলাদেশ ৬৪ রানে এগিয়ে।
চট্টগ্রাম থেকে মাহমুদুল হাসান জানালেন, আকাশে মেঘ। বৃষ্টি নামার পাঁয়তারা করছে। যদিও এই টেস্ট চলাকালীন অনেকবারই মেঘের এমন ঘনঘটা দেখা গেছে, শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি নামেনি। আজও সে রকম কিছু হলে খেলা শুরু হবে ঠিক সময়েই। মাঠে আপাতত শুধু বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরই দেখা যাচ্ছে। নাঈম হাসান-মেহেদী হাসান মিরাজরা হাত ঘোরাচ্ছেন পাশের উইকেটে। প্রধান কোচ ফিল সিমন্স অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ও সাদমান ইসলামকে করাচ্ছেন স্লিপ ক্যাচিং অনুশীলন।
৬৪ রানে এগিয়ে থেকে দিনটা শুরু করেছে বাংলাদেশ। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। এ দুজন কোথায় নিয়ে যান বাংলাদেশকে, এখন সেটিই দেখার অপেক্ষা।
২৯১ রান নিয়ে দিনটা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। মিরাজ-তাইজুলের ব্যাটে ৩০০ পেরোনোর পরই নামল বৃষ্টি। উইকেট ঢেকে যাচ্ছে কাভারে। অবশ্য একেবারেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। কতক্ষণ থাকে, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।
বৃষ্টি থেমে আবার শুরু হয়েছে খেলা।
ভাঙল ৮৪ বলে ৬৩ রানের জুটি। ৪৫ বলে ২০ রান করে ফিরেছেন তাইজুল। মিরাজ আছেন ক্রিজে ৪৪ রান নিয়ে। বাংলাদেশের লিড ১১৫ রানের।
নবম উইকেটে দারুণ জুটি গড়েছেন তানজিম ও মিরাজ। ১০৩ বলে ৬২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন দুজন। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহও ৪০০ পেরিয়ে গেছে।
তানজিম ৫৭ ২৯ ও মিরাজ ১০৯ বলে ৭৬ রানে অপরাজিত। লাঞ্চের বিরতি।
আজ তৃতীয় দিনে প্রথম সেশনে তাইজুলের উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। খেলা হয়েছে ২৭ ওভারের।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১১৪ ওভারে ৪০৪/৮। জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস থেকে বাংলাদেশ ১৭৭ রানে এগিয়ে।
মেহেদী হাসান মিরাজ কালকের দিনের শেষ বিকেলটা কাটিয়ে দিয়েছিলেন তাইজুল ইসলামের সঙ্গে। আজ সকালে একটি ‘জীবন’ পেয়ে যান— উইকেটের পেছনে তাঁর ক্যাচ ছেড়ে দেন তাফাদজাওয়াও সিগা। এই সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন মিরাজ, ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি পাওয়ার পথে পূর্ণ করেছেন ২ হাজার রান।
মিরাজ এই পথে আজ প্রথম সেশনে সঙ্গী তাইজুল ইসলামকে হারিয়েছেন। তবে তাঁকে এখন দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন তানজিম হাসান। মিরাজ–তানজিম জুটি ইতোমধ্যেই যোগ করেছেন ১০৩ বলে ৬২ রান। তানজিম ৫৭ বলে ২৯ ও মিরাজ অপরাজিত ১০৯ বলে ৭৬ রানে।
আবহাওয়ার খবরও কিন্তু ভালো নয়, বৃষ্টি নেমেছে আবার। উইকেট ঢেকে দেওয়া হয়েছে কাভারে। তবে লাঞ্চের জন্য এখন এমনিতেও খেলার বিরতিই ছিল।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর পাকিস্তান অভিযানে যাবে বাংলাদেশ দল। আজ জানা গেল সেই সিরিজের সূচি। পড়তে ক্লিক করুন নিচের লিংকে।
মাসেকসার জোরালো আবেদন। আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলেন। মিডল-লেগে ফেলা লেংথ বল, একটু নিচু ছিল। মিরাজ ব্যাকফুটে গিয়ে স্কয়ার লেগে খেলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বল তার সামনের প্যাডে লাগে।
সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নিলেন মিরাজ। রিপ্লেতে দেখা গেল বল ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগেছে। মিরাজ বেঁচে গেলেন! ব্যাট করছেন ৮১ রানে।
অবশেষে বোলিং পরিবর্তন করে জিম্বাবুয়ের সাফল্য! অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে ফেলা ভালো লেন্থের ডেলিভারি, তানজিম আগে থেকেই রিভার্স সুইপ করার পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। গ্লাভসে লাগে বল এবং শর্ট লেগে থাকা ফিল্ডারের হাতে সহজ ক্যাচ।
১২৫তম ওভারে মাধেভেরের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মিরাজ। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি পান।
সাতে নেমে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মিরাজ। ক্রিজে নেমেছিলেন গতকাল দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের স্কোর যখন ৫ উইকেটে ২৬৭। এরপর অষ্টম উইকেটে তাইজুলের সঙ্গে ৬৩, নবম উইকেটে তানজিমের সঙ্গে ৯৬ ও এবং দশম উইকেটে হাসান মাহমুদের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৩ রানের জুটি গড়েছেন মিরাজ।
মিরাজ ১৪৫ বলে ১০১ রানে অপরাজিত। হাসান ১৩ বলে শূন্য রানে অন্য প্রান্তে।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১২৬ ওভারে ৪৪১/৯। ২১৪ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
সেঞ্চুরি করার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না মিরাজ। ১২৯.২ ওভারে স্পিনার মাসেকেসাকে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। ১৬২ বলে ১০৪ রান করা মিরাজের আউটের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ৪৪৪ রানে অলআউট হয়ে প্রথম ইনিংসেই ২১৭ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
শেষ ব্যাটসম্যান হাসান মাহমুদ অন্য প্রান্তে ১৬ বলে শূন্য রানে অপরাজিত।
টেস্ট অভিষেকেই ৫ উইকেট নিলেন জিম্বাবুয়ে স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা। জিম্বাবুয়ে হয়ে টেস্ট অভিষেক ইনিংসে এর আগে ৫ উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডি ব্লিগনাট ও জন নিয়ুম্বু। ২০০১ সালে বুলাওয়েতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭৩ রানে ৫ উইকেট নেন ব্লিগনাট। ২০১৪ সালে হারারেতে ১৫৭ রানে ৫ উইকেট নেন নিয়ুম্বু। মাসেকেসা বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ১১৫ রানে ৫ উইকেট নিলেন।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১২৯.২ ওভারে ৪৪৪ (সাদমান ১২০, মিরাজ ১০৪, তানজিম ৪১, মুশফিক ৪০, এনামুল ৩৯, মুমিনুল ৩৩, তাইজুল ২০; মাসেকেসা ৫/১১৫, মাধেভেরে ১/৩৫, বেনেট ১/৪৯, মুজারাবানি ১/৮৩)।
জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসের ফর্ম দ্বিতীয় ইনিংসেও টেনে আনলেন তাইজুল ইসলাম। জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুলের করা সপ্তম ওভারের প্রথম বলে স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ১৬ বলে ৬ রান করা বেনেট।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নিক ওয়েলচ।
জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেন তাইজুল।
সপ্তম ওভারের প্রথম বলে বেনেটকে ফেরানোর পর ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে আসেন নিক ওয়েলচ। এক বল পরই তাঁকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। মাঠের আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে এই লঙ্কানের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান শন উইলিয়ামস। অন্য প্রান্তে ওপেনার বেন কারেন।
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ৭ ওভারে ৯/২। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে জিম্বাবুয়ে ২০৮ রানে পিছিয়ে।
এমন শুরু জিম্বাবুয়ে চায়নি। কিন্তু বাংলাদেশ চেয়েছিল এবং সেই চাওয়া মাঠেও ফলিয়েছেন তাইজুল।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে ২১৭ রানে পিছিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে জিম্বাবুয়ে। চা বিরতির আগে ৯ ওভারে ২ উইকেটে ১৭ রান তুলতে পেরেছে সফরকারি দল। এখনো ২০০ রানে পিছিয়ে তারা।
সপ্তম ওভারে তিন বলের মধ্যে জিম্বাবুয়ের বেনেট ও ওয়েলচকে ফেরান তাইজুল।
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ২২/৩
চা বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারেই আরেকটি উইকেট পেল বাংলাদেশ। নাঈমের বলে দ্বিতীয় স্লিপে সাদমানের ক্যাচ হয়েছেন উইলিয়ামস (১৭ বলে ৭)।
এখনো বাংলাদেশের চেয়ে ১৯৫ রানে পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৬৫/৩
মিরাজের বল ক্রেইগ আরভিনের ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেনের দিকে। বাংলাদেশ অধিনায়কের বাড়িয়ে দেওয়া হাতের একটু সামনে পড়ে বলটি। আরভিনের রান তখন ১৬, জিম্বাবুয়ের তখন রান ৫১। জিম্বাবুয়ে পিছিয়ে ১৫২ রানে।
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৬৯/৫
ওভারের প্রথম বলে ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে চতুর্থ উইকেট এনে দেওয়া শেষ বলে এলবিডব্লু করেছেন ওয়েসলি মাধেভেরেকে। তাতে ৩ উইকেটে ৬৯ থেকে ৬ বলের মধ্যে ৬৯/৫ হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। আরভিন ২৫ রানে ও মাধভেরে ফিরেছেন শূন্য রানে। জিম্বাবুইয়ানরা পিছিয়ে ১৪৮ রানে।
জিম্বাবুয়ের ২য় ইনিংস: ৭৩/৬
নিজের আগের ওভারে ২ উইকেট নেওয়া মিরাজ এবার ফিরিয়েছেন তাফাদজাওয়া সিগাকে। প্রথম বলে রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লু থেকে বেঁচে যাওয়া সিগা পরের বলেই শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়েছেন এনামুল হকের হাতে। বাংলাদেশকে আবারও ব্যাট করাতে আরও ১৪৪ রান করতে হবে জিম্বাবুয়েকে।
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৯৩/৭
মেহেদী হাসান মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। আকাশে উঠে যাওয়া বলটি ধরে ফেলেন মিড অফ ফিল্ডার তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশকে আবারও ব্যাট করাতে ১২৪ রান দরকার জিম্বাবুয়ের।
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৯৮/৮
অন্য পাশে একের পর এক উইকেট পড়লেও অবিচল ছিলেন বেন কারেন। ৪৬ রান করা জিম্বাবুয়ে ওপেনারকে উইকেটকিপার জাকের আলীর ক্যাচ বানিয়ে বাংলাদেশকে অষ্টম উইকেট এনে দিয়েছেন মিরাজ। ইনিংসে এটি তাঁর পঞ্চম উইকেট।
সেঞ্চুরি পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট—বিরল এক কীর্তিতে নাম লেখালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পর বাংলাদেশের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন মিরাজ। সাকিবের এই কীর্তি আছে দুবার। সব মিলিয়ে টেস্টে ইতিহাসে এমন কীর্তি নেওয়ার ঘটনা ৩৯টি।
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ১০০/৯
রিচার্ড এনগারাভাকে হাসান মাহমুদের ক্যাচ বানিয়ে বাংলাদেশকে নবম উইকেট এনে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তোলেন এনগারাভা। ম্যাচে এটি তাইজুলের এটি নবম উইকেট।