Thank you for trying Sticky AMP!!

সালমান বাট

পাকিস্তানের নির্বাচক প্যানেলে এবার আকমল-আনজুমের সঙ্গে বাট

প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজের পরামর্শক সদস্য হিসেবে কামরান আকমল, রাও ইফতিখার আনজুম ও সালমান বাটকে নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আকমল ও আনজুম এর আগে বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করলেও স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে লম্বা সময় নিষিদ্ধ ও কারাভোগ করা সালমানের নিয়োগ এসেছে বিস্ময় হয়েই।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিসিবি জানিয়েছে, তিনজনের নিয়োগ এখন থেকেই কার্যকর হবে। তাঁদের প্রথম কাজ হবে আগামী মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল নির্বাচন। দল নির্বাচনের কাজে সম্পৃক্ত না থাকা অবস্থায় এ তিনজন স্কিল ক্যাম্প পরিচালনার বাড়তি দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানিয়েছে পিসিবি।

Also Read: ‘ডি’ শ্রেণির অধিনায়ক মাসুদকে ‘প্রমোশন’ দিল পিসিবি

পাকিস্তানের হয়ে ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে ৫৩টি টেস্ট, ১৫৭টি ওয়ানডে ও ৫৮টি টি-টোয়েন্টি খেলা কামরান এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। এরপর পিসিবির জুনিয়র নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পাশাপাশি আট সদস্যের আরেকটি নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন কামরান, যে কমিটির দায়িত্ব ছিল জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নির্বাচনের ট্রায়াল পরিচালনা করা।

কামরান আকমল

অন্যদিকে ১টি টেস্ট, ৬২টি ওয়ানডে ও ২টি টি-টোয়েন্টি খেলা আনজুম গত বছরের শেষ দিকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচক শহীদ আফ্রিদি ও নির্বাচক আব্দুল রাজ্জাকের সঙ্গে কমিটিতে ছিলেন।

তবে বাট এবারই প্রথম পিসিবির অফিসে আনুষ্ঠানিক কোনো দায়িত্ব নিলেন। ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়া তখনকার পাকিস্তান অধিনায়ক নিষিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি কারাগারেও গিয়েছিলেন। ৩৩টি টেস্ট, ৭৮টি ওয়ানডে ও ২৪টি টি-টোয়েন্টি খেলা এ ব্যাটসম্যান নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও জাতীয় দলে আর খেলেননি। অবশ্য ২০২০ সালে পিসিবি তাঁকে ধারাভাষ্যের দায়িত্ব দেয়।

Also Read: অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তানের ইতিহাস বদলাতে চান শান মাসুদ

এর আগে নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করা কামরানও একসময় ম্যাচ ফিক্সিং–কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন। ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই আইসিসি তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছিল, যে ঘটনা ছিল স্পট ফিক্সিং–কাণ্ডে পাকিস্তান ক্রিকেট টালমাটাল হয়ে পড়ার আগেই। যদিও পরে তাঁকে পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলার যোগ্য ঘোষণা করা হয়। অবশ্য ২০১০ সালে বাটের সঙ্গে মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরের ওই স্পট ফিক্সিং–কাণ্ডের টেস্টের পর সে সংস্করণে আর খেলেননি কামরান।

পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ

কামরান ও বাট যাঁকে দল নির্বাচনে সহায়তা করবেন, সেই রিয়াজকেও ২০১০ সালে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। লর্ডসের ওই টেস্টের পরপরই স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, যদিও কখনোই তাঁর বিপক্ষে কোনো অভিযোগ গঠন করা হয়নি।
কামরান, আনজুম ও বাটের নিয়োগ পিসিবিতে বিশাল পরিবর্তন-যজ্ঞের সর্বশেষ সংযোজন। স্বার্থের সংঘাতসংক্রান্ত অভিযোগ ওঠার পর ইনজামাম-উল-হক সরে যাওয়াতে রিয়াজকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর সঙ্গে টিম ডিরেক্টর হিসেবে মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়োগ দেওয়া হয়, যিনি অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করবেন।

১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু টেস্ট সিরিজ খেলতে এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে পাকিস্তান দল।

Also Read: অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তানের ইতিহাস বদলাতে চান শান মাসুদ