
রঞ্জি ট্রফির স্কোয়াড থেকে বাদ, আইপিএলে অবিক্রীত, এরপর বিজয় হাজারের ট্রফির মুম্বাই দলেও জায়গা হয়নি পৃথ্বী শর। বিজয় হাজারে ট্রফিতে জায়গা না পেয়ে ইনস্টাগ্রামে হতাশা ঝেড়েছিলেন ভারতে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ওপেনার। তবে তাঁর এই হতাশা মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে আরও ক্ষুব্ধ করেছে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে মুম্বাইয়ের এক কর্মকর্তা পৃথ্বীর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তুলেছেন। সেই কর্মকর্তা বলেছেন এভাবে—সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি চলার সময়ে রাতে পার্টি করে পৃথ্বী টিম হোটেলে ঢুকেছে সকাল ছয়টায়। দল ফিল্ডিং করেছে ১০ জন নিয়েই। কারণ, ফিল্ডিংয়ের সময় তাঁকে রাখতে হয়েছে লুকিয়ে।
একসময় এই পৃথ্বীকেই মনে করা হতো ভারতীয় ক্রিকেটের পরবর্তী শচীন টেন্ডুলকার। যুবদলে যাঁদের সঙ্গে খেলেছেন, সেই শুবমান গিলরা এখন আয় করেন কোটি কোটি রুপি। সেখানে আইপিএল নিলামে মাত্র ৭৫ লাখ ভিত্তিমূল্য দেওয়ার পরও তাঁর দিকে কেউ চোখ দেয় না। শোনা যায়, এর পেছনের বড় কারণ তাঁর ফিটনেসজনিত ও আচরণে সমস্যা। এই সমস্যার কথাই আবার সামনে এল মুম্বাইয়ের সেই কর্মকর্তার কথায়।
কেউ পৃথ্বী শর শত্রু নয়, ও নিজেই ওর শত্রুমুম্বাই কর্মকর্তা
পিটিআইয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে মুম্বাই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে আমাদের ১০ জন ফিল্ডার নিয়ে খেলতে হয়েছে। কারণ ওকে আমাদের লুকিয়ে রাখতে হতো। বল তার কাছ থেকেই যেত, সেই বলটি ধরার জন্যও সে চেষ্টা করত না। এমনকি ব্যাটিংয়ের সময়েও, বল পর্যন্ত পৌঁছাতে ওর কষ্ট হতো। ওর মনোভাব নিয়ে সিনিয়র ক্রিকেটাররাও অভিযোগ করেছে। পৃথ্বীর ফিটনেস, ডিসিপ্লিন ও মনোভাবেই ঘাটতি আছে, ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড়ের জন্য আমরা ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম রাখব না।’
বিজয় হাজারে ট্রফি থেকে বাদ পড়ার পর পৃথ্বী ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘বলুন ঈশ্বর, আর কী আমাকে দেখতে হবে। ৬৫ ইনিংসে, ৩৩৯৯ রান, গড় ৫৫.৭, স্ট্রাইকরেট ১২৬—এরপরও আমি যথেষ্ট নই! নিজের প্রতি এখনো আমার বিশ্বাস আছে, আশা করি মানুষের বিশ্বাসও আমার প্রতি আছে। কারণ, আমি নিশ্চিতভাবেই ফিরে আসব।’
এই পোস্টের সমালোচনাও করেছেন তিনি, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট মুম্বাইয়ের নির্বাচকদের ওপর প্রভাব ফেলবে না। সহমর্মিতা নয়, পৃথ্বী শর উচিত খেলায় মনোযোগ দেওয়া।’
মুশতাক আলী ট্রফিতে ধারাবাহিকভাবেই পৃথ্বী শ অনুশীলন মিস করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। রাতে পার্টি করে পৃথ্বী টিম হোটেলে ঢুকেছে সকাল ৬টায়, তাকে ছাড়া দল ফিল্ডিং করেছে ১০ জন নিয়েই, এমন ঘটনাও তিনি তুলে ধরেছেন।
তিনি আরও বলেছেন, ‘একটা কথা বলি। কেউ পৃথ্বী শর শত্রু নয়, ও নিজেই ওর শত্রু।’
মুশতাক আলী ট্রফিতে পৃথ্বী শর দলের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারও সম্প্রতি তাঁকে উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন এভাবে, ‘ওর কাজের নীতি ঠিক করতে হবে। যদি ও সেটা করে, তাহলে ও আকাশ ছুঁতে পারবে। আমরা কারও কাজ করে দিতে পারব না। দিন শেষে এটা ওর দায়িত্ব, নিজে কীভাবে কাজ করবে, সেটা তাঁরই খুঁজে বের করতে হবে।’