১০ম উইকেটে ১১৬, যা যা মনে করালেন গ্রিন-হ্যাজলউড
২৬৭ রানে গতকাল নবম উইকেট পড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। ক্যামেরন গ্রিন ও জশ হ্যাজলউডের দশম উইকেট জুটির মেয়াদ ছিল মাত্র ১ ওভার। ওয়েলিংটনে আজ সকালে দ্রুতই প্রতিবেশীদের গুটিয়ে দিয়ে ব্যাটিংয়ে নামার আশা নিশ্চয়ই ছিল নিউজিল্যান্ডের। সে আশা পূর্ণ হয়নি। গ্রিন-হ্যাজলউডের শেষ উইকেট জুটিতেই উঠেছে ১১৬ রান, যা স্থায়ী হয়েছে ৩১.১ ওভার! তাতে অনুমিতভাবেই গ্রিন একাই যোগ করেছেন ৮৩ রান। গতকাল ১০৩ রানে অপরাজিত গ্রিন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১৭৪ রানে, হ্যাজলউড আউট হন ৬২ বলে ২২ রান করে।
দশম উইকেটে সেঞ্চুরি জুটির এমন ঘটনা ক্রিকেটে যে নিয়মিত, তা বলা যাবে না মোটেও। গ্রিন-হ্যাজলউডের এ কীর্তিতে দেখে নেওয়া যাক শেষের প্রতিরোধের যত সংখ্যা—
টেস্ট ইতিহাসে সব মিলিয়ে শেষ উইকেট জুটিতে ১০০ রানের জুটি আছে ২৮টি। এক বছরেরও বেশি সময় পর দেখা গেল এমন। সর্বশেষ কীর্তিটি নিউজিল্যান্ডেরই, গত বছরের জানুয়ারিতে করাচিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাট হেনরি ও এজাজ প্যাটেল তুলেছিলেন ১০৪ রান।
১০ম উইকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি জুটির তালিকায় নিউজিল্যান্ডকে ছুঁয়ে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। দুই দলেরই এখন এমন জুটি ছয়টি করে। শেষ উইকেটে শত রানের জুটি ইংল্যান্ডের আছে ৫টি, ভারতের ৪টি, পাকিস্তানের ৩টি। ২টি করে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
গ্রিন ও হ্যাজলউডের ১১৬ রানের জুটিটি শেষ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ সর্বোচ্চ। সবার ওপরে ফিলিপ হিউজ ও অ্যাশটন অ্যাগারের ১৬৩ রান, ২০১৩ সালের অ্যাশেজে ট্রেন্টব্রিজ টেস্টে।
Also Read: জিয়ার ৫ উইকেটের পর শহীদির লড়াই
যে ২৮টি সেঞ্চুরি জুটি হয়েছে শেষ উইকেটে, সে তালিকায় কোনো জুটির পুনরাবৃত্তি নেই। তবে দুজন আছেন, যাঁরা একাধিক এমন জুটির অংশ ছিলেন—অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা ও নিউজিল্যান্ডের নাথান অ্যাস্টল।
২০০৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই জেসন গিলেস্পির সঙ্গে ব্রিসবেনে ১১৪ রান তুলেছিলেন ম্যাকগ্রা, পরের বছর শেষ উইকেটে মেলবোর্নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৭ রানের জুটিতে ছিলেন মাইক হাসির সঙ্গী।
অ্যাস্টলের জুটি দুটি এসেছিল ৫ বছর ব্যবধানে। ১৯৯৭ সালে অকল্যান্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ড্যানি মরিসনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ১০৬ রানের পর ২০০২ সালে ক্রাইস্টচার্চে ছিলেন ১১৮ রানের শেষ উইকেট জুটির অংশ। পরের ওই জুটিতে অ্যাস্টলের ব্যাটিং সঙ্গীর নামটা একটু অবাক করার মতোই—ক্রিস কেয়ার্নস। নিউজিল্যান্ড ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ক্যারিয়ারে ওই একবারই ব্যাটিং করেছিলেন ১১ নম্বরে। চতুর্থ ইনিংসে দশম উইকেটে একমাত্র শতরানের জুটিও সেটি।
শেষ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন শত রানের জুটি ৩টি। ১৯৮০ সালে ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের পিটার উইলি ও বব উইলিস (১১৭*), ১৯৯৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাস্টল-মরিসন (১০৬*) ও ২০১০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আবুধাবিতে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ভারনন ফিল্যান্ডার (১০৭*)।
দশম উইকেটে এখন পর্যন্ত ২০০ রানের জুটি দেখেনি টেস্ট ক্রিকেট। সেটি অবশ্য অল্পর জন্যই। ২০১৪ সালে ট্রেন্টব্রিজে ভারতের বিপক্ষে ১৯৮ রানে থেমেছিল ইংল্যান্ডের জো রুট ও জেমস অ্যান্ডারসনের জুটি।
আরও পড়ুন
-
কিরগিজস্তানে বিদেশিদের ওপর হামলা, আতঙ্কে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
-
ময়নাতদন্তে হত্যাকাণ্ড, পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে আত্মহত্যা
-
মেয়র থাকার সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত নগরবাসীকে রেখে বিদেশে যাইনি: সাঈদ খোকন
-
মাহমুদউল্লাহ ‘স্পিরিট অব দ্য টিম’, সাকিব ‘কিংবদন্তি’, রিশাদ ‘বিরল’
-
অন্যের বাসায় খেলার সাথি হয়ে আসা রেজোয়ানা এসএসসিতে সফল