বাংলাদেশ–আফগানিস্তান তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজের ধারাবিবরণীতে সবাইকে স্বাগত। এশিয়া কাপের পর বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান তিনটি করে টি–টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলবে। তিন টি–টোয়েন্টির ভেন্যু শারজা, তিন ওয়ানডের দুবাই। আজ শারজায় প্রথম টি–টোয়েন্টি।
টস জিতেছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। তিনি ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার অর্থ, ফিল্ডিংয়ে নামছে বাংলাদেশ দল।
একাদশে দুটি পরিবর্তন নিয়ে নামছে বাংলাদেশ। একাদশে ফিরেছেন তানজিদ হাসান ও নাসুম আহমেদ। এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান। বাংলাদেশ একাদশ : জাকের আলী (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, সাইফ হাসান, নুরুল হাসান, শামীম হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান।
শুরুটা বেশ ভালো করেছে আফগানিস্তান। তাসকিন আহমেদের করা প্রথম ওভারেই তিন বাউন্ডারিতে ১২ রান নিয়েছেন ইব্রাহিম জাদরান।
দ্বিতীয় ওভারে নাসুম আহমেদ দিয়েছেন মাত্র ৪ রান। কোনোা বাউন্ডারিও হজম করেননি তাঁরা। চতুর্থ বলে নাসুমের হাতে একটা ক্যাচও গিয়েছিল। তবে হাতে জমাতে পারেননি নাসুম।
২ ওভারশেষে আফগানিস্তানের রান কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৬।
আগের ওভারে তৈরি করা চাপের ফলটা পরের ওভারে পেলেন নাসুম আহমেদ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে দলকে প্রথম উইকেট এনে দিয়েছেন এই স্পিনার। তাঁর বলে বোল্ড হয়ে গেছেন ১০ বলে ১৫ রান করা ইব্রাহিম জাদরান।
আফগানিস্তান: ৩.৩ ওভারে ২৫/১
দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলল আফগানিস্তান। এবার তানজিম হাসান তুলে নিয়েছেন সেদিকুল্লাহ আতালের উইকেট। তাঁর বলে পারভেজ হোসেনে হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১২ বলে ১০ রান করা এই ব্যাটসম্যান।
৩১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান।
রান আউটে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান। মোস্তাফিজুর রহমানের বলটা খেলেই দৌড় শুরু করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। কিন্তু নন স্ট্রাইকে থাকা রাসূলী তখন তাকিয়ে ছিলেন বলের দিকে। ততক্ষণে ফাঁকা স্ট্রাইক প্রান্তে বল পৌঁছে দেন মোস্তাফিজ, স্টাম্প ভাঙার কাজটা করেন জাকের। ২ বলে শূন্য রানে আউট হন রাসূলী।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে আফগানিস্তান।
রিশাদ এনে দিয়েছেন চতুর্থ উইকেট। তাঁর বলে শামীম হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন মোহাম্মদ ইশহাক। ৮ ওভারশেষে ৪ উইকেটে আফগানিস্তানের রান এখন ৪৫।
নারীদের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দেওয়া ১৩০ রানের লক্ষ্য ৩১.১ ওভারে তাড়া করেছেন নিগার সুলতানারা। অভিষেকে ৭৭ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন রুবাইয়া হায়দার।
ম্যাচ রিপোর্ট পড়ুন এখানে
আফগানিস্তান: ১৩ ওভারে ৭৬/৫।
রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ৩৩ রানের জুটি ভেঙেছেন রিশাদ। এই লেগ স্পিনারের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে লোভ সামলাতে পারেননি ওমরজাই, ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ হয়েছেন তানজিম হাসানের। ৭৩ রানে ৫ উইকেট হারাল আফগানিস্তান। ১৮ বলে ১৮ রান করে ফিরেছেন ওমরজাই। ব্যাটিংয়ে নেমেছেন মোহাম্মদ নবী।
আফগানিস্তান: ১৬ ওভারে ১০০/৬
রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ভয়ংকর হয়ে উঠতে দিলেন না তানজিম হাসান। বাংলাদেশের পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খেলতে গিয়ে কাভারে রিশাদ হোসেনের ক্যাচ হয়েছেন আফগান ওপেনার। ৩১ বলে ৪০ রান করা গুরবাজ ফিরলেন ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলীয় ৯৫ রানে।
১৮তম ওভারে এসে চার বলে তিন ছক্কা খেয়েছিলেন নবী। তবে তাঁর বলেই রিশাদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে নবী ফিরেছেন সাজঘরে।
দেড় শ পার করেছে আফগানিস্তান। শেষ ওভারে ১৩ রান নিয়েছে তাঁরা। ১২ বলে ১ চার ও সমান ছক্কায় ১৭ রান করে শরফুদ্দীন আশরাফই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাতে। ২৫ বলে ৩৮ রান এসেছে নবীর ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন তানজিম হাসান ও রিশাদ হোসেন। পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান করেছে ১৫১ রান।
প্রথম ২ ওভারে ১২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান ৪ বলে ৮ ও পারভেজ হোসেন ৮ বলে ৪ রান করেছেন।
ভালোই শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ৪ ওভারে ২৭ রান তুলেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন। শেষ ১৬ ওভারে ১২৫ রান দরকার বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ: ৬ ওভারে ৫০/০
পঞ্চম ওভারে দুবার জীবন পেয়েছেন বাংলাদেশের ওপেনার পারভেজ হোসেন। মোহাম্মদ নবীর করা পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে অনেকটা সামনে দৌড়ে চেষ্টা করেও ক্যাচ নিতে পারেননি রহমানউল্লাহ গুরবাজ।
ওই বলে ২ রান নেওয়া পারভেজ পরের বলে মেরে দেন ছক্কা। এরপর ওভারের শেষ বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন পারভেজ। এবার সহজ ক্যাচটি ফেলে দেন ফরিদ আহমেদ। ১৯ ও ২৭ রানে জীবন পেলেন পারভেজ।
বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ৯৫/০।
শরাফউদ্দিনের করা দশম ওভারে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৮ রান। একটি করে ছক্কা মেরেছেন তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন। তানজিদ ৪২, পারভেজ ৪৮ রানে ব্যাট করছেন।
১১তম ওভারের চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেছেন পারভেজ। ৩৫ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় এসেছে তাঁর ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি।
পরের বলে তানজিদের চারে পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশের এক শ রান।
পারভেজের পরের ওভারে ফিফটিতে পৌঁছালেন তানজিদ হাসানও। এমনকি দ্রুততরও বটে। ৩৪ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেছেন তানজিদ, যা টি–টোয়েন্টিতে তাঁর অষ্টম।
বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ১০৯/১।
শতরানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙল বাংলাদেশের। ফরিদ আহমেদের বলে এলবিডব্লু হয়েছেন পারভেজ হোসেন। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারাল ১০৯ রানে।
আউট হওয়ার আগে পারভেজ ৩৭ বলে ৫৪ রান করেছেন। নতুন ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান। অন্য প্রান্তে তানজিদ অপরাজিত ৫০ রানে।
পারভেজ আউট হওয়ার পর মাঠে নামা সাইফ হাসান বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। রশিদ খানের বলে এলবিডব্লু হয়েছেন। মাঠ ছাড়ছেন ৩ বলে ০ করে।
আম্পায়ার অবশ্য শুরুতে আউট দেননি। রিভিউ নেন রশিদ। পরিষ্কার আউট। ১১১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ। নতুন ব্যাটসম্যান জাকের আলী।
বাংলাদেশ: ১৩ ওভারে ১১১/৩।
রশিদ খানের করা ১৩তম ওভারের শেষ বলে আরেকটি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তানজিদ হাসান। একই ওভারে ৫ বলের মধ্যে বাংলাদেশ হারাল দুই উইকেট।
তানজিদ ৩৭ বলের ইনিংসে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৫১ রান করেছেন। নতুন ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন।
বাংলাদেশ: ১৪.২ ওভারে ১১৬/৪।
উইকেটের মিছিলে এবার জাকের আলীও। রশিদের তৃতীয় শিকার হিসেবে এলবিডব্লু হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১০৯ থেকে ১১৬—মাত্র ৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। তিনটিই নিয়েছেন রশিদ।
বাংলাদেশ: ১৪.৪ ওভারে ১১৭/৫। জয়ের লক্ষ্য: ১৫২।
রশিদ খানের বলে এলোমেলো বাংলাদেশ। এবার আফগান অধিনায়কের স্পিন–ঘূর্ণিতে এলবিডব্লু শামীম হোসেন। সর্বশেষ ৮ রানের মধ্যেই বাংলাদেশ হারাল পঞ্চম উইকেট।
বাংলাদেশ: ১৬ ওভারে ১১৮/৬। লক্ষ্য: ১৫২।
উইকেটের মিছিলে এবার তানজিম হাসান। নূর আহমেদের বলে সুইপ করতে চেয়ে পারেননি, বল প্যাডে লাগার পর আবেদন পেয়ে আঙুল তুলেছেন আম্পায়ার। ১১৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
নতুন ব্যাটসম্যান রিশাদ হোসেন। আরেক প্রান্তে নুরুল হাসান।
ইনিংসের ১৫ ও ১৬তম ওভারে এসেছে মাত্র ১ রান করে।
রিভিউ নিতে চেয়েছিলেন তানজিম হাসান। কিন্তু জাকের ও শামীম দুটি রিভিউই খরচ করে গেছেন। রিপ্লেতে দেখা গেছে, বল প্যাডে যাওয়ার আগে তানজিমের ব্যাট ছুঁয়ে গেছে। যার অর্থ, রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন।
বাংলাদেশ: ১৭ ওভারে ১২৫/৬। লক্ষ্য: ১৫২।
১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোলার শরাফউদ্দিনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন রিশাদ, কিন্তু ফিরতি ক্যাচ বোলার নিতে পারেননি। এই ওভারের শেষ বলে মিডউইকেট ও লং অনের মাঝ দিয়ে চার মেরেছেন রিশাদ।
বাংলাদেশ: ১৮ ওভারে ১৩৬/৬। লক্ষ্য: ১৫২।
ফরিদ আহমেদের করা ১৮তম ওভার থেকে ১১ রান নিয়েছেন নুরুল হাসান ও রিশাদ হোসেন। দুজনই একটি করে চার মেরেছেন।
বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ১২ বলে ১৬ রান।
খেলাটা শেষ ওভারে নিতে দিলেন না নুরুল–রিশাদ। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। প্রথম বল লং অন দিয়ে, দ্বিতীয় বলে থার্ড ম্যান দিয়ে ছক্কা মেরেছেন নুরুল।
তৃতীয় বলে হয়েছে সিঙ্গেল। চতুর্থ বলে রিশাদের শট টপ–এজড হয়ে উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারি। ইনিংসের ৮ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে ১৫৩ রানে, ৬ উইকেট হারিয়েই।
রান তাড়ার শুরুটা ভালো ছিল বাংলাদেশের, ভালো হয়েছে শেষটাও। মাঝে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে এলোমেলো হয়ে জয় নিয়ে শঙ্কাও জেগেছিল। তবে দিনশেষে জয়ী দলের নাম বাংলাদেশই। আফগানিস্তানের ৯ উইকেটে ১৫১ রান বাংলাদেশ টপকেছে ৮ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে।
তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেনের উদ্বোধনী জুটিতেই উঠেছে ১০৯ রান। দুজনই করেছেন ফিফটি। তবে রশিদের স্পিন–ঘূর্ণিতে এক পর্যায়ে ১১৮/৬ পরিণত হয় বাংলাদেশের স্কোর। রশিদ টানা দুই ওভারে দুটি করে মোট ৪ উইকেট নেন।
তবে নুরুল হাসান ও রিশাদ হোসেনের অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটি ১৮ বলে ৩৫ রান তুলে বাংলাদেশকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছে।
বাংলাদেশের জন্য তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটা হলো জয় দিয়ে। সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি শুক্রবার।
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৫১/৯ (গুরবাজ ৪০, নবী ৩৮, ওমরজাই ১৮, শরাফউদ্দিন ১৭; তানজিম ২/৩৪, রিশাদ ২/৩৩, নাসুম ১/১৮)। বাংলাদেশ: ১৮.৪ ওভারে ১৫৩/৬ (পারভেজ ৫৪, তানজিদ ৫১, নুরুল ২৩*, রিশাদ ১৪*; রশিদ ৪/১৮, নূর ১/২১, ফরিদ ১/২৬)। ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: পারভেজ হোসেন। সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ১–০তে এগিয়ে।