টেস্টের পর ওয়ানডেতেও পেস–সহায়ক উইকেটে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল
টেস্টের পর ওয়ানডেতেও পেস–সহায়ক উইকেটে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচে তিন রকমের বোলিং আক্রমণের ইঙ্গিত তামিমের

টেস্টের পর ওয়ানডেতেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে পেস–সহায়ক উইকেটে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা যে চারটি পিচে অনুশীলন করছেন, তাতে ঘাস রাখা হয়েছে। ঘাস আছে আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচের উইকেটেও।

গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই মাঠে একই কৌশলে খেলেছে বাংলাদেশ। সবুজ উইকেট ছিল সেই সিরিজেও। বাংলাদেশ সেই সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল। এবারও তাই আফগানদের সবুজ উইকেটে গতি দিয়ে উড়িয়ে দিতে চায় বাংলাদেশ।

আজ সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলছিলেন, ‘উইকেট ভিন্ন। ঘাস রেখে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে সাধারণত ব্যাটিং উইকেট হয়। এখানেও তেমনই হবে আশা করছি। তবে দুই দলের জন্য প্রথম ১০-১৫ ওভার একটু চ্যালেঞ্জিং হবে।’

বাংলাদেশ দল এই সিরিজে পেসারদের ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে খেলাতে চাচ্ছে

সবুজ উইকেট পেসারদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে, এটাই প্রত্যাশা। বাংলাদেশ দল অবশ্য এই সিরিজে পেসারদের ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে খেলাতে চাচ্ছে। তামিম যা বললেন, তাতে মনে হচ্ছিল, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন ও শরীফুল ইসলামদের প্রত্যেকেই আফগানিস্তান সিরিজে খেলার সুযোগ পাবেন। তাঁর কথা ছিল এমন, ‘পেসারদের মধ্যে সবাই ভালো করছে। এখানে হয়তো চেঞ্জ হতে পারে। তিন ম্যাচে হয়তো ভিন্ন পেস বোলিং কম্বিনেশন দেখতে পারবেন।’

দলে থাকা দুই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম ও আফিফ হোসেনকেও সুযোগ দিতে চায় টিম ম্যানেজম্যান্ট। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের খেলার মধ্যে রাখতেই বাংলাদেশ দলের এই পরিকল্পনা, ‘এই একটা সিরিজে আমরা চেষ্টা করব সবাইকে সুযোগ দিতে। তবে এটা নিশ্চিত নয়। আমরা চেষ্টা করব নাঈমকে সুযোগ দিতে। বড় একটা ইভেন্টের আগে ২-৩টা ম্যাচ খেলতে পারলে ওদের জন্য ভালো।’