প্রথম তিন ওভারে দিয়েছিলেন ১৭ রান। তখনও কাঙ্ক্ষিত উইকেটের দেখা পাননি রিশাদ হোসেন। শেষ পর্যন্ত সেটি আসে তাঁর কোটার শেষ ওভারে—গুগলিতে। চার ওভারে ২১ রান দিয়ে নামের পাশে ১ উইকেট।
রিশাদের এমন পারফরম্যান্সে জয় পেয়েছে তাঁর দল হোবার্ট হারিকেন্সও। বিগ ব্যাশে সাইমন্ডস স্টেডিয়ামে মেলবোর্ন রেনেগেডসকে তারা হারিয়েছে ৭ উইকেটে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মেলবোর্ন পুরো ২০ ওভার খেললেও করতে পেরেছে মাত্র ১৪৫ রান, হারিয়েছে ৯ উইকেট।
পাওয়ার প্লেতে প্রথম ওভারেই বল হাতে নেন রিশাদ। পঞ্চম ওভারে এসে একটি বাউন্ডারি খেলেও দেন মাত্র ৭ রান। সপ্তম ওভারে আবারও একই চিত্র—একটি বাউন্ডারি, মোট ৭ রান।
১১তম ওভারে আরও আঁটসাঁট বোলিং করেন তিনি। কোনো বাউন্ডারি হয়নি, দৌড়ে এসেছে মাত্র তিন রান। এরপর ১৪তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে এসে প্রথম দুই বলে দুই রান দেন। তৃতীয় বলেই জ্যাক ফ্রেশার ম্যাকগার্ককে গুগলিতে বোকা বানিয়ে বোল্ড করেন। এই ওভারেও কোনো বাউন্ডারি হয়নি।
মেলবোর্নকে আটকে রাখার বড় কৃতিত্ব অবশ্য হোবার্টের পেসার ক্রিস জর্ডানের। চার ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। মেলবোর্নের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামা সাইফার্ট করেছেন সর্বোচ্চ ৩৪ রান (২১ বলে)। মোহাম্মদ রিজওয়ান করেছেন ২৬ বলে ৩২।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় হোবার্ট। ৩৮ রানে হারায় দুই ওপেনারকে। প্রথম বলেই আউট হন মিচেল ওয়েইন। আরেক ওপেনার টিম ওয়ার্ড করেন ৮ বলে ৮।
তবে তৃতীয় উইকেটে নিখিল চৌধুরী ও বেন ম্যাকডরমট গড়ে দেন ৯৩ রানের জুটি (৫১ বলে)। নিখিল খেলেন ঝোড়ো ইনিংস—৩৮ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৯ রান। আউট হওয়ার আগে ম্যাচ প্রায় নিশ্চিত করে দেন তিনি। ম্যাকডরমট করেন ৩৩ বলে ৪৯ রান। ১৩.৫ ওভারেই জয় তুলে নেয় হোবার্ট।
তিন ম্যাচে দুই জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে রিশাদের হোবার্ট হারিকেন্স।