জাতীয় দলে তিন সংস্করণেই নিয়মিত মুখ মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ধীরে ধীরে টি–টোয়েন্টি সংস্করণ থেকে দূরে সরছেন তিনি। গত এক বছর বাংলাদেশের খেলা ১৮ টি–টোয়েন্টির ৯টিতে একাদশে ছিলেন মিরাজ। এবার তিনি ছিটকে গেছেন স্কোয়াড থেকেই।
এশিয়া কাপের ঠিক আগের নেদারল্যান্ডস সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে। তাঁর ছুটি শেষ হবে ৪ সেপ্টেম্বর, তবু এশিয়া কাপের স্কোয়াডে রাখা হয়নি মিরাজকে। কেন?
জবাবে এসেছে ওয়ানডে ও টেস্টে তাঁকে আরও সতেজ অবস্থায় পাওয়ার কথা। আজ এশিয়া কাপের দল নির্বাচনের ব্যাখ্যা দিতে এসে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, ‘সাদা বল কিংবা লাল বলের খেলা যদি বলি, দুটোর আবেদন ও প্রভাব আলাদা। মানুষ খেলেও আলাদা প্রবণতা নিয়ে। মিরাজ টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে আমাদের অমূল্য সম্পদ। শুধু আমাদের না, বিশ্ব ক্রিকেট তাঁকে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য চেনে। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রভাব ব্যাটিংয়ে পড়ে, বোলিংয়ে আরও বেশি পড়ে।’
শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ দুটি সিরিজের দলেও ছিলেন মিরাজ। এশিয়া কাপের দলেও তিনি আছেন স্ট্যান্ডবাই হিসেবে। মিরাজকে টি–টোয়েন্টি সংস্করণের ভাবনা থেকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়নি। দলের প্রয়োজনে তাঁর ফেরার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক, ‘এখনো মিরাজ এই সংস্করণকে ভালোবাসে, খেলতে চায়। কিন্তু তিনিও চিন্তা করেন প্রভাব কতটুকু পড়ে (বাকি দুই সংস্করণে)। এটা নিয়ে আমরা খোলামেলা কথা বলি। দলের সংকট হলে অবশ্যই তাকে খেলতে হবে। প্রথম একাদশে যদি আমরা সিরিয়াস সংকটে পড়ে যাই, অবশ্যই তাকে নেব এবং সে–ও আসবে। আমরাও কিছুটা মনে করি, এই দুইটা জায়গা (টেস্ট ও ওয়ানডে) তার জন্য অনেক মানানসই।’
পরে প্রধান নির্বাচক যদিও বলেছেন, এশিয়া কাপে যদি ১৭ জনের স্কোয়াড হতো, তাহলে দলে থাকতেন মিরাজ। তাঁর জায়গায় আরেক স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসানও এখন টি–টোয়েন্টিতে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন।
অন্য সংস্করণে মনোযোগী হলেও মিরাজের জন্য প্রয়োজনে আবার টি–টোয়েন্টিতে ফেরাটা কঠিন হবে না বলেই মনে করেন গাজী আশরাফ, ‘অন্য সংস্করণ থেকে বের হয়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ফেরত আসা কঠিন কিছু না। তিনি অনেক ক্ষুরধার মেধাসম্পন্ন খেলোয়াড়। যেকোনো সংস্করণে মানিয়ে নেওয়ার মতো সক্ষমতা রাখেন। একসঙ্গে তিন সংস্করণে চালিয়ে যাওয়া এখনকার ক্রিকেট অনেক চ্যালেঞ্জিং, সেটা সার্বিক পরিশ্রম থেকে শুরু করে একটা ফর্ম ধরে রাখার ব্যাপার আছে। অনেক কিছু বিবেচনার ব্যাপার আছে। আশা করি বিশ্ব ক্রিকেটেও এই বদলটা আপনি দেখতে পাচ্ছেন।’