সাধারণ দর্শকের মধ্যে প্রশ্নটা উঠে গিয়েছিল জোরেশোরেই। বীরেন্দর শেবাগের মতো সাবেক ক্রিকেটার তো ‘অবসরের সময় হয়ে গেছে’ বলে কড়া মন্তব্যও করেছিলেন। করবেনও না কেন? ৬ ম্যাচ খেলে ৮৪ রান, একটি ইনিংসেও ২০ ছুঁতে পারেননি—এমন টানা ব্যর্থ হওয়া সেই ব্যাটসম্যানের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই।
রোহিত শর্মা সেই সব সমালোচনারই জবাব দিয়েছিলেন রোববার চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে। খেলেছিলেন ৪৫ বলে ৭৬ রানের ইনিংস। তাঁর রানে ফেরা যে এক ম্যাচের ঘটনা নয়, সেটিই দেখালেন আজ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে। এবার ৪৬ বলে করেছেন ৭০ রান। প্রথম ছয় ম্যাচে মাত্র ১৪ গড় থাকা ব্যাটসম্যান টানা দুই ম্যাচেই করলেন ফিফটি।
আজকের ফিফটিতে রোহিত ফিরিয়ে এনেছেন নিজের পুরোনো এক কীর্তি। সর্বশেষ ২০১৬ আইপিএলে টানা দুই ম্যাচে পঞ্চাশ+ ইনিংস খেলেছিলেন রোহিত। ৯ বছর পর একই কীর্তির পুনরাবৃত্তি করলেন আজ।
রোহিতের টানা দ্বিতীয় ফিফটির দিনে জয়ও পেয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদ দিয়েছিল ৮ উইকেটে ১৪৩ রান। তাড়া করতে নেমে রোহিতের ফিফটিতে ভর করে ২৬ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে মুম্বাই।
রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩ রানেই ৪ উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। এরপর ৩৫ রানে পতন ঘটে পঞ্চম উইকেটের।
সেখান থেকে হায়দরাবাদের রান দেড় শর কাছাকাছি নিয়ে যান হাইনরিখ ক্লাসেন ও অভিনব মনোহর। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে যোগ করেন ৯৯ রান। ক্লাসেন করেন ৪৪ বলে ৭১, মনোহর ৩৭ বলে ৪৩। ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।
তাড়া করতে নেমে মুম্বাইকে অবশ্য বেগ পেতে হয়নি। শুরুতে রায়ান রিকেলটন আউট হলেও উইল জ্যাকসকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান রোহিত। জয় থেকে ১৫ রান দূরে থাকতে আউট হন ৮ চার ও ৩ ছক্কায় গড়া ৭০ রানের ইনিংস নিয়ে।
আইপিএল পয়েন্ট তালিকায় ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে মুম্বাই এখন তিন নম্বরে। ৮ ম্যাচের ৬টিতে হেরে হায়দরাবাদের অবস্থান ১০ দলের মধ্যে ৯ নম্বরে।