বাংলাদেশ–পাকিস্তান সিরিজে ডিআরএস না থাকার পেছনে জয় শাহর হাত আছে?
বাংলাদেশ–পাকিস্তান সিরিজে ডিআরএস না থাকার পেছনে জয় শাহর হাত আছে?

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে ডিআরএস কেন নেই, কারণ কি জয় শাহ

ফখর জামানের বিরুদ্ধে শরীফুল ইসলাম এলবিডব্লুর আবেদন করতেই আঙুল তুললেন আম্পায়ার। ফখর কিছুটা দ্বিধায়, আসলেই কি আউট! তবে সংশয় থাকলেও রিভিউ নেওয়ার সুযোগ ছিল না পাকিস্তান ওপেনারের। কারণ, এই ম্যাচে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নেই।

শুধু গতকালের ম্যাচটিতেই নয়, বাংলাদেশ-পাকিস্তান চলমান তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজেই ডিআরএস নেই। এমনকি কিছুদিন আগে শেষ হওয়া পিএসএলের শেষ দিকেও ডিআরএস ছিল না। পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর কারণেই ডিআরএস নেই। যে প্রতিষ্ঠান ডিআরএস সেবা দিয়ে থাকে, তাদের পাকিস্তানে না যেতে চাপ দিয়েছেন ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের এই সাবেক সচিব।

গত মাসে শুরু হওয়া পিএসএলের প্রথম থেকেই ডিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে। তবে চলতি মাসের প্রথম দিকে ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়ালে পিএসএল স্থগিত করা হয়। ওই সময় বিদেশি খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফের সদস্য ও সম্প্রচার ক্রুরা পাকিস্তান ছেড়ে যান। এক সপ্তাহ পর পিএসএল শুরু হলেও ডিআরএস প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা আর পাকিস্তানে ফেরেননি। ডিআরএস প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত বেশির ভাগ কর্মীই ছিলেন আবার ভারতীয়।

গত রোববার পিএসএল শেষ হওয়ার পর বুধবার শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের এই সিরিজেও ডিআরএস নেই। সামাটিভি অনলাইনে একটি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর চাপে পিএসএল ও বাংলাদেশ সিরিজে ডিআরএস প্রযুক্তি নেই।

সূত্র জানিয়েছে, যে কোম্পানি ডিআরএস প্রযুক্তির হক-আই সরবরাহ করে, তাদের পাকিস্তানে না যেতে চাপ দেওয়া হয়েছে। পরে কোম্পানিটি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) তাদের অপারগতার কথা জানায়।

হক-আই কোম্পানি পাকিস্তানে নিরাপত্তা শঙ্কা জানানোর পর পিসিবির পক্ষ থেকে পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য থাকা প্রেসিডেনশিয়াল-মর্যাদার নিরাপত্তা হক-আই স্টাফদেরও দেওয়া হবে—এমন আশ্বাসেও তাঁরা রাজি হননি।