বাংলাদেশ দলের সূচিতে আগস্ট ফাঁকা রয়েছে।
বাংলাদেশ দলের সূচিতে আগস্ট ফাঁকা রয়েছে।

আগস্টে ভারত আসবে না বলে জাতীয় দলের জন্য নতুন সুযোগ খুঁজছে বিসিবি

পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর বাংলাদেশের সামনে ছিল আগস্টে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ। তবে তিন টি-টোয়েন্টি ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি আপাতত স্থগিত হয়ে গেছে। ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ ব্যস্ততার কথা ভেবে এত দিন এই সময়ে নতুন কোনো আয়োজন রাখবে না, এমন কথাই বলে আসছিল বিসিবি।

তবে এবার ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীন জানিয়েছেন, আগস্টের ওই ফাঁকা সময়ে জাতীয় দলের জন্য নতুন কোনো দলকে খুঁজছেন তাঁরা। এমনকি দেশের বাইরেও ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা রয়েছে তাঁদের। কিছুই সম্ভব না হলে ‘এ’ দলের সঙ্গে জাতীয় দলের ম্যাচ আয়োজনের ভাবনা বিসিবির।

আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের এ নিয়ে নাজমূল বলেছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, ওই সময়টায় আমরা ইন্টারনালি কিছু ম্যাচের আয়োজন করতে পারি কি না। এর আগেও আমরা এ রকম করেছি। “এ” দলের সঙ্গে খেলেছিল জাতীয় দল। সে রকম একটা কিছু। এটা ছিল আমাদের আগের পরিকল্পনা।’

বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীন।

এরপর বিসিবির নতুন পরিকল্পনা জানিয়ে নাজমূল বলেন, ‘এখন আমরা ভেবে দেখছি যে এর পাশাপাশি কোনো দলের সঙ্গে আমরা খেলতে পারি কি না বা বাইরে কোথাও গিয়ে খুব অল্প সময়ের জন্য কিছু খেলা যায় কি না, কোনো সুযোগ পাওয়া যায় কি না। সে জিনিসগুলো আমরা দেখছি। যদি সুযোগ না হয়, তাহলে আমরা ইন্টারনালি হয়তো খেলব।’

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে কাল দেশে ফিরবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। মাঝখানে দুই দিন বিরতি দিয়ে তাঁদের নামতে হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে।


আগামী এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ ভাবনায় রেখে টি-টোয়েন্টিতে ‘ভালো’ উইকেট তৈরির ভাবনা ছিল বিসিবির। তবে টানা বৃষ্টিতে উইকেট ঢাকা থাকায় সেটি কতটা সম্ভব হবে, এ নিয়ে সংশয় রয়েছে নাজমূলের। তবে এশিয়া কাপের আগে যে দলে নতুন কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে না, এমন কথা জানিয়েছেন নাজমূল।

দলের পরিকল্পনা নিয়ে নাজমূল জানান, ‘এশিয়া কাপের (এ বছরের সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা) আগে একটা কমপ্লিট দল চাইব। সেখান থেকে খুব বেশি পরিবর্তন আমরা চাইব না। যদি খুব বেশি প্রয়োজন হয়, সেটা ভিন্ন কথা। তবে আমরা বিশ্বকাপ পর্যন্ত চাইব একটা ধারাবাহিকতা যেন থাকে এবং অপ্রয়োজনীয় পরিবর্তন যেন না আসে। পরীক্ষা–নিরীক্ষার বিষয় যেন না আসে। কারণ, একটু স্ট্যাবল হওয়ারও প্রয়োজন আছে। আশা করব, খুব বেশি পরীক্ষা–নিরীক্ষা হবে না।’