ছবিটি এ বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া–ভারত সিডনি টেস্টের। দুটি দেশই নিজেদের মধ্যে বেশি বেশি খেলতে চায়।
ছবিটি এ বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া–ভারত সিডনি টেস্টের। দুটি দেশই নিজেদের মধ্যে বেশি বেশি খেলতে চায়।

দুটি দলের টেস্ট মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন ইয়ান চ্যাপেলের, চাইলেন দুই স্তরব্যবস্থা

আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের টেস্ট মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল। তাঁর মতে, টেস্ট ক্রিকেট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে দুই স্তরের ব্যবস্থা চালু করা উচিত। আরও আগেই এটি শুরু হয়ে যাওয়া উচিত ছিল বলেও মন্তব্য ৮১ বছর বয়সী এই সাবেক ক্রিকেটারের।  

ইএসপিএনক্রিকইনফোতে এক কলামে চ্যাপেল লিখেছেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, অল্প কটি দেশই পাঁচ দিনের খেলায় লম্বা সময় ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। দর্শক আকর্ষণ করতে পারে বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর্থিক সহায়তা পাওয়ার দাবি রাখে, দলটিকে নিস্তেজ করে দেওয়াটা অপরাধ।’

টেস্ট ক্রিকেটে দুই স্তর চালুর আলোচনা হচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। এ ক্ষেত্রে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ সাতটি দলকে নিয়ে প্রথম স্তর ও পরের পাঁচ দলকে নিয়ে দ্বিতীয় স্তরের পরামর্শও উঠে এসেছে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড আইসিসির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করবে বলে খবরও এসেছিল এ মাসের শুরুর দিকে।

অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ইয়ান চ্যাপেল

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭৫ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডে খেলা ইয়ান চ্যাপেল দুই স্তরের পক্ষে ব্যাট ধরে বলেছেন, টেস্ট দল হতে হলে দলগুলোর সুনির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করা দরকার। বিশেষভাবে ২০১৮ সালে টেস্ট পরিবারে যুক্ত হওয়া আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, উত্তরণ ও অবনমন রাখা যেতে পারে। দলগুলোকে টেস্ট মর্যাদা দেওয়ার আগে সুনির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড পূরণ হওয়া দরকার। যার মধ্যে থাকবে, তাদের কার্যকর প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতা আছে কি না, পাঁচ দিনের টেস্ট খেলার মতো যৌক্তিক ভিত্তি আছে কি না, মাঠগুলোয় পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা আছে কি না, তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা আছে কি না।’

ইয়ান চ্যাপেলের মতে, যে দল এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারবে, কয়েক বছর ধরে একটা উচ্চমান বজায় রাখতে পারবে, তাদের উত্তরণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সরাসরি টেস্টের নবীন দুই দেশের নাম টেনে ইয়ান চ্যাপেল লিখেছেন, অস্থিতিশীল আফগানিস্তান কি তাদের দেশে টেস্ট আয়োজন করতে পারবে? আয়ারল্যান্ডের কি টেস্ট আয়োজনের মতো যথেষ্ট মাঠ আছে? আফগানিস্তানে নারীদের প্রতি তালেবানের কঠোর আচরণের বিষয়টি এক পাশে সরিয়ে রাখলেও বলতে হবে, এসব প্রশ্নের একটাই উত্তর ‘না’। তাহলে কেন এই দেশগুলোর টেস্ট মর্যাদা থাকবে?

প্রশ্ন তুলে নিজেই অবশ্য উত্তর দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭৫ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডে খেলা ইয়ান চ্যাপেল, টেস্ট মর্যাদার বিনিময়ে এই দলগুলো আইসিসিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভোট দেয়। আইসিসিকে ব্যাপকভাবেই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর একটাও গড়পড়তা দল যুক্ত করা তাদের উচিত হবে না।