এক দল সবার আগে সুপার ফোরে উঠেছে, আরেক দল অনেক আগেই সুপার ফোরের লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছে। গতকাল আবুধাবিতে ওমানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটা নিছক নিয়ম রক্ষার হলেও ভারতের জন্য মাইলফলকের। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় দল হিসেবে নিজেদের ২৫০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ভারত। মাইলফলকের ম্যাচটি তাদের জন্য এশিয়া কাপের সুপার ফোরের আগে ব্যাটিং–বোলিং অনুশীলনেরও ছিল।
তা ব্যাটিং অনুশীলনটা ভারতের ভালোই হয়েছে। কিন্তু বোলিং অনুশীলন? আবুধাবিতে লম্বা বাউন্ডারির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ব্যবহৃত পিচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৮ রান করেছে ভারত। কিন্তু বল হাতে ওমানকে অলআউট করতে পারেননি ভারতের বোলাররা। ভারতের কাছে ২১ রানে হারা দলটি ২০ ওভারে ৪ উইকেটে তুলেছে ১৬৭ রান।
অসম এ লড়াইয়ে সূর্যকুমার যাদবের দলের কাছ থেকে সমর্থকদের প্রত্যাশা যেমন ছিল, ব্যাটিংটা তেমনই হয়েছে। ভারত দুই শর কাছাকাছি রান করতে পারে মূলত সঞ্জু স্যামসনের দেখেশুনে খেলা ৪৫ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে ভর করে। ইনিংসটিতে তিনি মেরেছেন ৩টি করে চার ও ছক্কা। ১৫ বলে ৫টি চার ও ২টি ছয়ে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান এসেছে ওপেনার অভিষেক শর্মার ব্যাট থেকে। তিলক বর্মা ১৮ বলে করেছেন ২৯ রান, অক্ষর প্যাটেল ১৩ বলে ২৬।
ফিল্ডিংয়ে নেমে ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার তাঁর অনিয়মিত বোলারদেরও একটু পরখ করে নিতে চেয়েছেন। সব মিলিয়ে তিনি আটজন বোলার ব্যবহার করেন। এমনকি তিলক আর অভিষেককে দিয়েও বোলিং করিয়েছেন তিনি। কিন্তু অনিয়মিত বোলাররা উইকেট এনে দিতে পারেননি। ওমানকে নিয়ে ছেলেখেলা করতে গিয়ে তো হারের শঙ্কাও জেগেছিল ভারতের। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি, ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়ে হারল ওমান।
ওমানের পক্ষে ৪৬ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেছেন আমির কলিম। ৩৩ বলে ৫১ রান হামাদ মির্জার। ভারতের পক্ষে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ যাদব, অর্শদীপ সিং, হার্দিক পান্ডিয়া ও হর্ষিত রানা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ২০ ওভারে ১৮৮/৮ (স্যামসন ৫৬, অভিষেক ৩৮, তিলক ২৯, অক্ষর ২৬; ফয়সাল ২/২৩, কলিম ২/৩১, রামানন্দী ২/৩৩)।
ওমান: ২০ ওভারে ১৬৭/৪ (কলিম ৬৪, হামাদ ৫১, যতীন্দর ৩২; কুলদীপ ১/২৩, রানা ১/২৫, পান্ডিয়া ১/২৬, অর্শদীপ ১/)।
ফল: ভারত ২১ রানে জয়ী।