ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো

ইনফান্তিনোর অনুরোধেও অনড় ক্লাবগুলো

আবার আসছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের ‘উইন্ডো’, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলবে জাতীয় দলগুলো। সেই সঙ্গে আবারও শুরু হয়ে গেছে ক্লাবগুলোর খেলোয়াড় ছাড়া বা না ছাড়া নিয়ে ফুটবলের চিরকালীন বিতর্ক। সেই বিতর্কে আরেকবার মুখোমুখি ফিফা ও ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো। এবারের আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য খেলোয়াড় ছাড়তে না চাওয়ার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্প্যানিশ লা লিগা ও ইতালিয়ান সিরি ‘আ’র দলগুলো।

পরিস্থিতি যখন এমন, ক্লাবগুলোকে একরকম অনুরোধই করে রেখেছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তিনি বলেছেন, ‘ক্লাবগুলোর উচিত আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য খেলোয়াড়দের ছাড়া। এটা ক্রীড়ানীতি রক্ষার জন্যই।’ ক্লাবগুলোর এবার খেলোয়াড়দের ছাড়তে বেশি অনীহার কারণ বিভিন্ন দেশের করোনা মহামারির বিধিনিষেধ। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের করোনা নীতিটা এ রকম যে সেখান থেকে কেউ করোনার ‘রেড জোনে’ গেলে ফিরে আসার পর বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করতে হবে।

প্রিমিয়ার লিগ থেকে ১৯টি ক্লাবের প্রায় ৬০ জন খেলোয়াড়কে দেশের হয়ে খেলার জন্য ছাড়তে হবে। তাঁদের মধ্যে বড় একটা অংশের জাতীয় দলের হয়ে খেলতে যাওয়ার কথা দক্ষিণ আমেরিকায়। যেখানে করোনার ভয়াবহতা এখনো সেভাবে কমেনি এবং ইংল্যান্ডের কাছে মহামারির ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত। এ কারণেই ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলো তাদের খেলোয়াড়দের ছাড়তে চায় না। আর তাতে তারা সমর্থন পাচ্ছে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে লা লিগা আর সিরি ‘আ’ কর্তৃপক্ষও তাদের ক্লাবগুলোর খেলোয়াড় না ছাড়ার সিদ্ধান্তে সমর্থন দিচ্ছে।

তবে ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘আমরা সবাই মিলেই তো বৈশ্বিক সমস্যার মধ্যে পড়েছি। এটা ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবলের জন্য খেলোয়াড় ছাড়া খুবই জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। বৈশ্বিক খেলার মর্যাদা আর অধিকারের জন্য প্রতিটি সংস্থা, লিগ আর ক্লাবের জন্য একাত্ম হওয়া প্রয়োজন।’ ইনফান্তিনো সঙ্গে যোগ করেন, ‘বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের অনেকেই ইংল্যান্ড ও স্পেনে খেলেন। আমরা বিশ্বাস করি, এই দেশগুলোও ক্রীড়ানীতি রক্ষায় দায়িত্ব নেবে।’ ফিফা সভাপতি জানিয়েছেন, তিনি এরই মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে খেলোয়াড়দের জন্য কোয়ারেন্টিন আইন শিথিল করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন।