Thank you for trying Sticky AMP!!

এমবাপ্পে হবেন নতুন পেলে

এমবাপ্পেকে নত্তুন পেলে বলছেন পেলে। ছবি: এএফপি

ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য পেলে বেশ বিখ্যাত। খেলোয়াড়ি জীবনে নিশানা ভেদে তাঁর জুড়ি ছিল না। ভবিষ্যদ্বাণির ক্ষেত্রে পেলের সাফল্য আবার উল্টো পথে। এই কিংবদন্তির শেষ কোন ভবিষ্যদ্বাণী আলোর মুখে দেখেছে সেটা বলা প্রায় অসম্ভব। তবু পেলে বলে কথা। আর পেলে যখন কারও গায়ে ‘নতুন পেলে’ ট্যাগ লাগিয়ে দেন তখন সেটা আলোচনার জন্ম দেবেই।

নতুন কারও গায়ে ট্যাগ লাগানো হয়নি, কিলিয়ান এমবাপ্পের নামের সঙ্গেই লেগেছে এই তকমা। ফ্রান্সের ‘নতুন অরি’ হিসেবে আবির্ভাব ঘটেছিল এই তারকার। মোনাকোতে বেরে ওঠা একটা কারণ, মাথের বাঁ প্রান্ত দিয়ে খেলার ধরণ একটা কারণ। আরেকটি কারণ কৈশোরেই ফুটবল দুনিয়ায় আলোরণ ফেলে দেওয়া। তবে আবির্ভাবের কদিন পরেই অরির ট্যাগটাও ছেটে ফেলেছেন এমবাপ্পে। হাজার হলেও মাত্র দ্বিতীয় কিশোর হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে তো অন্তত গোল করা হয়নি অরির! পেলের পর এমন কিছু করে দেখাতে শুধু পেরেছেন এমবাপ্পেই। ২০১৮ বিশ্বকাপে আলো জেলেছেন পিএসজির এই ফরোয়ার্ড।

মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জেতা পেলে তিনবার সে স্বাদ পেয়েছেন। নতুন পেলে হতে চাইলে এমবাপ্পেকে এমন কিছুই করতে হবে। স্বয়ং পেলের ধারণা ফ্রান্সের এই ফরোয়ার্ডের পক্ষে সম্ভব সেটা করা, ‘সে ১৯ বছর বয়সেই বিশ্বকাপ জিতেছে, আমার বয়স ছিল মাত্র সতের। আমি ওর সঙ্গে এ নিয়ে মজাও করেছি, আমাকে একটুর জন্য ধরেই ফেলেছিলে! আমার ধারণা সে নতুন পেলে হতে পারে। অনেকেই ভাবে আমি হাসি উদ্র্যেক করার জন্য এটা বলেছি। কিন্তু আমি মজা করার জন্য বলছি না, এটা সত্য।’

অনেকের চোখেই সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় পেলে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলের হয়ে ৭৭ গোল করেছেন মাত্র ৯২ ম্যাচে। সান্তোসের হয়ে ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে জিতেছেন ২৫টি ট্রফি। ২০ বছর বয়সী এমবাপ্পের পক্ষে এমন কিছু করা সম্ভব কি না সেটা সময়ই বলে দেবে, তবে শুরুটা এর মাঝেই দুর্দান্ত হয়েছে তাঁর। ২০১৫ সালে মাত্র ১৬ বছর ৩৪৭ দিনে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয়েছে তাঁর। ১৮ বছরেই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তুলেছেন। ফ্রান্সের হয়ে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিষেক এমবাপ্পের। তবে সবকিছুই ছাড়িয়ে গেছেন ২০১৮ বিশ্বকাপে।

রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে শিরোপা এনে দেওয়ার পথে ৪ গোল করেছেন। পেলের পর দ্বিতীয় কিশোর হিসেবে নকআউট ম্যাচে একাধিক গোল করেছেন। ফাইনালেও গোল করে পেলেকে ছুঁয়েছেন আরেকবার। বিশ্বকাপের পরও দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। ২৩ ম্যাচে ১৭ গোল করে পিএসজিকে লিগের শীর্ষে রেখেছেন। নেইমারকে ফেলে তাঁর সতীর্থ এমবাপ্পেকেই হয়তো এ জন্য বেশি মনে ধরেছে পেলের!