Thank you for trying Sticky AMP!!

এ বিশ্বকাপ যেদিন আর থাকবে না

বিশ্বকাপের এ ট্রফি কিন্তু চিরস্থায়ী নয়। ছবি: ফিফা
>

বিশ্বকাপ, দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের পর্দা ওঠার আর মাত্র ২৬ দিন বাকি। দুরু দুরু বুকে ফুটবলপ্রেমীরা ক্ষণগণনা শুরু করে দিয়েছেন নিশ্চয়। শুরু হয়েছে প্রথম আলো অনলাইনেরও ‘কাউন্ট ডাউন’। প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে ক্ষণগণনা নিয়ে একটি বিশেষ রচনা থাকছে। আজ থাকছে ‘২৬’ সংখ্যাটি নিয়ে

২৬ সংখ্যাটা কেন যেন খুব পছন্দ করেছে ফুটবলকে। উল্টোও বলা যায়, ফুটবল কেন যেন ২৬ সংখ্যাটা নিয়ে বেশ উঠেপড়ে লেগেছে ইদানীং। বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই ঘটছে ২৬-কে সঙ্গী করে।

বিশ্বকাপ খেলার দৌড়ে বিজয়ী হয় ৩১টি দল, আর তাদের আতিথ্য দিয়ে বাকি স্থানটা পূরণ করে স্বাগতিক দল। ৩২ দলের এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ সবারই খুব পছন্দ। বিশ্বকাপের দল নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। ১৩ দল নিয়ে শুরু হওয়া বিশ্বকাপ ১৯৯৮ সালে এসে ৩২ দলের রূপ পেয়েছে। এ ফরম্যাটকেই বিশ্বকাপের জন্য সব দিক থেকে সেরা মেনে নিয়েছেন অনেকে। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপ থেকেই এ ফরম্যাটকে বিদায় বলে দিতে হবে। কারণ, এখনো স্বাগতিক দল ঠিক না হলেও এটা নির্ধারিত হয়ে গেছে, ২০২৬ বিশ্বকাপের স্বাদ পাবে ৪৮ দল।
সিলভিও গাৎজানিগার অপূর্ব এক সৃষ্টি বিশ্বকাপের ট্রফি। ৩৮ সেন্টিমিটার উচ্চতার ৬ কেজির একটু বেশি ওজনের এ ট্রফিটা হয়তো ২০৩৮ সালেই শেষবারের মতো মাথার ওপর তুলে উদ্‌যাপন করা হবে। কারণ, ১৯৭৪ সাল থেকে প্রত্যেক বিজয়ীর নাম লেখা হয় এ ট্রফিতে। ২৬তম বিশ্বকাপের পর বিজয়ীর নাম লেখার জন্য কোনো স্থান বাকি থাকবে না এ ট্রফিতে।
১৯৭৮ বিশ্বকাপ থেকে পেনাল্টি শুটআউট বা টাইব্রেকিংয়ের পদ্ধতি চালু হয়েছে। ৯০ মিনিটের খেলা অতিরিক্ত সময়েও শেষ না করা গেলে এ ভাগ্য পরীক্ষায় নামে দলগুলো। এখন পর্যন্ত ১০ বিশ্বকাপে মোট ২৬ বার পেনাল্টি শুটআউটে ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে।
২০০৬ বিশ্বকাপটা অনেক কারণেই মানুষ মনে রাখবে। জিনেদিন জিদানের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন কিংবা কান্নাভেজা বিদায় কিংবা ইতালির সবাইকে চমকে দিয়ে বিশ্বকাপ জয়, কেই-বা ভুলতে পারে। এ বিশ্বকাপ দেখার আগ্রহও ছিল তুঙ্গে। ধারণা করা হয়, সারা বিশ্বে ২৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৬০০ কোটি) দর্শক এ বিশ্বকাপ দেখেছে। চিন্তা করা যায়, ২৬ বিলিয়ন! (টিআরপি রেটিং কাউন্ট হয় কয়বার দেখা হয়েছে সে হিসাবে। মানে ১০ জন ৩০টা ম্যাচ দেখলে ৩০০ দর্শক দেখেছে বলে হিসাব করা হয়।)
এত এত দর্শক দেখার উল্টো গল্পেও ২৬ মিশে আছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সবচেয়ে কম দর্শক হয়েছিল ২০০৫ সালে। কোস্টারিকার মাঠে পানামা খেলতে গিয়েছিল বাছাইপর্বের ম্যাচে। এস্তাদিও রিকার্দো সাপ্রিসাতে সেদিন দর্শক ছিল শূন্য! তারিখ কত জানেন? ২৬ মার্চ!