Thank you for trying Sticky AMP!!

জুলকারনাইনকে নিয়েই উজবেকিস্তান গেলেন মারুফুল

বিমানবন্দরে কোচ মারুফুল হক ও জুলকারনাইন

এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের প্রাথমিক দলে ছিলেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ফুটবলার জুলকারনাইন হক। অনুশীলনেও কোচ মারুফুল হকের আস্থা কুড়িয়েছেন ১৮ বছর বয়সী মিডফিল্ডার।

জুলকারনাইনকে নিয়েই এএফসি কাপের বাছাইপর্বে খেলতে আজ উজবেকিস্তানে গেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ মারুফুল হক।

ঢাকা ছাড়ার আগে ইংল্যান্ডের তৃতীয় স্তরের দল ইপ্সউইচ টাউনের হয়ে খেলা জুলকারনাইনকে নিয়ে প্রশংসাই করলনে মারুফুল, ‘সে টেকনিক্যালি ভালো। ট্যাকটিক্যালিও ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। একটু একটু করে দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আশা করি, উজবেকিস্তানে সে ভালোই করবে।’

২৭ অক্টোবর উজবেকিস্তানে শুরু হবে বাছাইপর্বের ‘ডি’ গ্রুপের খেলা। ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী সৌদি আরব, উজবেকিস্তান ও কুয়েত। ২৭ অক্টোবর কুয়েতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের যুবাদের এএফসি এশিয়ান কাপ অভিযান। ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ স্বাগতিক উজবেকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে দ্বিতীয় ম্যাচ। এরপর ২ নভেম্বর শেষ ম্যাচটি খেলবে সৌদি আরবের বিপক্ষে।

সব মিলিয়ে বাছাইপর্বে রয়েছে ১১টি গ্রুপ। এই ১১ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা চার রানার্সআপ খেলবে চূড়ান্ত পর্বে।

দেশ ছাড়ার আগে সতীর্থদের সঙ্গে জুলকারনাইন (মাঝে)

এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ২৩ সদস্যের বাংলাদেশ দলে আছেন ৬ জন সিনিয়র ফুটবলার—রহমত মিয়া, রিয়াদুল হাসান, ইয়াসিন আরাফাত, মোহাম্মদ হৃদয়, টুটুল হোসেন ও মাহবুবুর রহমান। উজবেকিস্তানে এএফসি কাপের বাছাইপর্ব শেষে চার জাতি টুর্নামেন্টে খেলতে সরাসরি শ্রীলঙ্কায় যাবেন এই ছয় ফুটবলার। সেখানে আগামী ৮-১৭ নভেম্বর হবে আমন্ত্রণমূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট।

ভিসা জটিলতার কারণে উজবেকিস্তান যেতে পারছেন না ফিনল্যান্ডপ্রবাসী ডিফেন্ডার কাজী তারিক রায়হান। চোটের কারণে মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ এবং পারিবারিক কারণে ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষও সরে দাঁড়িয়েছেন যুব দল থেকে।

উজবেকিস্তানে কোচ মারুফুল হকের চোখ থাকবে মূল পর্বে, ‘গ্রুপিংটা হয়েছে কয়েক মাস আগে। এই দল নিয়ে দু-তিন মাস কাজ করতে পারলে আরও ভালো হতো। কিন্তু মাত্র এক মাস সময় পেয়েছি আমরা। তবে ভালো দলের বিপক্ষে খেলেই নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। সেই চ্যালেঞ্জ আমি নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য থাকবে গ্রুপ সেরা বা রানার্সআপ হয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ার।’

উজবেকিস্তান যাত্রার আগে বিমানবন্দরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২৩ দল

জাতীয় দলের ডিফেন্ডার রহমত মিয়াও কোচের সুরে সুর মেলালেন, ‘আমাদের এই গ্রুপে সব প্রতিপক্ষই শক্তিশালী। মাত্রই জাতীয় দল থেকে ফিরেছি আমরা। আমাদের কোচিং স্টাফরা যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন অনুশীলনে, সেভাবেই এই দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এখানে আমরা যে তিন–চার দিন জুনিয়রদের সঙ্গে অনুশীলন করেছি, এর মাধ্যমে আমাদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। এখানে বেশির ভাগ ফুটবলারই প্রিমিয়ার লিগে খেলেছে, এমনকি জাতীয় দলেও আমরা অনেকের সঙ্গে খেলেছি। আমি মনে করি না আমাদের দলীয় বোঝাপড়ায় কোনো ঘাটতি হবে। আশা করি, উজবেকিস্তানে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।’