ফুটবল খেলে এত টাকা!

জানেন বোধ হয়, ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। যাঁরা এটা খেলেন, টাকাপয়সাও নেহাত মন্দ পান না। আর একটু ভালো খেললে তো কথাই নেই। টাকাই টাকা। ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট গোলডটকম সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ফুটবলারদের একটা তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকাটা করা হয়েছে কার কত বেতন, বিভিন্ন পণ্যদূত হিসেবে কে কত পান এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক বিনিয়োগ থেকে কার কত টাকা আসে, সেসব বিবেচনায় নিয়ে। সবচেয়ে সম্পদশালী এমন ১০ ফুটবলারের নামগুলো তাহলে জেনে নেওয়া যাক...

.


ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
২৩ কোটি ডলার
রোনালদোর ফুটবল-প্রতিভা না ব্যবসায়িক প্রতিভা—কোনটা বেশি ভালো, এ নিয়ে বিতর্কের সময় বোধ হয় চলে এসেছে। বৈশ্বিক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে তো নিজেকে জড়িয়েছেনই, নিজের নামেই একাধিক পণ্য আছে তাঁর। অন্তর্বাস থেকে শুরু করে হোটেল, কিসের ব্যবসা নেই রোনালদোর! এসবের তুলনায় রিয়াল মাদ্রিদে তাঁর বেতন থেকে আয়টা (১ কোটি ৮২ লাখ ইউরো) খুব সামান্যই মনে হবে।


লিওনেল মেসি
২১ কোটি ৮০ লাখ
বার্সেলোনা থেকে বেতন পান ৫ কোটি ডলারের মতো। কতগুলো ব্র্যান্ডের সঙ্গে জড়িত, সেটা বোধ হয় মেসি নিজেও সব সময় মনে রাখতে পারেন না। বয়স হচ্ছে কিন্তু মাঠে তাঁর জাদুর ঝলক কমছে না মোটেও। সম্পদটাও তাই দিন দিন বেড়েই চলছে।


নেইমার
১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার
তিনি এখনই ব্রাজিল ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা। বিশ্ব ফুটবলেরও আগামী দিনের সবচেয়ে বড় মহাতারকা ভাবা হচ্ছে তাঁকে। বার্সেলোনার সঙ্গে ৮৮ লাখ ইউরো বার্ষিক বেতনের যে চুক্তিটা, সেটা নেইমারের বিশাল আয়ের তুলনায় খুবই সামান্য। নাইকি, প্যানাসনিক, ফক্সওয়াগন, রেড বুল—নেইমারের নামের পাশে এ রকম বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।


ইব্রাহিমোভিচ
১১ কোটি ৪০ লাখ ডলার
ইউনাইটেডের সঙ্গে বিশাল বেতনের চুক্তি তো আছেই, ইব্রা পণ্যদূত হিসেবে কাজ করছেন নিভিয়া, এক্সবক্স, ভলভো ও ড্রেসম্যানের মতো ব্র্যান্ডের। সঙ্গে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে আছে তাঁর স্থাবর সম্পত্তি।


ওয়েইন রুনি
১১ কোটি ২০ লাখ ডলার
মাঠের পারফরম্যান্স যেমনই হোক, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এখনো তাঁর বেতন সপ্তাহে ৩ লাখ পাউন্ড। ২০১৪ সালে ক্লাবের সঙ্গে ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলারের একটা চুক্তি হয়েছে। সন্দেহাতীতভাবেই রুনি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ধনী ফুটবলার।


কাকা
১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার
আরেকজন খেলোয়াড়, যাঁর ফুটবল থেকে এখন আর খুব বেশি আয় নেই। তবে এসি মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ, সাও পাওলোর হয়ে খেলে একসময় প্রচুর আয় করেছেন। সঙ্গে যদি অ্যাডিডাস, পেপসি, স্যামসাং, জিলেট ও আরমানির মতো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি থাকে, আর কী লাগে!


স্যামুয়েল ইতো
৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার
বার্সেলোনায় বছরে ১ কোটি ইউরো বেতন পেতেন, চেলসিতে ৫০ লাখ ইউরো। তবে ইতো বিশাল সম্পদের প্রায় অর্ধেকই গড়েছেন রাশিয়ান ক্লাব আনঝি মাখাচকালায় যোগ দিয়ে। পিউমা আর ফোর্ডের সঙ্গে চুক্তিটাও সাহায্য করেছে নিশ্চয়ই।


রাউল
৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার
ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন গত বছর। খেলোয়াড়ি জীবনে একসময় যে আয় করেছেন, সেটাই সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার বিনিয়োগ করেছেন নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবসায়। এ ছাড়া আবাসন ব্যবসা ও জ্বালানি শক্তির ব্যবসাও আছে তাঁর। টাকা কোত্থেকে আসছে, বুঝতে পারছেন তো!


রোনালদিনহো
৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার
সেরা সময় অনেক আগেই পেছনে ফেলে এসেছেন। তাতে অবশ্য ধনীদের তালিকা থেকে তাঁর নাম কাটা যায়নি। মেক্সিকোর ক্লাব কোয়ের্তারোর হয়ে খেলার সময়ও তাঁকে বিশাল বেতনের পাশাপাশি বছরে ২৫ লাখ ইউরো করে পারফরম্যান্স বোনাস দিতে হয়েছে। আর পণ্যদূত হিসেবে বিজ্ঞাপনের বাজারে এখনো রোনালদিনহো লোভনীয়।

১০
ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড
৯ কোটি ডলার
এখন নিউইয়র্ক এফসিতে খেলেন বলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তাঁর ১৪ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারটা ভুলে যাবেন না যেন। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় বছরে ৩ কোটি ৫০ লাখ ইউরো করে আয় করেছেন। এখনো নাইকি আর অ্যাডিডাসের মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গে জড়িত তাঁর নাম। আর স্থাবর সম্পত্তি তো আছেই।