ঊরুতে ম্যারাডোনার ট্যাটু এঁকেছেন ইনসিনিয়ে।
ঊরুতে ম্যারাডোনার ট্যাটু এঁকেছেন ইনসিনিয়ে।

ম্যারাডোনাকে যেভাবে শ্রদ্ধা জানালেন ইতালির জয়ের নায়ক ইনসিনিয়ে

শুক্রবার রাতে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ইতালির জয়ের নায়ক ছিলেন লরেনৎসো ইনসিনিয়ে। নাপোলির এই ফরোয়ার্ড একটা গোল করিয়েছেন এবং নিজেও ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করেছেন। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন ইনসিনিয়ে। এই জয়ে রেকর্ড ৩২ ম্যাচ টানা অপরাজিত রইল ইতালি।

ডিয়েগো ম্যারাডোনার ভক্ত ইনসিনিয়ে তাঁর প্রিয় ফুটবলারের ট্যাটু শরীরে এঁকে মাঠে নেমেছিলেন। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে শ্রদ্ধা জানিয়ে ইনসিনিয়ে নিজের ঊরুতে এই ট্যাটু আঁকেন গত বছরের ডিসেম্বরে। ম্যারাডোনার ট্যাটু এঁকে প্রথমবার ইনসিনিয়ে মাঠে নামেন ইউরোপা লিগের ম্যাচে, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ওই ম্যাচ সেদিন ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল।

গত নভেম্বরে ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর এভাবেই শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন নাপোলির ইনিসিনিয়ে।

ইতালির জাতীয় দলে ইনসিনিয়ে খেলেন ১০ নম্বর জার্সি পরে। যদিও নাপোলির অধিনায়ক ইনসিনিয়ে নিজের ক্লাবে কখনোই ম্যারাডোনার মতো ১০ নম্বর জার্সিটা পরতে পারবেন না। কারণ, নাপোলিতে ম্যারাডোনা ছিলেন মানুষের ভালোবাসায় বাঁধা।

১৯৮৪–৯১ সাল পর্যন্ত নাপোলিতে খেলেছিলেন ম্যারাডোনা। ওই সাত মৌসুমে ম্যারাডোনা নাপোলিকে উপহার দিয়েছিলেন দুটি লিগ শিরোপা, একটা সুপার কাপ ও একটি উয়েফা কাপ। নাপোলির স্টেডিয়ামের নাম বদলে বর্তমানে রাখা হয়েছে ম্যারাডোনার নামে।

আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ইতালি ছাড়ার পর তাঁর সম্মানে ১০ নম্বর জার্সিটা আর কাউকেই পরতে দেয়নি নাপোলি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ম্যারাডোনার প্রতি ভালোবাসা যে এতটুকু কমেনি নাপোলির, এতেই তা বোঝা যায়।

কাল বেলজিয়ামের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক গোল করেছেন ইনসিনিয়ে।

গত নভেম্বরে ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর সিরি ‘আ’র এক ম্যাচে ফ্রি–কিক থেকে গোল করে মাঠেই ম্যারাডোনাকে গোল উৎসর্গ করেছিলেন ইনসিনিয়ে। ওই সময় গোল করে ছুটে যান মাঠের বাইরে, এরপর ম্যারাডোনার ১০ নম্বর জার্সিটা তুলে ধরেন সবার সামনে। চুমুতে ভরিয়ে দেন সেই জার্সি।