১২ ম্যাচে ৭ গোল। খুব বেশি কি খারাপ পারফরম্যান্স? নিশ্চয়ই না!
এবার আরেকটু যোগ করা যাক, ১২ ম্যাচে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ৭ গোল। এখন রেকর্ডটাকে কেমন মনে হচ্ছে? অন্য অনেকের ক্ষেত্রে যত ভালোই মনে হোক, রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের নামের পাশে রেকর্ডটা বড্ড বেমানান।
রিয়ালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল তাঁর। চ্যাম্পিয়নস লিগেও রোনালদোর চেয়ে বেশি গোল নেই আর কারও। এই রেকর্ডগুলোই পর্তুগিজ অধিনায়কের বর্তমান ফর্ম নিয়ে অবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। কারও কারও চোখে যে রেকর্ডগুলো মানুষের পক্ষে গড়া প্রায় অসম্ভব। তবে পড়তি ফর্মের ‘সুযোগ’ নিয়ে রোনালদো আরেকবার ফুটবলপ্রেমীদের মনে করিয়ে দিলেন, তিনিও রক্ত-মাংসের স্বাভাবিক মানুষ।
চোট-বিশ্রাম মিলিয়ে মৌসুমের শুরুতে কয়েকটা ম্যাচে ছিলেন না। এলেন যখন, রোনালদো রইলেন অচেনা-অধারাবাহিক হয়ে। কেন এমন হচ্ছে, ক্লাবের টিভি চ্যানেলে সেটিরই ব্যাখ্যায় পর্তুগিজ অধিনায়ক দিলেন তাঁর ‘রক্ত-মাংসের মানুষ’ হওয়ার প্রমাণ, ‘মাঝে মাঝে মানুষ মনে করে আমি মানুষ নই। কিন্তু আমি তো একজন মানুষই। আমারও ভালো-খারাপ মুহূর্ত যেতেই পারে।’ খারাপ মুহূর্তটা কাটানোর উপায়ও জানেন ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড, ‘আমার মন্ত্র হচ্ছে খারাপ সময়গুলোতে প্রতিক্রিয়া দেখানো। এই মুহূর্তগুলোই আমাকে আরও ভালো করতে অনুপ্রেরণা জোগায়, যেন আমি মাঠে ও মাঠের বাইরে নিজেকে আরও ভালোভাবে তুলে ধরতে পারি।’
আরেকটি অনুপ্রেরণা রোনালদো পেয়েছেন ক্লাবের কাছ থেকেও। গত সোমবারই পর্তুগিজ অধিনায়কের সঙ্গে চুক্তিটা আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে নিয়েছে রিয়াল। অবশ্য করবে না-ই বা কেন! মাঠে রোনালদো দলের প্রাণভোমরা, মাঠের বাইরে ‘শো-রুমে’ও তা-ই। এই মৌসুমে একটু পড়তি ফর্মের পরও মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের বিক্রীত জার্সির ৪০ শতাংশই রোনালদোর।
তবে আরেক রোনালদো, ব্রাজিলের কিংবদন্তি স্ট্রাইকার অবশ্য চাইছেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রিয়ালে থাকুন খেলা ছাড়ার পরও, ‘সবচেয়ে ভালো হবে, যদি ক্রিস্টিয়ানো রিয়ালে অবসর নেয়, এবং এরপরও অন্য ভূমিকায় ক্লাবের সঙ্গে কাজ করে।’ তা সেটি পরের ব্যাপার। এই বছরও ‘মিতা’কে একটা শুভকামনা জানিয়ে রেখেছেন ব্রাজিল কিংবদন্তি। সেটি ব্যালন ডি’অর নিয়ে, ‘ও যে ট্রফিগুলো জিতেছে, সেগুলোর জন্যই এই বছর লিওনেল মেসির চেয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে এগিয়ে রাখব।’ মার্কা।